আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর
নয়াদিগন্ত:
হাসিনাকে নিয়ে দিল্লির কেন এত গোপনীয়তা
ভারতীয় ৩ বিশ্লেষক যা বললেন
ভারতে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার প্রায় তিন মাস হতে চলল। কিন্তু নয়াদিল্লি তাকে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে ‘কনফার্ম’ ছাড়া আর কিছু বলতে নারাজ। হাসিনাকে কোথায় বা কিভাবে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে আজ পর্যন্ত ভারত সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নেই। তার ইমিগ্রেশন ‘স্ট্যাটাস’ বা কিসের ভিত্তিতে তিনি ভারতে আছেন, তা নিয়েও দিল্লি সব প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের অনলাইন পত্রিকা বাংলা ট্রিবিউন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে ভারতীয় তিনজন সাবেক কূটনীতিক ও পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞের সাথে। তারা একবাক্যে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে এত আঁটোসাঁটো গোপনীয়তা কেন, তার সহজ উত্তর হবে নিরাপত্তা। শেখ হাসিনা ভারতের জন্য এমন একজন বিশেষ অতিথি, যার জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে এতটুকু ঝুঁকি নেয়ার কোনো অবকাশ নেই। ভারত তাকে তার এই বিপদের মুহূর্তে শুধু আশ্রয়ই দেয়নি, সেই সাথে তার সুরক্ষারও দায়িত্ব নিয়েছে- এটাও কিন্তু মনে রাখতে হবে।’
এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, ভারতে শেখ হাসিনার জীবনের ঝুঁকি কোথায়? এর উত্তরে বলতে হবে, অনেক দিক থেকেই ঝুঁকি থাকতে পারে। বাংলাদেশে যেসব ‘জিহাদি’ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অতীতে তার সরকার কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদের সদস্যরা যে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শেখ হাসিনার জীবননাশের চেষ্টা চালাবে না, তা কে নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারে? শেখ হাসিনার অবস্থান যদি সর্বসাধারণের জানা থাকে, তাহলে তার ডেরায় গিয়ে চারটে বোমা ফেলার চেষ্টা যে হবে না, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়?
ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ঘনিষ্ঠ ফরেন পলিসি এক্সপার্ট শুভ্র কমল দত্ত এ বিষয়ে বলেন, ‘দেখুন, কেন ভারত শেখ হাসিনার এ দেশে থাকা নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না তার একাধিক কারণ আছে বলে আমি মনে করি।’ প্রথমত, যে আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে তার পেছনে আমেরিকা যে কলকাঠি নেড়েছে তা তো দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। যত দিন যাচ্ছে নানা ঘটনায় সেটা আরো পরিষ্কার হয়ে উঠছে। এখন এই আমেরিকা কিন্তু আরো নানা বিষয়ে ভারতের ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক মিত্র, স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার এবং একসাথে তারা কোয়াড জোটেরও সদস্য। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পর্দার আড়ালে অবশ্যই কথাবার্তা চলছে। ভারতও নিশ্চয়ই তাদের মতো করে সঙ্কট সমাধানের ফর্মুলা খুঁজছে। তার মধ্যে সে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই, যাতে ক্ষমতার পালাবদল হওয়ারও যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
প্রথম আলো:
সব হত্যার বিচার করতে হবে
বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারপ্রক্রিয়াকে অবশ্যই টেকসই হতে হবে। এ জন্য ৫ আগস্টের আগে–পরে হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ সর্বত্র যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি। ‘মব জাস্টিস’ (দলবদ্ধ সহিংসতা) এবং যেকোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডের দায়মুক্তি সমর্থন করে না জাতিসংঘ।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এ মন্তব্য করেন। দুই দিনের সফরের শেষ দিনে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নানা পর্যায়ের আলোচনার বিষয় তুলে ধরেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর বাংলাদেশের অনেক স্থানে ‘মব জাস্টিস’ হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে ফলকার টুর্ক বলেন, মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিটি অপরাধের তদন্ত করতে হবে।
আন্দোলনের সময় পুলিশ হত্যার ঘটনায় দায়মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, কোনো হত্যার দায়মুক্তি দেওয়া উচিত নয়। প্রতিটি হত্যার তদন্ত ও বিচার করতে হবে। না হলে মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
ফলকার টুর্ক বলেন, বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা বঞ্চনার শিকার হয়ে তাদের বক্তব্য প্রকাশ করতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমে ইতিহাসের অনন্য এই নজিরবিহীন মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে। যথেচ্ছভাবে ভিন্নমত দমন করা হয়েছে। দেশে যথেষ্ট বৈষম্য, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার ছিল তাদের মূল দাবি।
কালের কন্ঠ:
প্রভাবশালী ২২ জন কর গোয়েন্দাজালে
ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগ আমলের দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের খবর বের হচ্ছে একে একে। শুধু মন্ত্রী আর এমপিই নন, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা আমলা, পুলিশ, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, ছাত্রনেতা, ব্যবসায়ীসহ কমবেশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলেন। এই রকম বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির কর ফাঁকি এবং মুদ্রাপাচারের তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। সন্দেহে থাকা প্রভাবশালী ২২ জনের নামের তালিকা কালের কণ্ঠের এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
তালিকায় আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শামীম ওসমান, নাজমুল হাসান পাপনসহ আরো অনেকেই রয়েছেন। এসব ব্যক্তির অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি ধরতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কর গোয়েন্দাদের। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তালিকার ব্যক্তিরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, শেখ পরিবারের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, দুই ভাই শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান, সিরাজগঞ্জের এমপি শফিকুল ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জের এমপি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন:
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নেমে আসা বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে চিন্তাভাবনায় পড়েছে ১৪ দলের শরিক দলগুলো। তারা বলছে, আওয়ামী লীগ যে অন্যায়-অপকর্ম করেছে তার দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে। কোনোভাবেই শরিকরা এর দায় নেবে না। জোটে থেকে ‘মধু’ খেলেও আওয়ামী লীগের দায় নিতে নারাজ তারা। ১৪ দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন মনোভাব পাওয়া গেছে। নবম সংসদ নির্বাচনের পর জোটের কারণে ন্যাপ নেত্রী আমিনা আহমেদকে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি করা হয়। সংসদ নির্বাচনে সরাসরি আসন দাবি করলেও আওয়ামী লীগ ছাড় দেয়নি। এ প্রসঙ্গে ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা জোটে ছিলাম সত্য, কিন্তু সেটা ছিল নিবন্ধন টেকানোর জন্য। দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচিতে আমরা যাইনি। কাজেই আওয়ামী লীগের অপকর্মের দায় কেন আমরা নিতে যাব। এর দায়ভার আওয়ামী লীগকেই বহন করতে হবে।’ চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট করে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া পান ৫১১ ভোট। ২০০৪ সালে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হলে সাম্যবাদী দল সে জোটে যোগদান করে। এরপর আর তিনি ভোট করেননি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ভোটের পর মহাজোট সরকারে টেকনোক্র্যাট কোঠায় শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান দিলীপ বড়ুয়া। সারা জীবন নীতি নৈতিকতার কথা বললেও মন্ত্রী থাকা অবস্থায় নিয়েছেন নিজের ও সন্তানদের নামে কয়েকটি প্লট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও আওয়ামী লীগের কাছে কাকুতি জানিয়েছিলেন জীবনে কোনোদিন জনপ্রতিনিধি হতে পারেননি, নৌকা নিয়ে জনপ্রতিনিধি হতে চান। কিন্তু ভোটের বাস্তবতায় ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গা ঢাকা দিয়েছেন দিলীপ বড়ুয়া। এখন আওয়ামী লীগের কোনো দায় নিতে নারাজ দিলীপ বড়ুয়াসহ তাঁর দল। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বড়ুয়ার মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একজন নেতা জানিয়েছেন, ‘আওয়ামী লীগ শরিকদের শক্তি সঞ্চার করতে বলেছিল। ২০১৮ সালের ভোটের পর থেকে তারা শরিকদের কোনো গুরুত্ব দেয়নি। যে কারণে আওয়ামী লীগ বার বার ভুল করেছে। যারা ভুল করেছে, অন্যায় করেছে, তাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। আমরা কোনো দায় নেব না।
যুগান্তর:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪, আর বাকি ৫ দিন
সমাপনী বক্তব্যেও পরস্পরকে আক্রমণ কমলা ও ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে সমাপনী বক্তব্য দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ ভাষণেও পরস্পরকে আক্রমণ করতে ভোলেননি তারা। ট্রাম্পকে ‘বিশৃঙ্খলাকারী’ আখ্যা দিয়ে কমলা জনতার উদ্দেশে বলেন, সম্ভবত আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট এটি। স্বাধীনতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য থেকে একটিকে বেছে নিন। অন্যদিকে ট্রাম্প বলেন, কমলা আমাদের লজ্জিত করেছে। তার মধ্যে নেতৃত্বের যোগ্যতা বলতে কিছুই নেই। খবর বিবিসি, এএফপি, রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের কাছে কমলার শেষ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তার নির্বাচনি প্রচার শিবিরের হিসাব অনুযায়ী, সমাবেশে এসেছিলেন ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা যেখানে তার সঙ্গে জড়ো হয়েছিলেন, সেখানেই কমলার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কমলা বলেন, আমরা জানি ডোনাল্ড ট্রাম্প কে। তৎকালীন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের পরাজয় মেনে না নিয়ে ক্যাপিটল হিলে একদল সশস্ত্র মানুষ পাঠান। তিনি অস্থির, প্রতিশোধপরায়ণ, অপরাধপ্রবণ। তিনি অবাধ ক্ষমতার পেছনে ছুটছেন।
দৈনিক সংগ্রাম:জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন চূড়ান্ত হবে ডিসেম্বরেই
দৈনিক সংগ্রাম:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন চূড়ান্ত হবে ডিসেম্বরেই
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ভলকার তুর্ক ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান।
তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিমের কাজ এবং ঢাকায় সফরকালীন সরকারের উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, সংস্কার কমিশনের প্রধান, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক সম্পর্কে অবহিত করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যা বিপ্লবের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করছে, তার কাজ নিয়েও আলোচনা করেন। পাশাপাশি দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
স্বৈরাচার সরকারের সময় বলপূর্বক গুমের বহু ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, ‘এমন অনেক কিছু আছে যা ঠিক করা দরকার’।
গুমের ঘটনা তদন্তে তার অফিস তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করছে বলেও জানান হাইকমিশনার। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ‘স্বাধীন’ এবং ‘সম্পূর্ণ কার্যকরী’ করে শক্তিশালী করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তুর্ক।
তিনি জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ঢাকায় তাদের উপস্থিতি জোরদার করতে চায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে বাংলাদেশ সফর করার জন্য এবং বিপ্লবের সময় তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মানবজমিন:
প্রশিক্ষণেই গচ্চা ১৩৫০ কোটি টাকা
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ ছিল দেড় হাজার কোটি টাকা। নামেমাত্র এসব প্রশিক্ষণের বরাতে খরচ হয়ে গেছে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। বিপুল এই অর্থব্যয় হলেও যথাযথভাবে হয়নি প্রশিক্ষণ। এমনকি খরচ না হওয়া দেড়শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি চক্র। বিপুল পরিমাণ এই আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) একটি শ্বেতপত্র প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সূত্রমতে, সার্ফেস স্ট্যাডির খুব একটা গুরুত্ব না দিয়েই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি স্টেকহোল্ডারদের মন্তব্যও তারা গ্রহণ করেনি। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা নিয়েও রয়েছে ক্ষোভ। শিক্ষক প্রশিক্ষণ নেয়া চার শিক্ষক ও একজন প্রশিক্ষক জানান, এই ট্রেনিংগুলো মূলত হয়েছে অনলাইন বেইজড। যাতে ভিডিও দেখে একটি অনলাইন পরীক্ষার আয়োজন করা হতো। যা ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের কন্টেন্ট। আর সরাসরি ট্রেনিংগুলো ছিল মূলত আওয়ামী লীগ সরকার বন্দনার মঞ্চ।
নজরুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষক বলেন, অনলাইন প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা বেসিক কারিকুলামের ধারণাটাও পাইনি। আমরা কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবো কিংবা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক কী হবে সে বিষয়টিরও ধারণা মেলেনি। এ ছাড়াও সরাসরি ট্রেনিংও অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষকদের। অনেক শিক্ষক কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়াই ক্লাস নিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। আরিফুল ইসলাম সরাসরি অনুষ্ঠিত হওয়া ট্রেনিংয়ের বিষয়ে বলেন, এগুলো মূলত ছিল জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের মতো। বক্তা ভাষণ দিচ্ছেন ডায়াসে। যার অর্ধেক থাকতো সরকারের গুণগান আর শিক্ষাক্রমের প্রশংসা। বাস্তবিক অর্থে কীভাবে শিক্ষা দিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা হতো খুবই কম। আর কিছু কাগজ দেয়া হতো প্রশিক্ষণের আলোকে তা দিয়েই আমাদের কন্টেন্ট বুঝতে হতো। এই কাগজগুলোও ছিল অসম্পূর্ণ।
সমকাল:
আসছে পেঁয়াজের শত শত ট্রাক, তবু বাড়ছে দর
দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। দেশি পেঁয়াজের দর বেশি বাড়তে থাকায় এর প্রভাব পড়ছে আমদানি পেঁয়াজের ওপর। যদিও প্রতিদিন শত শত ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকছে দেশে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর এ সময় দেশি পেঁয়াজের মজুত ফুরিয়ে আসে। এ কারণে দর বাড়ে। দেশি পেঁয়াজের এই ঘাটতি মেটাতে মূল ভরসা হয়ে ওঠে আমদানি পেঁয়াজ। তবে আমদানিকারকদের কেউ কেউ বলছেন, পেঁয়াজ নিয়ে শত শত ট্রাক ঢুকলেও বন্দরে দর বেশি। কারণ, বন্দর এলাকার বাজারে নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদারকি জোরদার করলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসত।
গতকাল বুধবার ঢাকার কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। সপ্তাহ দুয়েক আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। এ ছাড়া দুই সপ্তাহ আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। তবে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্য দেশের পেঁয়াজও দেখা গেছে। এর মধ্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০, তুরস্কের পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ এবং চীনা পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন।
সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দর ৩০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৮ শতাংশ বেড়েছে।
কালবেলা:
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ
নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। বিরতির পর হয়েছে গোল তিনটি।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নারীদের সর্বোচ্চ আসরের সপ্তম সংস্করণে এটি ছিল নেপালের ষষ্ঠ ফাইনাল। প্রতিবারই রানার্সআপ ট্রফিতে সান্ত্বনা খুঁজতে হয়েছে গোরখালীদের। অন্যদিকে তৃতীয় ফাইনালে খেলা বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় শিরোপা। ২০১৬ সালের আসরের ফাইনালে ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল লাল-সবুজদের।
এদিকে, টানা শিরোপা জেতায় নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এটা আমাদের নারী ফুটবল দলের বিরাট অর্জন। তিনি বলেন, আমি তোমাদের নিয়ে গর্বিত। গোটা জাতি তোমাদের নিয়ে গর্বিত। এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গতকালের ম্যাচে অদম্য বাংলাদেশের গোলপোস্টের নিচে ছিলেন রুপনা চাকমা। রক্ষণের কেন্দ্রে মাসুরা পারভিনের সঙ্গী ছিলেন আফিদা খন্দকার। দুই পাশে রাখা হয়েছিল শামসুন নাহার সিনিয়র এবং শিউলি আজিমকে। মাঝমাঠে রাখা হয়েছিল মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, সাবিনা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমাকে। আক্রমণভাগে শামসুন নাহার জুনিয়রের সঙ্গী হয়েছিলেন তহুরা খাতুন।
দেশরুপান্তর:
অবরোধে স্তব্ধ ঢাকা, হেঁটে গন্তব্যে মানুষ
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তৈরি করা ছাড়া যেন দাবি আদায়ের বিকল্প কোনো পথ নেই। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর কোথাও না কোথাও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামছে কোনো না কোনো পক্ষ। আন্দোলনকারীদের কাছে হয়তো রাস্তায় নামার যৌক্তিকতা আছে। কিন্তু তাদের কর্মসূচির কারণে নগরবাসীর যে সীমাহীন ভোগান্তি, তা নিয়ে ভাবনা নেই। একটি সড়ক হঠাৎ বন্ধ হলে আরেকটি সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। মুহূর্তেই তার প্রভাব পড়ে পুরো শহরে। ক্রমাগত যানজট বাড়তে থাকে। ১০ মিনিটের গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘণ্টা পার হয়ে যায়। আন্দোলনের এই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবারও গুরুত্বপূর্ণ চারটি জায়গায় সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও মিছিলের কারণে রাজধানীর বড় একটি অংশ জুড়ে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।