নিজের অভিজ্ঞতা টেনে শ্রম ও কর্মসংস্থার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বেকারত্ব আমাদের অন্যতম একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমি নিজেও বেকার ছিলাম, আবার বেকার হয়ে যাবো এই দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর।
১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
বেকার যুবকদের নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বেকারত্ব আমাদের অন্যতম একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমি নিজেও বেকার ছিলাম, আবার বেকার হয়ে যাবো এই দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর। বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই আমাদের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কাজ করে। আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। ফ্রিল্যান্সার থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ট্রেনিং আছে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিচ্ছি- ট্রেনিং হতে হবে কর্মমুখী। যাতে ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাকে ছেড়ে না দেই। ট্রেনিং দিয়ে তাকে ফলোআপ রাখা যে, কোথায় সে যাচ্ছে। সামনের দিকে আরও কর্মসূচি হাতে নেবো, কোন কর্মে কী ধরনের স্কিল প্রয়োজন। সে ধরনের ট্রেনিং দিয়ে কর্ম নিশ্চিত করবো।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এখনো অনেক পদ খালি জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করি। মালয়েশিয়া এবং ইতালির একটা প্রসেস আছে। সরকারিভাবে আমরা আগামী দুই বছরে অন্তত ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।
এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন কী আপনাদের সরকার করবে- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইনিশিয়েট করে যাবো। পরবর্তী সরকার এলে দায়িত্ব নিয়ে এক্সিকিউট করবে। আমরা ইনিশিয়েট করবো কমপক্ষে ৫ লাখ কর্মসংস্থান। বেকারত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এভাবে কাজ করবো। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৯ লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেবো। সেখানে ৬০ শতাংশ নারী।