ঢাকা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটের হাতে বাজার:নির্বিকার প্রসাশন

বগুড়া শাজাহানপুরের অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।সাধারণ ভোক্তারা জিম্মি হয়ে আছে অসাধু ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটে।ভোক্তারা পণ্য ক্রয় করছেন দ্বিগুণ দামে।অপরদিকে প্রশাসনের ভূমিকা দেখা গিয়েছে নির্বিকার।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,দুবলাগাড়ী, সুলতানগঞ্জ,ডোমনপুকুর,নয়মাইল, রাণীরহাট,খরনা বাজারে  অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে  বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে কাঁচা বাজার সহ নিত্যপণ্যের দ্বিগুণ।হাত ঘুরলেই বেড়ে যায় পন্যের দাম।

পটল পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা,খুচরা  বাজারে ৫৫টাকা,করলা ৩০ টাকা পাইকারি খুচরা বাজারে ৬০ টাকা,কচু পাইকারি বাজারে ৪০টাকা খুচরা বাজারে ৭০ টাকা,লাউ পিছ ২৫ টাকা খুচরা বাজারে ৫০ টাকা,পেপে ১৫ টাকা খুচরা বাজারে ৩০ টাকা,পাইকারি বাজারে
বেগুন ৪০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ৮০ টাকা।স্বস্থি নেই মাছের বাজারে।প্রায় সকল মাছ আরদের তুলনায় খুচরা বাজারে ৬০/৭০ টাকা কেজিতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

কঠিন এ বাজার পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষ।সুজাবাদের কৃষক বাবুল আক্তার জানান,সিন্ডিকেটের কারনে যেমন কৃষক লাভবান হতে পারছেনা তেমনি সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে না আসায় অতিরিক্ত দামে পণ্যে ক্রয় করছে ভোক্তারা।

নূরনবী নামের কৃষক জানান,হাটে আমাদের থেকে ব্যপারিরা যে দামে সবজি কেনে,কিছুক্ষন পর থেকে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে।

বাজারে ক্রয় করা আসা নাহিদ হাসান জানান,বাজারে সব কিছুর দাম উর্ধমূখী,আমাদের নাগাকের বাইরে।সরকারের প্রশাসন দ্বারা অনিয়ম রুখতে পারলেই বাজারদাম স্থিতিশীল হতে বাধ্য। পাশাপাশি জনগণ ও সরকারের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব পোষণের মাধ্যমে এই ব্যধি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে আমি মনে করি।

আব্দুল হামিদ নামে আরেক ক্রেতা জানান,বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তেমন কোন ভূমিকা নেই।প্রসাশন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে আমরা বাঁচব।প্রসাশনের নির্বিকার সিন্ডিকেটরা সূযোগ নিচ্ছে।

বাজার মনিটরিং সম্পর্কে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহসিয়া তাবাসসুম বলেন,নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নির্ধারিত মূল্যের বাইরে বিক্রি এবং অন্যান্য পণ্য সঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।পাশাপাশি মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা,বেশি দামে বিক্রি এবং মালামাল ক্রয়ের চালানপত্র দেখতেছি।তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ আজ টিভিতে যা দেখবেন

সিন্ডিকেটের হাতে বাজার:নির্বিকার প্রসাশন

আপডেট সময় ১০:১৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

বগুড়া শাজাহানপুরের অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।সাধারণ ভোক্তারা জিম্মি হয়ে আছে অসাধু ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটে।ভোক্তারা পণ্য ক্রয় করছেন দ্বিগুণ দামে।অপরদিকে প্রশাসনের ভূমিকা দেখা গিয়েছে নির্বিকার।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,দুবলাগাড়ী, সুলতানগঞ্জ,ডোমনপুকুর,নয়মাইল, রাণীরহাট,খরনা বাজারে  অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে  বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে কাঁচা বাজার সহ নিত্যপণ্যের দ্বিগুণ।হাত ঘুরলেই বেড়ে যায় পন্যের দাম।

পটল পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা,খুচরা  বাজারে ৫৫টাকা,করলা ৩০ টাকা পাইকারি খুচরা বাজারে ৬০ টাকা,কচু পাইকারি বাজারে ৪০টাকা খুচরা বাজারে ৭০ টাকা,লাউ পিছ ২৫ টাকা খুচরা বাজারে ৫০ টাকা,পেপে ১৫ টাকা খুচরা বাজারে ৩০ টাকা,পাইকারি বাজারে
বেগুন ৪০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ৮০ টাকা।স্বস্থি নেই মাছের বাজারে।প্রায় সকল মাছ আরদের তুলনায় খুচরা বাজারে ৬০/৭০ টাকা কেজিতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

কঠিন এ বাজার পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষ।সুজাবাদের কৃষক বাবুল আক্তার জানান,সিন্ডিকেটের কারনে যেমন কৃষক লাভবান হতে পারছেনা তেমনি সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে না আসায় অতিরিক্ত দামে পণ্যে ক্রয় করছে ভোক্তারা।

নূরনবী নামের কৃষক জানান,হাটে আমাদের থেকে ব্যপারিরা যে দামে সবজি কেনে,কিছুক্ষন পর থেকে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে।

বাজারে ক্রয় করা আসা নাহিদ হাসান জানান,বাজারে সব কিছুর দাম উর্ধমূখী,আমাদের নাগাকের বাইরে।সরকারের প্রশাসন দ্বারা অনিয়ম রুখতে পারলেই বাজারদাম স্থিতিশীল হতে বাধ্য। পাশাপাশি জনগণ ও সরকারের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব পোষণের মাধ্যমে এই ব্যধি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে আমি মনে করি।

আব্দুল হামিদ নামে আরেক ক্রেতা জানান,বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তেমন কোন ভূমিকা নেই।প্রসাশন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে আমরা বাঁচব।প্রসাশনের নির্বিকার সিন্ডিকেটরা সূযোগ নিচ্ছে।

বাজার মনিটরিং সম্পর্কে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহসিয়া তাবাসসুম বলেন,নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নির্ধারিত মূল্যের বাইরে বিক্রি এবং অন্যান্য পণ্য সঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।পাশাপাশি মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা,বেশি দামে বিক্রি এবং মালামাল ক্রয়ের চালানপত্র দেখতেছি।তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।