ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিরাজগঞ্জ  ১০০ প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার ও ১০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ Logo বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণের নামে সমাবেশের হোতা মোস্তফা আটক Logo প্রথম আলো অফিসের সামনে আবারও আন্দোলনকারীদের অবস্থান Logo যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন Logo শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে মোল্লা কলেজের ৩ জন নিহত Logo ডেমরা-যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরও রক্তপাত হতো: আসিফ Logo ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা Logo বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Logo মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
নির্বাচনমুখী সরকার

ইভিএম এখন ইসির গলার কাঁটা,গচ্চা ৪ হাজার কোটি টাকা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • 135

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

কালের কন্ঠ:

ইভিএম এখন ইসির গলার কাঁটা
গচ্চা ৪ হাজার কোটি টাকা
ভোট জালিয়াতির সাদা হাতি’ হিসেবে পরিচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। এর পেছনে সরকারের গচ্চা গেছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থব্যয় ছাড়া তেমন কোনো কাজেই লাগেনি এই মেশিন। এসংক্রান্ত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত ৩০ জুন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এর প্রয়োজনও ফুরিয়েছে বলে মনে করছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু পড়ে থাকা দেড় লাখ মেশিনের এখন কী গতি হবে, সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো ধারণা নেই।
ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন যে ইভিএমগুলো আছে, তা নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে মিডিয়ার সঙ্গে আমি আর কথা বলতে চাই না।’
নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম জানান, প্রকল্প থেকে কেনা হয়েছিল দেড় লাখ ইভিএম। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচন অফিসে আছে ৬১ হাজার ২২০টি, রাজধানী ঢাকার নির্বাচন ভবনের কাস্টমাইজেশন সেন্টারে আছে ৬১৮টি, আর বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) আছে সাড়ে ৮৬ হাজারের মতো। আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ১৫৭টি।

প্রথম আলো:

চালের দাম বাড়ছেই, সরকারি মজুত কমছে
● ঢাকায় চালের দাম প্রতি কেজি মানভেদে ৫২-৮০ টাকা। ● ভারত থেকে আমদানিতে শুল্ক–করসহ ব্যয় হবে কেজিতে ৭৫-৭৮ টাকা। ● থাইল্যান্ড থেকে আমদানিতে কেজিতে খরচ পড়বে ৯২-৯৫ টাকাবাজারে চালের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে উদ্বেগজনক খবর হলো, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও ভারতসহ উজানের দেশগুলো থেকে আসা ঢলে আমনের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সরকারের কাছে দেওয়া একটি প্রতিবেদনে বলেছে, চাল আমদানি বাড়াতে শুল্ক-কর পুরোপুরি তুলে নেওয়া দরকার।

চাল সরকারের জন্য একটি সংবেদনশীল পণ্য। গরিব মানুষের খাদ্য ব্যয়ের একটি বড় অংশ যায় চালের পেছনে। চালের দাম এমন সময় বাড়ছে, যখন ভোজ্যতেল, চিনি, সবজি, ডিম, মুরগির মাংসসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম চড়া।

আমন চাল উৎপাদনের দ্বিতীয় প্রধান মৌসুম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বছরে দেশে চার কোটি টনের মতো চাল উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে দেড় কোটি টনের মতো হয় আমনে। সপ্তাহ তিনেক পর থেকে আমন চাল বাজারে আসা শুরু করতে পারে।

দেশে কোনো মৌসুমে উৎপাদন ব্যাহত হলে চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। ২০১৭ সালে হাওরে আগাম বন্যায় বোরো মৌসুমের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন এক সপ্তাহে প্রতি কেজি মোটা

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

নির্বাচনমুখী সরকার
ইসি গঠনে সার্চ কমিটি চূড়ান্ত প্রধান হচ্ছেন বিচারপতি জুবায়ের
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনমুখী হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চূড়ান্ত হয়েছে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সই হওয়ার পর যে কোনো সময়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাত্রা শুরু হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ তৈরি করতে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ সংক্রান্ত আইনে সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি এবং সদস্য হিসেবে হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠন হয়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সই হওয়ার পর বুধবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে। গতকাল সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের সঙ্গে বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নয়াদিগন্ত:

রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে অবস্থান পাল্টাবে না বিএনপি
রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো: সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ইস্যুতে অবস্থান পাল্টাবে না বিএনপি। এ ইস্যুতে ইতোমধ্যে সংবিধানের বাইরে না যাওয়ার যে অবস্থান জানিয়েছে দলটি, সেটিতেই তারা বহাল থাকবে।

রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ছাত্রনেতারা বিএনপির সাথে বৈঠকের দুই দিন পর গত সোমবার রাতে এ নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। জানা গেছে, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে সাংবিধানিক শূন্যতা বা রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়, এমন কোনো উদ্যোগ না নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বলছেন, বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও সাংবিধানিক পথেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সুতরাং সেই সংবিধানকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যৌক্তিক হবে না। দলটি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংবিধানকে বাতিল ঘোষণা করা হলে দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট বা রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হবে। এমনটা হলে নির্বাচন আরো পিছিয়ে যেতে পারে, যা দেশকে গভীর সঙ্কটের দিকে নিয়ে যেতে পারে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কারে দশটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কয়েক দফা সংলাপও করে সরকার। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন তার পদত্যাগের দাবি তোলে।

যুগান্তর:

রিট থেকে সরে এলেন তিন আবেদনকারী
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে যে রিট হয়েছে, তা না চালানোর কথা জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী। একই সঙ্গে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) বৈধতা নিয়ে করা রিটটিও না চালানোর কথা জানানো হয়েছে।

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার রিট দুটি না চালানোর কথা জানান রিট আবেদনকারীদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। এরপর আদালত রিট আবেদন দুটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

আইনজীবী আহসানুল করীম বলেন, কোনো মামলা যদি ক্লায়েন্ট (মক্কেল) প্রত্যাহার করতে চান, তিনি তখন মামলা প্রত্যাহার করার ইনস্ট্রাকশন দেন। আর আইনজীবী সে হিসাবে কাজ করেন। মক্কেল কখনো বলেন না তিনি কী কারণে ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছেন। সুতরাং আমি তো বলতে পারব না কী কারণে মামলাটা চালানো হচ্ছে না। এ বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা বোঝা যায়, সার্বিক গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য, দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য তারা (আবেদনকারী) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখন কোনো মামলা চালাতে না চায়, তখন কার্যতালিকা থেকে বাদ হয়ে যায়। আবেদনে ১১ দলের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে ভুলক্রমে কিছু দলের নাম চলে এসেছে। কিছু নাম বাদও পড়েছে। সেটা সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। যদি মামলা মুভ হতো, তাহলে নামগুলো বাদ যেত।

দৈনিক সংগ্রাম:

সেনা-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে পাকড়াও হচ্ছে দাগি অপরাধীরা
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। কিছুদিন পর থেকে হঠাৎ পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটতে থাকে। রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি স্থানে বাড়তে থাকে খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক কারবারীসহ বিভিন্ন অপরাধ। বিশেষ করে অভ্যুত্থানের পর পুলিশ বাহিনীর কিছুটা নিষ্কিয়তার সুযোগে অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। থানায় পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ ও টহল না থাকায় অপরাধীরা এ সুযোগটিকে কাজে লাগায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় দ্রুত অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না।

এরই মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ কয়েকটি স্থানে বড় ধরনের কয়েকটি অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটে। সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরে একটি বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃত কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত হয় র‌্যাব ও পুলিশ। এতে দেখা যায়-সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাবেক কয়েকজন সদস্য মিলে গড়ে তোলা চক্রটি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি দুর্ধর্ষ অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে মোহাম্মদপুরে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা। দিনেদুপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে পথচারীর টাকা নিয়ে যাচ্ছে ছিনতাইকীরা। এরপর নতুন করে ঢাকাসহ সারাদেশে অপরাধীদের পাকড়াওয়ে বিশেষ অভিযান শুরুর নির্দেশ দেয়া হয় পুলিশ সদর দফতর থেকে। আগে থেকেই চলমান বিশেষ অভিযানকে জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল হোসেন। এই অভিযানের মধ্যেই মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত সন্দেহে গত তিন দিনে ১০৮ জনকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মানবজমিন:

বিচারপতি জুবায়েরের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান করা হচ্ছে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি মানবজমিনকে বলেন, সার্চ কমিটির প্রধান হবেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। অন্যদের নাম এখনই প্রকাশ করছি না। আজ (মঙ্গলবার) প্রজ্ঞাপন হচ্ছে না, তবে খুব শিগগিরই হবে। এর আগে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে মনোনীত করেন প্রধান বিচারপতি। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের এই দুই বিচারপতির নাম সুপারিশ করে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন।

কালবেলা:

রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে কাউন্সিল চান ছাত্রনেতারা
রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। রাজধানীর পল্টন মুক্তিভবনে বৈঠকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আইন সংশোধন জাতীয় ঐকমত্য গঠন নিয়ে কথা হয়।

বৈঠকে ছাত্রনেতাদের পক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, আমরা চাই সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি কাউন্সিল হোক। সেখানে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কে কোন প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি হবেন, তা তারাই আলোচনা করে নির্ধারণ করুক। কিন্তু ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অংশ হওয়া যাবে না, এটা আমাদের উদ্বেগ। আমাদের দাবি ছিল, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা বলিনি যে রাষ্ট্রপতিকে বিলোপ করে কাউকে নিয়োগ দেব। আমাদের কোনো প্রস্তাবও নেই। কে রাস্ট্রপতি হবে, কীভাবে হবে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজন বসে ঠিক করুক। তবে যেন সজ্জন কোনো ব্যক্তিকে রাখা হয়।

দেশরুপান্তর:

সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো নয় : তারেক
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সংবিধানের সঙ্গে যুক্ত বিষয়ে তাড়াহুড়া না করে সুচিন্তিতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ পর্যায়ে এসে এর গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে যে ধরনের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এবং তাতে এ ধরনের বিতর্ক সরকারের গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটা সরকারের লক্ষ্যচ্যুত হওয়ার কারণ হতে পারে। এ কারণে বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কিংবা সরাসরি সংবিধানের বিধিবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া পরিহার করে সুচিন্তিত ও সুবিবেচিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে ভবিষ্যতে উদ্ভূত যেকোনো জটিল প্রশ্ন বা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, কোনোভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ এই সরকার ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ও বাংলাদেশি শক্তির ব্যর্থতা হবে। মাফিয়া সরকারের পলায়নের পর তাৎক্ষণিক গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহল ছাড়াও বর্তমানে খোদ সরকারের মধ্যেও নানা রকম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেন বর্তমান সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে কিংবা বর্তমান সরকার কি বিপ্লবী সরকার কেউ কেউ এ ধরনের প্রশ্ন তুলছে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জ  ১০০ প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার ও ১০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

নির্বাচনমুখী সরকার

ইভিএম এখন ইসির গলার কাঁটা,গচ্চা ৪ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৭:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

কালের কন্ঠ:

ইভিএম এখন ইসির গলার কাঁটা
গচ্চা ৪ হাজার কোটি টাকা
ভোট জালিয়াতির সাদা হাতি’ হিসেবে পরিচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। এর পেছনে সরকারের গচ্চা গেছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল অর্থব্যয় ছাড়া তেমন কোনো কাজেই লাগেনি এই মেশিন। এসংক্রান্ত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত ৩০ জুন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এর প্রয়োজনও ফুরিয়েছে বলে মনে করছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু পড়ে থাকা দেড় লাখ মেশিনের এখন কী গতি হবে, সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো ধারণা নেই।
ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন যে ইভিএমগুলো আছে, তা নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে মিডিয়ার সঙ্গে আমি আর কথা বলতে চাই না।’
নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম জানান, প্রকল্প থেকে কেনা হয়েছিল দেড় লাখ ইভিএম। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচন অফিসে আছে ৬১ হাজার ২২০টি, রাজধানী ঢাকার নির্বাচন ভবনের কাস্টমাইজেশন সেন্টারে আছে ৬১৮টি, আর বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) আছে সাড়ে ৮৬ হাজারের মতো। আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ১৫৭টি।

প্রথম আলো:

চালের দাম বাড়ছেই, সরকারি মজুত কমছে
● ঢাকায় চালের দাম প্রতি কেজি মানভেদে ৫২-৮০ টাকা। ● ভারত থেকে আমদানিতে শুল্ক–করসহ ব্যয় হবে কেজিতে ৭৫-৭৮ টাকা। ● থাইল্যান্ড থেকে আমদানিতে কেজিতে খরচ পড়বে ৯২-৯৫ টাকাবাজারে চালের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে উদ্বেগজনক খবর হলো, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও ভারতসহ উজানের দেশগুলো থেকে আসা ঢলে আমনের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সরকারের কাছে দেওয়া একটি প্রতিবেদনে বলেছে, চাল আমদানি বাড়াতে শুল্ক-কর পুরোপুরি তুলে নেওয়া দরকার।

চাল সরকারের জন্য একটি সংবেদনশীল পণ্য। গরিব মানুষের খাদ্য ব্যয়ের একটি বড় অংশ যায় চালের পেছনে। চালের দাম এমন সময় বাড়ছে, যখন ভোজ্যতেল, চিনি, সবজি, ডিম, মুরগির মাংসসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম চড়া।

আমন চাল উৎপাদনের দ্বিতীয় প্রধান মৌসুম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বছরে দেশে চার কোটি টনের মতো চাল উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে দেড় কোটি টনের মতো হয় আমনে। সপ্তাহ তিনেক পর থেকে আমন চাল বাজারে আসা শুরু করতে পারে।

দেশে কোনো মৌসুমে উৎপাদন ব্যাহত হলে চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। ২০১৭ সালে হাওরে আগাম বন্যায় বোরো মৌসুমের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন এক সপ্তাহে প্রতি কেজি মোটা

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

নির্বাচনমুখী সরকার
ইসি গঠনে সার্চ কমিটি চূড়ান্ত প্রধান হচ্ছেন বিচারপতি জুবায়ের
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনমুখী হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চূড়ান্ত হয়েছে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সই হওয়ার পর যে কোনো সময়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাত্রা শুরু হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ তৈরি করতে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ সংক্রান্ত আইনে সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি এবং সদস্য হিসেবে হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠন হয়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সই হওয়ার পর বুধবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে। গতকাল সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের সঙ্গে বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নয়াদিগন্ত:

রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে অবস্থান পাল্টাবে না বিএনপি
রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো: সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ইস্যুতে অবস্থান পাল্টাবে না বিএনপি। এ ইস্যুতে ইতোমধ্যে সংবিধানের বাইরে না যাওয়ার যে অবস্থান জানিয়েছে দলটি, সেটিতেই তারা বহাল থাকবে।

রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ছাত্রনেতারা বিএনপির সাথে বৈঠকের দুই দিন পর গত সোমবার রাতে এ নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। জানা গেছে, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে সাংবিধানিক শূন্যতা বা রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়, এমন কোনো উদ্যোগ না নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বলছেন, বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও সাংবিধানিক পথেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সুতরাং সেই সংবিধানকে উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যৌক্তিক হবে না। দলটি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংবিধানকে বাতিল ঘোষণা করা হলে দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট বা রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হবে। এমনটা হলে নির্বাচন আরো পিছিয়ে যেতে পারে, যা দেশকে গভীর সঙ্কটের দিকে নিয়ে যেতে পারে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে দলীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কারে দশটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কয়েক দফা সংলাপও করে সরকার। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন তার পদত্যাগের দাবি তোলে।

যুগান্তর:

রিট থেকে সরে এলেন তিন আবেদনকারী
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে যে রিট হয়েছে, তা না চালানোর কথা জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী। একই সঙ্গে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) বৈধতা নিয়ে করা রিটটিও না চালানোর কথা জানানো হয়েছে।

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার রিট দুটি না চালানোর কথা জানান রিট আবেদনকারীদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। এরপর আদালত রিট আবেদন দুটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

আইনজীবী আহসানুল করীম বলেন, কোনো মামলা যদি ক্লায়েন্ট (মক্কেল) প্রত্যাহার করতে চান, তিনি তখন মামলা প্রত্যাহার করার ইনস্ট্রাকশন দেন। আর আইনজীবী সে হিসাবে কাজ করেন। মক্কেল কখনো বলেন না তিনি কী কারণে ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছেন। সুতরাং আমি তো বলতে পারব না কী কারণে মামলাটা চালানো হচ্ছে না। এ বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা বোঝা যায়, সার্বিক গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য, দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য তারা (আবেদনকারী) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখন কোনো মামলা চালাতে না চায়, তখন কার্যতালিকা থেকে বাদ হয়ে যায়। আবেদনে ১১ দলের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে ভুলক্রমে কিছু দলের নাম চলে এসেছে। কিছু নাম বাদও পড়েছে। সেটা সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। যদি মামলা মুভ হতো, তাহলে নামগুলো বাদ যেত।

দৈনিক সংগ্রাম:

সেনা-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে পাকড়াও হচ্ছে দাগি অপরাধীরা
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। কিছুদিন পর থেকে হঠাৎ পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটতে থাকে। রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি স্থানে বাড়তে থাকে খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক কারবারীসহ বিভিন্ন অপরাধ। বিশেষ করে অভ্যুত্থানের পর পুলিশ বাহিনীর কিছুটা নিষ্কিয়তার সুযোগে অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। থানায় পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ ও টহল না থাকায় অপরাধীরা এ সুযোগটিকে কাজে লাগায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় দ্রুত অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না।

এরই মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ কয়েকটি স্থানে বড় ধরনের কয়েকটি অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটে। সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরে একটি বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃত কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত হয় র‌্যাব ও পুলিশ। এতে দেখা যায়-সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাবেক কয়েকজন সদস্য মিলে গড়ে তোলা চক্রটি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি দুর্ধর্ষ অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে মোহাম্মদপুরে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা। দিনেদুপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে পথচারীর টাকা নিয়ে যাচ্ছে ছিনতাইকীরা। এরপর নতুন করে ঢাকাসহ সারাদেশে অপরাধীদের পাকড়াওয়ে বিশেষ অভিযান শুরুর নির্দেশ দেয়া হয় পুলিশ সদর দফতর থেকে। আগে থেকেই চলমান বিশেষ অভিযানকে জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল হোসেন। এই অভিযানের মধ্যেই মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত সন্দেহে গত তিন দিনে ১০৮ জনকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মানবজমিন:

বিচারপতি জুবায়েরের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান করা হচ্ছে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি মানবজমিনকে বলেন, সার্চ কমিটির প্রধান হবেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। অন্যদের নাম এখনই প্রকাশ করছি না। আজ (মঙ্গলবার) প্রজ্ঞাপন হচ্ছে না, তবে খুব শিগগিরই হবে। এর আগে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে মনোনীত করেন প্রধান বিচারপতি। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের এই দুই বিচারপতির নাম সুপারিশ করে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন।

কালবেলা:

রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে কাউন্সিল চান ছাত্রনেতারা
রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। রাজধানীর পল্টন মুক্তিভবনে বৈঠকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আইন সংশোধন জাতীয় ঐকমত্য গঠন নিয়ে কথা হয়।

বৈঠকে ছাত্রনেতাদের পক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, আমরা চাই সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি কাউন্সিল হোক। সেখানে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কে কোন প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি হবেন, তা তারাই আলোচনা করে নির্ধারণ করুক। কিন্তু ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অংশ হওয়া যাবে না, এটা আমাদের উদ্বেগ। আমাদের দাবি ছিল, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা বলিনি যে রাষ্ট্রপতিকে বিলোপ করে কাউকে নিয়োগ দেব। আমাদের কোনো প্রস্তাবও নেই। কে রাস্ট্রপতি হবে, কীভাবে হবে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজন বসে ঠিক করুক। তবে যেন সজ্জন কোনো ব্যক্তিকে রাখা হয়।

দেশরুপান্তর:

সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো নয় : তারেক
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সংবিধানের সঙ্গে যুক্ত বিষয়ে তাড়াহুড়া না করে সুচিন্তিতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ পর্যায়ে এসে এর গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে যে ধরনের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এবং তাতে এ ধরনের বিতর্ক সরকারের গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটা সরকারের লক্ষ্যচ্যুত হওয়ার কারণ হতে পারে। এ কারণে বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কিংবা সরাসরি সংবিধানের বিধিবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া পরিহার করে সুচিন্তিত ও সুবিবেচিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে ভবিষ্যতে উদ্ভূত যেকোনো জটিল প্রশ্ন বা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, কোনোভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ এই সরকার ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ও বাংলাদেশি শক্তির ব্যর্থতা হবে। মাফিয়া সরকারের পলায়নের পর তাৎক্ষণিক গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহল ছাড়াও বর্তমানে খোদ সরকারের মধ্যেও নানা রকম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেন বর্তমান সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে কিংবা বর্তমান সরকার কি বিপ্লবী সরকার কেউ কেউ এ ধরনের প্রশ্ন তুলছে।’