ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জবির ছাত্রী হল’বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এর নাম পরিবর্তন Logo ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, দাবি ইসরায়েলের Logo গাজাতেও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ইসরায়েলের বিরোধী নেতার Logo আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ইসরাইলের, ধন্যবাদ জানিয়েছে ট্রাম্পকে Logo অর্থনীতিতে আবারও ভয় ধরাচ্ছে যুদ্ধ Logo ইসরায়েলে ক্ষেপণান্ত্র হামলা চালানোর পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর বলছে ইরান Logo রাজনীতি থেকে সরে আসার পর ছাত্রদল নেত্রী ইপ্সিতার মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা? Logo আজ থেকে বাংলাদেশে প্রথমবার চালু হচ্ছে গুগল পে Logo ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইরান, জানালেন ইরানে সিনিয়র কর্মকর্তা Logo ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পরও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

আবেগাপ্লুত হয়ে নোয়াখালীবাসীর সহযোগিতা চাইলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত স্নাতক প্রথম বর্ষের (সম্মান) শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত হয়ে নোয়াখালীবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। আবেগাপ্লুত তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীর মেহমান, তাই এ অঞ্চলের সকলের উচিত ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতা করা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর ২০২৪) নোবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ও বিকেল দুই পর্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নোয়াখালী জনাব খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ এবং নোয়াখালীর এসপি (ইনচার্জ) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করা হয়। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল শুরুতেই নবীন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহতের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এসময় তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটা মুক্ত ক্যাম্পাস। আমরা ভয় থেকে, অন্যায় থেকে মুক্ত একটা ক্যাম্পাস তৈরি করতে চাই। তিনি আরো বলেন, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাই হলে আসন বরাদ্দ পাবে। এসময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে এক্ষেত্রে নোয়াখালীবাসীর সহযোগিতা চান। তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীর মেহমান, তাই এ অঞ্চলের সকলের উচিত ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতা করা।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১৮-২০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রতিবছর টারশিয়ারি তথা উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে আসতে পারে। তোমরা সেসব ভাগ্যবানদের একজন, তোমাদের মা-বাবারাও সফলকাম। ছাত্রজীবনে সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে, সময়ের সদ্ব্যবহার যে করবে সে ভবিষ্যত গড়ে নেবে।  এসময় তিনি আরো বলেন, সারাবিশ্ব তোমাদের জ্ঞানচর্চার জন্য উম্মুক্ত।  সর্বাগ্রে তোমাদের প্রত্যেককে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীকে যাতে করে আর্থিক কারণে মাঝপথে উচ্চশিক্ষার পথ থেকে বিচ্যুত হতে না হয়, সেদিকে আমরা সচেষ্ট থাকবো। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন সকল সহযোগিতা করার আশ্বাস দিচ্ছে।

নোয়াখালীর এস. পি (ইনচার্জ) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব বিজয়া সেন বলেন, নবাগত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ সবাইকে অভিনন্দন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো, সংবাদপত্রের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুক এখন বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু এই মাধ্যম থেকে যাচাই না করে কোন তথ্যকে গ্রহণ করবো না। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই মাধ্যমগুলো আমাদের ব্যবহার করতে হবে। আরেকটি কথা মানুষ হিসেবে সবাইকে আমরা সমান চোখে দেখবো, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষদের সাথে আমরা কখনোই খারাপ আচরণ করবো না। শালীনতার সাথে চলাফেরা করবো এবং ইভটিজিংকে না বলবো। আচরণ এবং ভালো মন্দ বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে অনেক যত্নশীল হতে হবে। শুধু সার্টিফিকেট অর্জন নয়, আমাদের সত্যিকারের মানুষ হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টরসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন ক্লাবের স্টলসমূহ ঘুরে দেখেন ও গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

জবির ছাত্রী হল’বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এর নাম পরিবর্তন

আবেগাপ্লুত হয়ে নোয়াখালীবাসীর সহযোগিতা চাইলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য

আপডেট সময় ০৮:০৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত স্নাতক প্রথম বর্ষের (সম্মান) শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত হয়ে নোয়াখালীবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। আবেগাপ্লুত তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীর মেহমান, তাই এ অঞ্চলের সকলের উচিত ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতা করা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর ২০২৪) নোবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ও বিকেল দুই পর্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নোয়াখালী জনাব খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ এবং নোয়াখালীর এসপি (ইনচার্জ) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করা হয়। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল শুরুতেই নবীন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহতের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এসময় তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটা মুক্ত ক্যাম্পাস। আমরা ভয় থেকে, অন্যায় থেকে মুক্ত একটা ক্যাম্পাস তৈরি করতে চাই। তিনি আরো বলেন, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাই হলে আসন বরাদ্দ পাবে। এসময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে এক্ষেত্রে নোয়াখালীবাসীর সহযোগিতা চান। তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীর মেহমান, তাই এ অঞ্চলের সকলের উচিত ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতা করা।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১৮-২০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রতিবছর টারশিয়ারি তথা উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে আসতে পারে। তোমরা সেসব ভাগ্যবানদের একজন, তোমাদের মা-বাবারাও সফলকাম। ছাত্রজীবনে সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে, সময়ের সদ্ব্যবহার যে করবে সে ভবিষ্যত গড়ে নেবে।  এসময় তিনি আরো বলেন, সারাবিশ্ব তোমাদের জ্ঞানচর্চার জন্য উম্মুক্ত।  সর্বাগ্রে তোমাদের প্রত্যেককে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীকে যাতে করে আর্থিক কারণে মাঝপথে উচ্চশিক্ষার পথ থেকে বিচ্যুত হতে না হয়, সেদিকে আমরা সচেষ্ট থাকবো। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন সকল সহযোগিতা করার আশ্বাস দিচ্ছে।

নোয়াখালীর এস. পি (ইনচার্জ) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব বিজয়া সেন বলেন, নবাগত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ সবাইকে অভিনন্দন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো, সংবাদপত্রের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুক এখন বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু এই মাধ্যম থেকে যাচাই না করে কোন তথ্যকে গ্রহণ করবো না। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই মাধ্যমগুলো আমাদের ব্যবহার করতে হবে। আরেকটি কথা মানুষ হিসেবে সবাইকে আমরা সমান চোখে দেখবো, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষদের সাথে আমরা কখনোই খারাপ আচরণ করবো না। শালীনতার সাথে চলাফেরা করবো এবং ইভটিজিংকে না বলবো। আচরণ এবং ভালো মন্দ বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে অনেক যত্নশীল হতে হবে। শুধু সার্টিফিকেট অর্জন নয়, আমাদের সত্যিকারের মানুষ হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টরসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন ক্লাবের স্টলসমূহ ঘুরে দেখেন ও গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।