ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে দেশ সাজাতে চায় বিএনপি: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আগামীতে জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি দেশ সাজাতে চায়।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নিয়ে এক আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা না থাকায় দেশে শান্তি আছে জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী বিহীন বাংলাদেশ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না।

তিনি বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো রয়ে গেছেন। ওই দোসরদের রেখে দেশ এগোতে পারে না। ওরা ষড়যন্ত্র করছে৷ তবে জামায়াত ও বিএনপি একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে আর আওয়ামী লীগ আসতে পারবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘দেশের স্বার্থে দুই দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জামায়াত ও বিএনপি মিলে একসঙ্গে দেশ সাজাবো।’

মির্জা আব্বাস বলেন, জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে আমার মিষ্টি মধুর সম্পর্ক অনেকদিন আগে থেকে। ২০০১ সালে জামায়াত নেতৃবৃন্দ আমার জন্য কাজ করেছিলেন, আলাদা টিম করে সহযোগিতা করেছেন। তারা প্রতিরাতে দেখা করে যেতেন। নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, মীর কাশেম আলীদের সঙ্গে আমি জেল খেটেছি। জেলে তাদেরকে কাছ থেকে চিনেছি। ১৭ বার জেলে গেছি আওয়ামী লীগের আমলে। হাসি-কান্নার মধ্য দিয়ে আমাদের দিনগুলো কেটে গেছে। সেই কষ্টের বিনিময়েই হয়ত আমরা গত ৫ আগস্ট ফসল ঘরে তুলে নিয়েছি। কিছু পাই না পাই শান্তি একটা আছে তাহলে দেশে হাসিনা নাই।

২৮ অক্টোবরের ঘটনায় মামলা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, লগি-বৈঠার তাণ্ডবে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবার মামলা করেন। মামলা করে ওদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৪০ বছর পর যদি শেখ মুজিব হত্যার বিচার হয় তাহলে ৮০ বছর পর হলেও ২৮ অক্টোবরের বিচার হতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে দেশ সাজাতে চায় বিএনপি: মির্জা আব্বাস

আপডেট সময় ০৩:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আগামীতে জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি দেশ সাজাতে চায়।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নিয়ে এক আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা না থাকায় দেশে শান্তি আছে জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী বিহীন বাংলাদেশ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না।

তিনি বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো রয়ে গেছেন। ওই দোসরদের রেখে দেশ এগোতে পারে না। ওরা ষড়যন্ত্র করছে৷ তবে জামায়াত ও বিএনপি একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে আর আওয়ামী লীগ আসতে পারবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘দেশের স্বার্থে দুই দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জামায়াত ও বিএনপি মিলে একসঙ্গে দেশ সাজাবো।’

মির্জা আব্বাস বলেন, জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে আমার মিষ্টি মধুর সম্পর্ক অনেকদিন আগে থেকে। ২০০১ সালে জামায়াত নেতৃবৃন্দ আমার জন্য কাজ করেছিলেন, আলাদা টিম করে সহযোগিতা করেছেন। তারা প্রতিরাতে দেখা করে যেতেন। নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, মীর কাশেম আলীদের সঙ্গে আমি জেল খেটেছি। জেলে তাদেরকে কাছ থেকে চিনেছি। ১৭ বার জেলে গেছি আওয়ামী লীগের আমলে। হাসি-কান্নার মধ্য দিয়ে আমাদের দিনগুলো কেটে গেছে। সেই কষ্টের বিনিময়েই হয়ত আমরা গত ৫ আগস্ট ফসল ঘরে তুলে নিয়েছি। কিছু পাই না পাই শান্তি একটা আছে তাহলে দেশে হাসিনা নাই।

২৮ অক্টোবরের ঘটনায় মামলা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, লগি-বৈঠার তাণ্ডবে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবার মামলা করেন। মামলা করে ওদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৪০ বছর পর যদি শেখ মুজিব হত্যার বিচার হয় তাহলে ৮০ বছর পর হলেও ২৮ অক্টোবরের বিচার হতে হবে।