ইরানের সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধের জন্য এখনো ইসরায়েল পুরোপুরি প্রস্তুত নয় বলে জানিয়েছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি জানান, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বড় যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে, তবে তা এখনই নয়। তার মতে, ইসরায়েল বর্তমানে কৌশলগতভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এ কারণে ইরানে তাদের হামলার পরিসর ছিল সীমিত।
ইজাদি ইঙ্গিত করেন, ২০০৬ সালে লেবাননে হামলার আগে ইসরায়েল এক বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল। তেমনি ইরানের ক্ষেত্রেও এমনই পরিকল্পনা চলতে পারে।
তার মতে, ইসরায়েল ভবিষ্যতে আরও বড় আকারের যুদ্ধে জড়াতে পারে, তবে এ মুহূর্তে সময় নিচ্ছে।
মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের এক বিশ্লেষক ধারণা করেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এ আক্রমণের পেছনে কেবল ইমেজ নয়, বরং বৃহৎ রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত। বিশেষত আমেরিকান প্রশাসন দুর্বল অবস্থানে থাকায় ইসরায়েল আরও স্বাধীনভাবে এ ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারছে। এদিকে ইসরায়েলের অব্যাহত সামরিক পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ উদ্বিগ্ন। কুইন্সি ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিতা পার্সি সতর্ক করে বলেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলের এ সামরিক তৎপরতা আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা এ সংঘর্ষের আরও কয়েকটি ধাপ দেখতে পারি, যার পরিণতি হতে পারে আরও ভয়াবহ।
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। দেশটির জনগণের একাংশ এমন সামরিক আগ্রাসন নিয়ে শঙ্কিত। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আপাতত সক্ষম বলে দাবি করা হলেও, এমন অব্যাহত যুদ্ধে দেশটি আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।