ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সুন্দরবনে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নাম Logo বাংলাদেশে ঢুকে আম গাছ কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা Logo দেশের মানুষ চায় তরুণরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করুক: সারজিস Logo ইডেন কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo বিএনপির ভাবনায় শুধুই ভোট Logo ‘লাল সন্ত্রাস’চায় ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা, মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo শীত নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস Logo ইসরায়েলের পূর্ণ মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি অনুমোদন, কার্যকরের দিন ঘোষণা Logo বিএনপির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিলেন ছাত্রহত্যা আসামি শ্রমিকলীগ নেতা, খুঁজে পায় না পুলিশ Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতের লড়াই চালু থাকবে : জামায়াতের আমীর

রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে পিটিয়ে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • 97

রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এলে জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া নামে এ নেত্রীকে পুলিশে দেওয়া হয়।

বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া পিয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

এদিকে ছাত্রলীগের নেত্রী পিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের এ নেত্রীকে মারতে মারতে পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন দুই নারী শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী কলেজের ছাত্রী। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।

এ বিষয়ে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা দিতে কলেজে এসেছিলেন। পরীক্ষা চলাকালেই একদল শিক্ষার্থী আসেন এবং তারা জানান, মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে একটি মামলার এজাহার দেখান, যেখানে আসামি হিসেবে পিয়ার নাম রয়েছে। এটি দেখার পর অধ্যক্ষ পুলিশে ফোন করতে চান। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজেরাই পুলিশ ডেকেছেন।

অধ্যক্ষ জানান, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলা পর্যন্ত বাইরে অপেক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষ হলে তারা পরীক্ষা কক্ষের ভেতরে যান। এরপর সেনাবাহিনীর সহায়তায় নারী পুলিশ সদস্যরা পিয়াকে ধরে নিয়ে যায়।

এদিকে, ছাত্রলীগের নেত্রী পিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য পরীক্ষার্থীরা বসে আছেন। সেখানেই পিয়াকে চড় মারছেন এক নারী। পিয়া জানতে চাইছেন, ‘আমার অপরাধ কী?’

একপর্যায়ে পরীক্ষার হলেই অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যান পিয়া। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে। তারা যখন পিয়াকে পরীক্ষার হল থেকে বের করছিল, তখন ছাত্রলীগ নেত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন দুই নারী। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় পিয়া ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরণে’, ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পিয়াকে নিয়ে যখন পুলিশের গাড়ি কলেজ থেকে বের হচ্ছিল, তখন অনেকেই ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন।

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়ামের ফোনে কল করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে এ বিষয়ে কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। কলেজ থেকে আনার পরই তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরবনে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নাম

রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে পিটিয়ে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৯:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এলে জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া নামে এ নেত্রীকে পুলিশে দেওয়া হয়।

বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া পিয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

এদিকে ছাত্রলীগের নেত্রী পিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের এ নেত্রীকে মারতে মারতে পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন দুই নারী শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী কলেজের ছাত্রী। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।

এ বিষয়ে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা দিতে কলেজে এসেছিলেন। পরীক্ষা চলাকালেই একদল শিক্ষার্থী আসেন এবং তারা জানান, মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে একটি মামলার এজাহার দেখান, যেখানে আসামি হিসেবে পিয়ার নাম রয়েছে। এটি দেখার পর অধ্যক্ষ পুলিশে ফোন করতে চান। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজেরাই পুলিশ ডেকেছেন।

অধ্যক্ষ জানান, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলা পর্যন্ত বাইরে অপেক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষ হলে তারা পরীক্ষা কক্ষের ভেতরে যান। এরপর সেনাবাহিনীর সহায়তায় নারী পুলিশ সদস্যরা পিয়াকে ধরে নিয়ে যায়।

এদিকে, ছাত্রলীগের নেত্রী পিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য পরীক্ষার্থীরা বসে আছেন। সেখানেই পিয়াকে চড় মারছেন এক নারী। পিয়া জানতে চাইছেন, ‘আমার অপরাধ কী?’

একপর্যায়ে পরীক্ষার হলেই অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে যান পিয়া। কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে। তারা যখন পিয়াকে পরীক্ষার হল থেকে বের করছিল, তখন ছাত্রলীগ নেত্রীকে মারধর করতে শুরু করেন দুই নারী। পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় পিয়া ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরণে’, ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পিয়াকে নিয়ে যখন পুলিশের গাড়ি কলেজ থেকে বের হচ্ছিল, তখন অনেকেই ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন।

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়ামের ফোনে কল করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে এ বিষয়ে কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। কলেজ থেকে আনার পরই তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’