ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছাত্রলীগের নির্যাতনের বর্ণনা

সুইসাইড নোট লিখিয়ে নিয়ে বলে এবার তোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবো’

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • 22

আওয়ামীলীগের আমলের লুটপাট ,ছাত্রলীগের ভয়াবহ র্নিযাতন বর্ণনা আজকের প্রতিগুলোতে প্রকাশ করা খবর নিয়ে সাজানাে হয়েছে আজকের প্রত্রিকাগুলোর খবব

নয়াদিগন্ত:

ছাত্রলীগের নির্যাতনের বর্ণনা/সুইসাইড নোট লিখিয়ে নিয়ে বলে এবার তোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবো’

ছাত্রলীগের নেত্রী আমাকে এতটাই নির্যাতন করছিল যে, আমার কাছ থেকে সুইসাইড নোট লিখে নিয়ে বলে, ‘এবার তোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখব’। ফুলপরী খাতুন বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন যদি রাজনৈতিক দলের হাতে জিম্মি না থাকে, তাহলে সকল শিক্ষার্থীর জন্যই নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরি হবে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ‘শিক্ষা অধিকার সংসদ’-এর আয়োজনে ‘ক্যাম্পাসে নির্যাতিত ছাত্রীদের জবানবন্দী ও বৈষম্যহীন শিক্ষাঙ্গন গড়ার দায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা এমনভাবে দিচ্ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন।
অনুষ্ঠানে সভায় নিজেদের নিপীড়নের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা ও কাজি ফারজানা মিম, ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী জয়মা মুনমুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের সংগ্রামী সিনথিয়া মেহরিন সকাল।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা নিবর্তনমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ১ বছর জেল খাটেন। কিডনি রোগ থাকা সত্ত্বেও ঢাকার একটি আদালত বারবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ করে আসছিলেন। অবশেষে কীভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলা থেকেই অব্যাহতি পান সে গল্প তুলে ধরে তিনি বলেন, বিনা দোষে জেল খাটার পরও আমার পক্ষে বিভাগের থেকে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। কিছু কিছু শিক্ষকের পক্ষ থেকে যে আচরণ পেয়েছি, তাতে সবচেয়ে বেদনাহত হয়েছি। ভাইভা বোর্ডে যেভাবে প্রশ্ন করে হেনস্তা করা হয়েছে, সেটি আমাকে সবচেয়ে বেশি ব্যথিত করেছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের সংগ্রামী সিনথিয়া মেহরিন সকাল বলেন, ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাড়া করে আমার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে। আমার কানে বিকট একটা সাউন্ড হওয়ার সাথে সাথে নিচে লুটিয়ে পড়ি; তখন ভেবে নিয়েছিলাম যে মারা গিয়েছি। স্বৈরাচারের পতনে, বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে কিন্তু আমার ভোগান্তি শেষ হয়নি। মাথার আঘাতের ফল প্রতিদিন সহ্য করতে হচ্ছে। নিজের চঞ্চলতা আর ধরে রাখতে পারিনি। কথা বলতে গেলেও থেমে যেতে হয়। বেঁচে আছি এই ঢের বেশি। আমি একটা জীবন্ত শহীদ!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ৯ দফার ঘোষক আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের নারী সহযোদ্ধারা যেভাবে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল তা আমাদের বিজয় অর্জিত হওয়ার পথকে সুগম করেছে। তারা সকল বাধা ডিঙিয়ে সামনে এসেছিল। এর ফলেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে।

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা অধিকার সংসদের আহ্বায়ক ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসরিয়াল ফেলো, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা-গবেষক অধ্যাপক ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, শিক্ষা ভেঙে পড়লেও তরুণরা ভেঙে পড়েনি। সেটাই আমাদের আশার পথ। আজকের আলাপ শিক্ষা অধিকার সংসদের ১৪ দফার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতে অন্য সংখ্যাগুলো নিয়ে কাজ করব। আমরা শিক্ষার সকল অন্তর্ভুক্তিমূলক ও তরুণদের অংশগ্রহণে কাজ করি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

কাগজে ১১১ বাস্তবে ৫০০ কোটি
লোটাস কামালের বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ
সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) ও তার পরিবারের নামে ১১১ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬০ কোটি টাকা জমা রাখার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দালিলিক মূল্য শত কোটি টাকা, বাস্তবে মূল্য হবে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা।

গতকাল দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে মুস্তফা কামাল, তার স্ত্রী কাশমেরী কামাল ও সন্তানদের নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসহ শতাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, রাজউক, ঢাকা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রেজিস্ট্রার অফিস ও ভূমি অফিসসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নথিপত্র তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

কালের কন্ঠ:

বাতিল হচ্ছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ
দেশের জন্য যুদ্ধ না করেও জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে নিজের বাবা জসমতুল্লাহর নাম বদলে মশমতুল্লাহ করেন। ক্ষমতার দাপটে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে আদমদীঘির প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মজিবরকে বাদ দিয়ে তাঁর লাল মুক্তিবার্তা নম্বর (৩০৬০৯০১২১) ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা বনে যান মজনু। কিন্তু বিধিবাম, ধরা খান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) শুনানিকালে।পরে তাঁর ১৮৬৩ নম্বর বেসামরিক গেজেট ও সনদ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শুধু মজিবর নন, শেখ হাসিনার টানা তিন মেয়াদে কমবেশি ১৮ হাজার ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি করেছে মন্ত্রণালয়। তাঁদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যে আছেন হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রও।

যুগান্তর:

ঝালকাঠিতে আমুর ছায়ায় কোটিপতি ডজনখানেক
সন্ত্রাস টেন্ডারবাজিতে বিপুল বিত্ত

আওয়ামী শাসনামলের ১৬ বছরে বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছেন ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) নির্বাচনি এলাকার অন্তত ডজনখানেক আওয়ামী লীগ নেতা। দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ক সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ছায়ায় থেকে অনৈতিক উপায়ে তারা এ সম্পদের মালিক হয়েছেন। নেতার (আমু) ছায়ায় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, দখল, সন্ত্রাসসহ অবৈধ নানা উপায়ে তারা হয়েছেন কোটিপতি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অবশ্য এদের কেউই আর এলাকায় নেই। তবে তাদের আলিশান ভবন ঠিকই রয়ে গেছে দ্বিতীয় কলকাতা খ্যাত ঝালকাঠিতে।

নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়ের রেকর্ড খুব একটা না থাকা আমু সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-২ আসনে হেরে যান জাতীয় পার্টির প্রার্থী মরহুম জুলফিকার আলী ভুট্টোর কাছে। নির্বাচনে হারলেও টেকনোক্রেট কোটায় তাকে খাদ্যমন্ত্রী করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০০ সালে এমপি ভুট্টোর রহস্যজনক মৃত্যু হলে উপনির্বাচনে অনেকটা জোর করে তার স্ত্রী ইলেন ভুট্টোকে হারিয়ে এমপি হন আমু। ২০০১’র নির্বাচনে অবশ্য সেই ইলেন ভুট্টোর কাছেই তিনি আবার হেরে যান। এরপর তার কথিত জয়যাত্রা শুরু হয় ২০০৮’র নির্বাচন থেকে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বর্জন ও একতরফা নির্বাচনে পরপর চারবার এমপি হন তিনি। এর মধ্যে একবার তিনি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ক্ষমতায় থাকাকালে পুরো ঝালকাঠিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন মূর্তিমান আতঙ্ক হিসাবে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর মাঠে নামা তো দূর, নাম মুখে নিলেও হতে হতো হামলা, মারধর আর মামলার শিকার। আমুর এসব কর্মকাণ্ড দেখভাল করতেন ঝালকাঠিরই কিছু নেতা। আমুর শিষ্য হিসাবে তারাই নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলার টেন্ডার, চাঁদাবাজিসহ অবৈধ আয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম। বিনিময়ে নির্দিষ্ট অঙ্কের পার্সেন্টেজ পৌঁছে যেত আমুর কাছে। তার নিজস্ব লোক হিসাবে মাঠে থাকা এসব নেতাও পকেটে পুরতেন কোটি টাকা। এভাবে টানা ১৬ বছরের অবৈধ আয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া নেতাদের তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ।

দৈনিক সংগ্রাম:

লুটপাটের সুবিধার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল করে দিয়েছিল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ 
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ: অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সংলাপে রাজনৈতিক ব্যবস্থা যতদিন ঠিক না হবে ততদিন পর্যন্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ঠিক হবে না। এ মুহূর্তে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দেয়া সরকারের উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, চুরির ঘটনায়ও যদি মামলা করার প্রয়োজন পড়ত, কোনো থানা নিত না। চুরির মামলা নেয়ার জন্য এলাকার নেতাদের অনুমতি নিতে হতো। সাবেক সরকারের সময় দেশটা এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, যে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাটের সুবিধার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল করে দেয়া হয়েছিল। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। এজন্য আর্থিক, রাজস্ব, সরকারি খাতগুলোতে মনোযোগ দিলে অনেকাংশে সংকট উত্তরণ করা সম্ভব হবে। ব্যাংকগুলোকে সবল করতে হলে খেলাপি ঋণ আদায় করা শুরু করতে হবে।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সম্মেলন কক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ: অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর চেয়ার মুনিরা খানের সভাপতিত্বে সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শাহিদুল ইসলাম জাহিদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ), সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) চেয়ারম্যান ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিয়াইয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আব্দুল হক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সবুর খান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সাবেক সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা, এফবিসিসিয়াইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন, সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশির চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সালেহ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুপ্রভা সুবহা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাদিক মাহবুব ইসলাম।

মানবজমিন:

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ভোগান্তি
কমলাপুরে টানা দুইদিন ধরে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুরে লাইনচ্যুত হওয়ার পর থেকেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। শুক্রবার ও গতকালও দিনভর ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এতে কমলাপুর স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের।

গতকাল ঢাকা-সিলেট রুটে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-তকাকান্দি রুটে চলাচলকারী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, তুরাগ কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। এদিন সকাল থেকেই সব ধরনের ট্রেনের শিডিউলে বিপর্যয় ঘটেছে। প্রতিদিন কমলাপুর স্টেশন হয়ে ১৮২টি ট্রেন চলাচল করে। অধিকাংশ ট্রেন শুধু একটি রেক দিয়ে চালানো হয়। ফলে একটি ট্রেন সময়মতো না ছাড়লে পরের ট্রেনটিও দেরিতে যায়। রোববারের মধ্যে শিডিউল বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া যাত্রীদের টিকিটের রিফান্ড যথাসময়ে দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।

সমকাল:

চট্টগ্রাম টেস্টের পর নেতৃত্ব ছাড়তে চান শান্ত
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর তিন ফরম্যাটের নেতৃত্বভার ছেড়ে দিতে চান বাঁ-হাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদকে তিনি তার সিদ্ধান্ত কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, বোর্ড সভাপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন শান্ত। বোর্ড সভাপতি বর্তমান দেশের বাইরে আছেন।

বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘হ্যা, শান্ত আমাদের জানিয়েছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চায়।’ বিষয়টি স্বীকার করেছেন শান্তও, ‘দেখা যাক কী হয় (নেতৃত্ব যেহেতু চিন্তার কারণ মনে হচ্ছে), আমি বোর্ড সভাপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’

২০২৩ সালে ব্যাট হাতে অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন শান্ত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ সিরিজ কাটান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন, এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পান। ওই বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হয়ে সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতরান করে ম্যাচ জেতান।

কালবেলা:

বগুড়ায় জামায়াত আমির ফ্যাসিবাদ মুক্তি আন্দোলনে একক মাস্টারমাইন্ড নেই
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদ মুক্তির আন্দোলনের কোনো একক মাস্টারমাইন্ড নেই। দেশের মানুষ আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। আন্দোলনের কৃতিত্ব যুবসমাজের, যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা জুলুম থেকে মুক্তি পেয়েছি। সেইসব বীর শহীদকে জামায়াত দলীয়ভাবে বিবেচনা করে না, তারা জাতীয় বীর।’

গতকাল শনিবার সকালে বগুড়া শহর ও জেলা শাখার সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় দুই যুগ পর এ খেলার মাঠে প্রকাশ্য সমাবেশ করল জামায়াত। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেওয়া বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী গোলাম রব্বানীর নির্বাচনী জনসভা হয়েছিল এ মাঠে। তৎকালীন আমির গোলাম আযম এবং আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সেই জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। এরপর এ মাঠে আর কোনো প্রকাশ্যে সমাবেশ করতে পারেনি জামায়াত। ফলে এবারের সমাবেশ ঘিরে সারা জেলায় ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

 

রাজশাহীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবলীগ কর্মী হত্যা

ছাত্রলীগের নির্যাতনের বর্ণনা

সুইসাইড নোট লিখিয়ে নিয়ে বলে এবার তোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবো’

আপডেট সময় ০৭:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামীলীগের আমলের লুটপাট ,ছাত্রলীগের ভয়াবহ র্নিযাতন বর্ণনা আজকের প্রতিগুলোতে প্রকাশ করা খবর নিয়ে সাজানাে হয়েছে আজকের প্রত্রিকাগুলোর খবব

নয়াদিগন্ত:

ছাত্রলীগের নির্যাতনের বর্ণনা/সুইসাইড নোট লিখিয়ে নিয়ে বলে এবার তোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবো’

ছাত্রলীগের নেত্রী আমাকে এতটাই নির্যাতন করছিল যে, আমার কাছ থেকে সুইসাইড নোট লিখে নিয়ে বলে, ‘এবার তোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখব’। ফুলপরী খাতুন বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন যদি রাজনৈতিক দলের হাতে জিম্মি না থাকে, তাহলে সকল শিক্ষার্থীর জন্যই নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরি হবে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ‘শিক্ষা অধিকার সংসদ’-এর আয়োজনে ‘ক্যাম্পাসে নির্যাতিত ছাত্রীদের জবানবন্দী ও বৈষম্যহীন শিক্ষাঙ্গন গড়ার দায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা এমনভাবে দিচ্ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন।
অনুষ্ঠানে সভায় নিজেদের নিপীড়নের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা ও কাজি ফারজানা মিম, ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী জয়মা মুনমুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের সংগ্রামী সিনথিয়া মেহরিন সকাল।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা নিবর্তনমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ১ বছর জেল খাটেন। কিডনি রোগ থাকা সত্ত্বেও ঢাকার একটি আদালত বারবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ করে আসছিলেন। অবশেষে কীভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলা থেকেই অব্যাহতি পান সে গল্প তুলে ধরে তিনি বলেন, বিনা দোষে জেল খাটার পরও আমার পক্ষে বিভাগের থেকে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। কিছু কিছু শিক্ষকের পক্ষ থেকে যে আচরণ পেয়েছি, তাতে সবচেয়ে বেদনাহত হয়েছি। ভাইভা বোর্ডে যেভাবে প্রশ্ন করে হেনস্তা করা হয়েছে, সেটি আমাকে সবচেয়ে বেশি ব্যথিত করেছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের সংগ্রামী সিনথিয়া মেহরিন সকাল বলেন, ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাড়া করে আমার মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে। আমার কানে বিকট একটা সাউন্ড হওয়ার সাথে সাথে নিচে লুটিয়ে পড়ি; তখন ভেবে নিয়েছিলাম যে মারা গিয়েছি। স্বৈরাচারের পতনে, বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে কিন্তু আমার ভোগান্তি শেষ হয়নি। মাথার আঘাতের ফল প্রতিদিন সহ্য করতে হচ্ছে। নিজের চঞ্চলতা আর ধরে রাখতে পারিনি। কথা বলতে গেলেও থেমে যেতে হয়। বেঁচে আছি এই ঢের বেশি। আমি একটা জীবন্ত শহীদ!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ৯ দফার ঘোষক আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের নারী সহযোদ্ধারা যেভাবে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল তা আমাদের বিজয় অর্জিত হওয়ার পথকে সুগম করেছে। তারা সকল বাধা ডিঙিয়ে সামনে এসেছিল। এর ফলেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে।

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা অধিকার সংসদের আহ্বায়ক ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসরিয়াল ফেলো, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা-গবেষক অধ্যাপক ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, শিক্ষা ভেঙে পড়লেও তরুণরা ভেঙে পড়েনি। সেটাই আমাদের আশার পথ। আজকের আলাপ শিক্ষা অধিকার সংসদের ১৪ দফার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতে অন্য সংখ্যাগুলো নিয়ে কাজ করব। আমরা শিক্ষার সকল অন্তর্ভুক্তিমূলক ও তরুণদের অংশগ্রহণে কাজ করি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

কাগজে ১১১ বাস্তবে ৫০০ কোটি
লোটাস কামালের বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ
সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) ও তার পরিবারের নামে ১১১ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬০ কোটি টাকা জমা রাখার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দালিলিক মূল্য শত কোটি টাকা, বাস্তবে মূল্য হবে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা।

গতকাল দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে মুস্তফা কামাল, তার স্ত্রী কাশমেরী কামাল ও সন্তানদের নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসহ শতাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, রাজউক, ঢাকা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রেজিস্ট্রার অফিস ও ভূমি অফিসসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে নথিপত্র তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

কালের কন্ঠ:

বাতিল হচ্ছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ
দেশের জন্য যুদ্ধ না করেও জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে নিজের বাবা জসমতুল্লাহর নাম বদলে মশমতুল্লাহ করেন। ক্ষমতার দাপটে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে আদমদীঘির প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মজিবরকে বাদ দিয়ে তাঁর লাল মুক্তিবার্তা নম্বর (৩০৬০৯০১২১) ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা বনে যান মজনু। কিন্তু বিধিবাম, ধরা খান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) শুনানিকালে।পরে তাঁর ১৮৬৩ নম্বর বেসামরিক গেজেট ও সনদ বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শুধু মজিবর নন, শেখ হাসিনার টানা তিন মেয়াদে কমবেশি ১৮ হাজার ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি করেছে মন্ত্রণালয়। তাঁদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যে আছেন হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রও।

যুগান্তর:

ঝালকাঠিতে আমুর ছায়ায় কোটিপতি ডজনখানেক
সন্ত্রাস টেন্ডারবাজিতে বিপুল বিত্ত

আওয়ামী শাসনামলের ১৬ বছরে বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছেন ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) নির্বাচনি এলাকার অন্তত ডজনখানেক আওয়ামী লীগ নেতা। দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ক সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ছায়ায় থেকে অনৈতিক উপায়ে তারা এ সম্পদের মালিক হয়েছেন। নেতার (আমু) ছায়ায় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, দখল, সন্ত্রাসসহ অবৈধ নানা উপায়ে তারা হয়েছেন কোটিপতি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অবশ্য এদের কেউই আর এলাকায় নেই। তবে তাদের আলিশান ভবন ঠিকই রয়ে গেছে দ্বিতীয় কলকাতা খ্যাত ঝালকাঠিতে।

নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়ের রেকর্ড খুব একটা না থাকা আমু সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-২ আসনে হেরে যান জাতীয় পার্টির প্রার্থী মরহুম জুলফিকার আলী ভুট্টোর কাছে। নির্বাচনে হারলেও টেকনোক্রেট কোটায় তাকে খাদ্যমন্ত্রী করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০০ সালে এমপি ভুট্টোর রহস্যজনক মৃত্যু হলে উপনির্বাচনে অনেকটা জোর করে তার স্ত্রী ইলেন ভুট্টোকে হারিয়ে এমপি হন আমু। ২০০১’র নির্বাচনে অবশ্য সেই ইলেন ভুট্টোর কাছেই তিনি আবার হেরে যান। এরপর তার কথিত জয়যাত্রা শুরু হয় ২০০৮’র নির্বাচন থেকে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বর্জন ও একতরফা নির্বাচনে পরপর চারবার এমপি হন তিনি। এর মধ্যে একবার তিনি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ক্ষমতায় থাকাকালে পুরো ঝালকাঠিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন মূর্তিমান আতঙ্ক হিসাবে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর মাঠে নামা তো দূর, নাম মুখে নিলেও হতে হতো হামলা, মারধর আর মামলার শিকার। আমুর এসব কর্মকাণ্ড দেখভাল করতেন ঝালকাঠিরই কিছু নেতা। আমুর শিষ্য হিসাবে তারাই নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলার টেন্ডার, চাঁদাবাজিসহ অবৈধ আয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম। বিনিময়ে নির্দিষ্ট অঙ্কের পার্সেন্টেজ পৌঁছে যেত আমুর কাছে। তার নিজস্ব লোক হিসাবে মাঠে থাকা এসব নেতাও পকেটে পুরতেন কোটি টাকা। এভাবে টানা ১৬ বছরের অবৈধ আয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া নেতাদের তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ।

দৈনিক সংগ্রাম:

লুটপাটের সুবিধার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল করে দিয়েছিল স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ 
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ: অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সংলাপে রাজনৈতিক ব্যবস্থা যতদিন ঠিক না হবে ততদিন পর্যন্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ঠিক হবে না। এ মুহূর্তে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দেয়া সরকারের উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, চুরির ঘটনায়ও যদি মামলা করার প্রয়োজন পড়ত, কোনো থানা নিত না। চুরির মামলা নেয়ার জন্য এলাকার নেতাদের অনুমতি নিতে হতো। সাবেক সরকারের সময় দেশটা এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, যে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাটের সুবিধার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল করে দেয়া হয়েছিল। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। এজন্য আর্থিক, রাজস্ব, সরকারি খাতগুলোতে মনোযোগ দিলে অনেকাংশে সংকট উত্তরণ করা সম্ভব হবে। ব্যাংকগুলোকে সবল করতে হলে খেলাপি ঋণ আদায় করা শুরু করতে হবে।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সম্মেলন কক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ: অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর চেয়ার মুনিরা খানের সভাপতিত্বে সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শাহিদুল ইসলাম জাহিদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ), সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) চেয়ারম্যান ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিয়াইয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আব্দুল হক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সবুর খান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সাবেক সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা, এফবিসিসিয়াইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন, সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশির চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সালেহ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুপ্রভা সুবহা জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাদিক মাহবুব ইসলাম।

মানবজমিন:

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ভোগান্তি
কমলাপুরে টানা দুইদিন ধরে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুরে লাইনচ্যুত হওয়ার পর থেকেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। শুক্রবার ও গতকালও দিনভর ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এতে কমলাপুর স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের।

গতকাল ঢাকা-সিলেট রুটে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-তকাকান্দি রুটে চলাচলকারী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, তুরাগ কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। এদিন সকাল থেকেই সব ধরনের ট্রেনের শিডিউলে বিপর্যয় ঘটেছে। প্রতিদিন কমলাপুর স্টেশন হয়ে ১৮২টি ট্রেন চলাচল করে। অধিকাংশ ট্রেন শুধু একটি রেক দিয়ে চালানো হয়। ফলে একটি ট্রেন সময়মতো না ছাড়লে পরের ট্রেনটিও দেরিতে যায়। রোববারের মধ্যে শিডিউল বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া যাত্রীদের টিকিটের রিফান্ড যথাসময়ে দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।

সমকাল:

চট্টগ্রাম টেস্টের পর নেতৃত্ব ছাড়তে চান শান্ত
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর তিন ফরম্যাটের নেতৃত্বভার ছেড়ে দিতে চান বাঁ-হাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদকে তিনি তার সিদ্ধান্ত কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, বোর্ড সভাপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন শান্ত। বোর্ড সভাপতি বর্তমান দেশের বাইরে আছেন।

বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘হ্যা, শান্ত আমাদের জানিয়েছে যে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চায়।’ বিষয়টি স্বীকার করেছেন শান্তও, ‘দেখা যাক কী হয় (নেতৃত্ব যেহেতু চিন্তার কারণ মনে হচ্ছে), আমি বোর্ড সভাপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’

২০২৩ সালে ব্যাট হাতে অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন শান্ত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ সিরিজ কাটান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন, এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পান। ওই বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হয়ে সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতরান করে ম্যাচ জেতান।

কালবেলা:

বগুড়ায় জামায়াত আমির ফ্যাসিবাদ মুক্তি আন্দোলনে একক মাস্টারমাইন্ড নেই
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদ মুক্তির আন্দোলনের কোনো একক মাস্টারমাইন্ড নেই। দেশের মানুষ আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। আন্দোলনের কৃতিত্ব যুবসমাজের, যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা জুলুম থেকে মুক্তি পেয়েছি। সেইসব বীর শহীদকে জামায়াত দলীয়ভাবে বিবেচনা করে না, তারা জাতীয় বীর।’

গতকাল শনিবার সকালে বগুড়া শহর ও জেলা শাখার সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় দুই যুগ পর এ খেলার মাঠে প্রকাশ্য সমাবেশ করল জামায়াত। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেওয়া বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী গোলাম রব্বানীর নির্বাচনী জনসভা হয়েছিল এ মাঠে। তৎকালীন আমির গোলাম আযম এবং আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সেই জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। এরপর এ মাঠে আর কোনো প্রকাশ্যে সমাবেশ করতে পারেনি জামায়াত। ফলে এবারের সমাবেশ ঘিরে সারা জেলায় ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়।