বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিরাজগঞ্জ জেলা শিয়ালকোল ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর আওয়ামীলীগের লগি বৈঠার আন্দোলনের নামে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীদের নির্মম আঘাতে শহীদদের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ শুক্রবার (২৫ ই অক্টোবর) সৈয়দ আকবর আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিরাজগঞ্জ জেলা জেনারেল সেক্রেটারি জনাব অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর নির্মম নির্যাতনের শিকার ছিলো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতা কর্মীরা। পুলিশ বাহিনী সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ যুবলীগ কৃষক লীগদের দিয়ে জামাতের কর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছিল। ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি আরও বলেন,ভারতে পলাতক অবস্থায় মাঝে মাঝে টেলিফোনে দেশি টুসকে ঢুকে পড়বে । এখনো নাকি তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন যদি আপনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকেন তাহলে দেশে ফিরে আসুন । তারা বলেন তারা নাকি অপরাধী নয় আপনাদের দেশ ছাড়িয়ে পালাছেন বলেই বোঝা যায় আপনারা সবচেয়ে বড় অপরাধী। তিনি আরো বলেন,৭১ সালে জামায়াতের ছিল সঠিক। বিগত ১৫ বছর হাসিনা বুঝিয়ে দিয়েছি ভারতের রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চালিয়েছে । বিগত ১৫ বছরে ভারতের বিরুদ্ধে বাঙালি সমাজে কোন কথা বললে তাদের ঘুম খুন এবং নির্যাতন করা হয়েছে। বাংলাদেশ জামাত ইসলামী নিজের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে আপনারা পাশে থাকলে আবারো জীবনের রক্ত দিয়ে হলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা বজায় রাখবে। উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সিরাজগঞ্জ জেলা মজলিসুরা সদস্য আতাউর রহমান বলেন,হাসিনা সরকার আমাদের রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেছে আমাদের অপরাধে ছিল ইসলামের জন্য প্রচার করেছিলাম ইসলামী বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়েছিলাম এটাই আমাদের বড় অপরাধ ছিল। তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ ছিল ইসলামের বড় শত্রু । উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি বক্তব্যে অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন,২০০৬ সালে অক্টোবর লগে বৈঠা দিয়া আপনার আমাদের উপর আঘাত করেছিল এবং অনেক নিহত হয়েছিল। যারা হত্যা করেছিলো তাদের বিচারের আওতা আনতে হবে। ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর অন্তরবর্তীকালীন সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এনেছিল। ২০১৩ সালে ৫ই মে ঢাকা সপ্তাহ চত্বরে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কিন্তু হাসিনা বলেন শাপলা চত্বরে একজন মারা যায়নি। ২০১৮ সালের দিনের ভোট রাত করেছিল। শিয়ালকোল ইউনিয়ন আমীর মাও: আব্দুস সালামের সভাপতিতে ও ইউনিয়ন সেক্রেটারী মো:আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সেক্রেটারী এ্যাড:নাজিম উদ্দিন ,শিয়ালকোল ইউনিয়ন যুব বিভাগের সেক্রেটারী আব্দুল আজিজ,বহুলী ইউনিয়নের আমীর আঃমালেক,শিয়ালকোল ইউনিয়রে ছাত্রশিরিবের সভাপতি আহমদ আলী সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামাত ইসলামের সিরাজগঞ্জ জেলা শিয়ালকোল ইউনিয়ন শাখার সকল জামাতের কর্মীরা।