বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার অন্তর্গত সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার, সকাল ১০টায় শহরের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে কলেজ শাখার সভাপতি রাজু আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফয়সাল আহমেদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির এর কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি শামীম রেজা, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ এর ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মঈন উদ্দিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব ড. হারিস উদ্দিন, ইসলামিয়া সরকারি কলেজ এর হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব ড. ইসমাঈল হোসেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান বলেন, ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষার্থীদের মেধা ও নৈতিকতা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে, বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা থাকায় ছাত্রশিবির নির্বিঘ্নে মেধাবীদের নিয়ে এমন আয়োজন করতে পারেনি, তবে ছাত্রশিবির কোন অবস্থাতেই কখনও তার কার্যক্রম বন্ধ রাখেনি, বড় আকারে সম্ভব না হলেও ক্ষুদ্র পরিসরে সবসময় মেধাবীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে।
তিনি মেধাবীদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, তিনি শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকমন্ডলি কে ছাত্রশিবির সম্পর্কে জানার উদাত্ত আহ্বান জানান।
বিগত সময়ের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও মিডিয়া আগ্রাসন এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, ছাত্রশিবির সকল জুলুম নির্যাতন সহ্য করে অতীতে টিকে ছিল, আগামীতেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের সকল ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করবে।
প্রধান অতিথি বলেন, ছাত্রশিবির এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান নিশ্চিত করা, বিভিন্ন ছাত্র সমস্যায় সর্বাগ্রে পাশে থাকা।
উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে সার্বক্ষনিক শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ শহর শিবিরের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, অত্যন্ত সূক্ষ্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করে পতিত স্বৈরাচার ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পূর্ণ ধর্মনিরেপক্ষ ব্যবস্থায় সাজিয়ে নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে একটি প্রজন্ম কে ধ্বংসের পাঁয়তারা করেছিল। তিনি বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন ত্রুটি উপস্থাপন করেন।
অধ্যাপক মঈন উদ্দিন বলেন, সৎ, দক্ষ, নীতিবান হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ছাত্রশিবির সহায়ক ভূমিকা পালন করে, তিনি ছাত্রশিবির এর সাথে যুক্ত থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান।
অধ্যাপক ড. হারিস উদ্দিন বলেন, ছাত্রশিবির শুধু মেধার চর্চাই করে না বরং নৈতিকতা বিকাশে ধর্মীয় মূল্যবোধের সুসমন্বয় ঘটায়, সকলকে মেধার পাশাপাশি নৈতিকতার চর্চা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন তিনি।
অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন বলেন, ছাত্রশিবির কে স্টাডি করে দেখেছি তাদের সুসমন্বিত সিলেবাস এর মাধ্যমে সবধরনের ছাত্রদের একসাথে ইসলামী এবং আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে থাকে। তিনি সবাইকে ছাত্রশিবির সম্পর্কে স্টাডি করার আহবান জানান।
এতে প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী ও সচেতন অভিভাবকমন্ডলি উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবির এর পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়, সৃজনশীল প্রকাশনা উপহার প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে একজন ছাত্র এবং একজন ছাত্রী ছাত্রশিবির এর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি ব্যক্ত করেন।