ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিভিল সার্জনরা মন থেকে চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা Logo বাঁশখালীতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo তীব্র গরমে বাগেরহাটের মাঠে হাহাকার’পান-সবজি-মাছ চাষে বিপর্যয় Logo ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার Logo ‘জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ’ এখন পাকিস্তানপন্থি -রাশেদ খাঁন Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল Logo নাটোরে বিএনপি অফিসে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ১ Logo নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মৌলভীবাজারে আটক Logo আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় গরু ভোজ Logo আশুলিয়ায় ট্রাক খাদে পড়ে তীব্র যানজট, চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

নয়া পল্টন আজও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে

নয়া পল্টন আজও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ক্রাইম জোন ঘোষণার পর থেকে আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ফলে, বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে গত দুই দিনে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে দেখা যায়নি। প্রধান ফটক তালাবদ্ধ থাকায় কেউ সেখানে ঢুকতে পারেননি। এ কারণে বিএনপির দাপ্তরিক কার্যক্রম থমকে গেছে। অফিস স্টাফদের মধ্যে যারা কার্যালয়ের পাঁচ তলায় বাস করতেন, তাদের এখন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রোববারের মতো আজও নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চারদিকে বাঁশ দিয়ে ‘ক্রাইম সিন’ লেখা ফিতা টাঙানো রয়েছে। তাতে আরও লেখা আছে, ‘ডু নট ক্রস’। কার্যালয়ের কলাপসিবল গেটে ঝুলছে তালা। কার্যালয়ের আশপাশে দাঁড়িয়ে আছেন পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফলে, ওই অংশ দিয়ে কেউ যাতায়াত করতে পারছেন না। সড়কের ওই অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের জায়গাও সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২৮ তারিখের মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তো কিছু হয়নি। তাহলে কেন ঘেরাও করে রাখা হবে? পুলিশ নিজেই হামলা করল আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর। এখন আবার আমাদের কার্যালয় তারাই ঘেরাও করে রেখেছে। তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে। নেতাদের না পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে। অনেক পরিবারের সদস্যদের আটক করা হচ্ছে। দলের কার্যালয় পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রাখায় আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া পুলিশের দায়িত্ববান এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বিএনপির কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে রেখেছে সিআইডি। তারা কবে এই ঘেরাও তুলে নেবে, তা আমরা বলতে পারব না। গতকাল রোববার সিআইডি কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে, এটাই জানি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির কার্যালয় কার্যত বন্ধই থাকবে।

অন্য দিনের মতো আজও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি আশপাশের সড়কেও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়া পল্টন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ৬০টির মতো সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। আজও বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়ক বিভাজকে ল্যাম্পপোস্টের খুঁটিতে বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিভিল সার্জনরা মন থেকে চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা

নয়া পল্টন আজও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে

আপডেট সময় ০৭:১৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ক্রাইম জোন ঘোষণার পর থেকে আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ফলে, বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে গত দুই দিনে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে দেখা যায়নি। প্রধান ফটক তালাবদ্ধ থাকায় কেউ সেখানে ঢুকতে পারেননি। এ কারণে বিএনপির দাপ্তরিক কার্যক্রম থমকে গেছে। অফিস স্টাফদের মধ্যে যারা কার্যালয়ের পাঁচ তলায় বাস করতেন, তাদের এখন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রোববারের মতো আজও নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চারদিকে বাঁশ দিয়ে ‘ক্রাইম সিন’ লেখা ফিতা টাঙানো রয়েছে। তাতে আরও লেখা আছে, ‘ডু নট ক্রস’। কার্যালয়ের কলাপসিবল গেটে ঝুলছে তালা। কার্যালয়ের আশপাশে দাঁড়িয়ে আছেন পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফলে, ওই অংশ দিয়ে কেউ যাতায়াত করতে পারছেন না। সড়কের ওই অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের জায়গাও সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২৮ তারিখের মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তো কিছু হয়নি। তাহলে কেন ঘেরাও করে রাখা হবে? পুলিশ নিজেই হামলা করল আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর। এখন আবার আমাদের কার্যালয় তারাই ঘেরাও করে রেখেছে। তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে। নেতাদের না পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে। অনেক পরিবারের সদস্যদের আটক করা হচ্ছে। দলের কার্যালয় পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রাখায় আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া পুলিশের দায়িত্ববান এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বিএনপির কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে রেখেছে সিআইডি। তারা কবে এই ঘেরাও তুলে নেবে, তা আমরা বলতে পারব না। গতকাল রোববার সিআইডি কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে, এটাই জানি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির কার্যালয় কার্যত বন্ধই থাকবে।

অন্য দিনের মতো আজও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি আশপাশের সড়কেও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়া পল্টন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ৬০টির মতো সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। আজও বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়ক বিভাজকে ল্যাম্পপোস্টের খুঁটিতে বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।