ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কুমিল্লা-৩ আসনে ভোটের মাঠে দৌড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল Logo চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, আহত ৫ Logo রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের Logo সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ Logo হাসিনার সাবেক সামরিক সচিক মেজর জেনারেল কবীরকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্কে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo আজ টিভিতে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান যা দেখবেন Logo ফজলুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলল ডাকসু Logo ভারতকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান Logo দুর্নীতি আর বৈষম্যের কারণেই মানুষ দারিদ্র্যে জর্জরিত: ফয়জুল করীম

পিছিয়ে গেল তত্ত্বাবধায়ক ফেরাতে তিন রিভিউ এর শুনানি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১০:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • 253

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম ও সুজনের তিনটি রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষ ও বিএনপির সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে জামায়াতে ইসলাম। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল বিভাগে এ রিভিউ আবেদন করেন।

অন্যদিকে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিভিউ আবেদন করেন তিনি।

এদিকে গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আলাদা রিভিউ আবেদন করেন।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। তবে পরবর্তী দুটি সংসদ নির্বাচন অর্থাৎ ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল আদালত। কিন্তু লিখিত রায়ে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন তা আর রাখা হয়নি।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ওই বছরের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা-৩ আসনে ভোটের মাঠে দৌড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল

পিছিয়ে গেল তত্ত্বাবধায়ক ফেরাতে তিন রিভিউ এর শুনানি

আপডেট সময় ১০:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম ও সুজনের তিনটি রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষ ও বিএনপির সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে জামায়াতে ইসলাম। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল বিভাগে এ রিভিউ আবেদন করেন।

অন্যদিকে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিভিউ আবেদন করেন তিনি।

এদিকে গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আলাদা রিভিউ আবেদন করেন।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। তবে পরবর্তী দুটি সংসদ নির্বাচন অর্থাৎ ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল আদালত। কিন্তু লিখিত রায়ে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন তা আর রাখা হয়নি।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ওই বছরের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।