ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গভীর রাতে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে পাবিপ্রবিতে আনন্দ মিছিল

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করেছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরই শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। এর পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দিয়ে আবার হলে ফিরে মিছিল শেষ করেন।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল: “এই মুহূর্তে খবর এলো, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো”, “সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হলো”, “ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত হলো”। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহকে উদ্দেশ্য করেও ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান শোনা যায়, যেমন “বাবুর গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে”, “নুরুল্লাহ গেলি কই”।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কাঊছার আলম বলেন, ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্র জনতাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। তারা এদেশে রাজনিতী করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। আপনারা জানেন ১৭টি বছর এই ছাত্রলীগ বাংলার জনতাকে নির্যাতন করেছে। শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছে। অতএব ছাত্রলীগ নি ষিদ্ধ করা সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইংরেজি বিভাগের মুরসালিন বলেন,”
ছাত্রলীগ শুধু একটি দুটি কারণে নিষিদ্ধের পথে আসে নাই,বরং গত ১৭ বছরে ধারাবাহিক নির্যাতনের ফলে আজ ছাত্রলীগকে সারা দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করা হয়েছে।যে সন্ত্রাসীদের গায়ে আমার ভাইয়ের রক্তের দাগ লেগে আছে সেই সন্ত্রাসীদেরকে আমরা আর কখনোই পুনর্বাসন করার সুযোগ দিব না।ছাত্রলীগকে যারাই বাসন করতে যাবে আমরা সাধারণ জনতা সাধারণ ছাত্র সমাজ তাদেরকে রুখে দিব।অতএব ভবিষ্যতে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের কোন সন্ত্রাসী যদি কোনভাবে এই বাংলাদেশে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করে তাদের পা ভেঙে দেওয়া হবে।

এর আগে রাত ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা আসে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এসব অপরাধের মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, এবং যৌন নিপীড়ন উল্লেখযোগ্য। সরকারের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকায় এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গভীর রাতে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে পাবিপ্রবিতে আনন্দ মিছিল

আপডেট সময় ০৭:৩০:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করেছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরই শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। এর পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দিয়ে আবার হলে ফিরে মিছিল শেষ করেন।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল: “এই মুহূর্তে খবর এলো, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো”, “সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হলো”, “ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত হলো”। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহকে উদ্দেশ্য করেও ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান শোনা যায়, যেমন “বাবুর গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে”, “নুরুল্লাহ গেলি কই”।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কাঊছার আলম বলেন, ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্র জনতাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। তারা এদেশে রাজনিতী করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। আপনারা জানেন ১৭টি বছর এই ছাত্রলীগ বাংলার জনতাকে নির্যাতন করেছে। শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছে। অতএব ছাত্রলীগ নি ষিদ্ধ করা সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইংরেজি বিভাগের মুরসালিন বলেন,”
ছাত্রলীগ শুধু একটি দুটি কারণে নিষিদ্ধের পথে আসে নাই,বরং গত ১৭ বছরে ধারাবাহিক নির্যাতনের ফলে আজ ছাত্রলীগকে সারা দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করা হয়েছে।যে সন্ত্রাসীদের গায়ে আমার ভাইয়ের রক্তের দাগ লেগে আছে সেই সন্ত্রাসীদেরকে আমরা আর কখনোই পুনর্বাসন করার সুযোগ দিব না।ছাত্রলীগকে যারাই বাসন করতে যাবে আমরা সাধারণ জনতা সাধারণ ছাত্র সমাজ তাদেরকে রুখে দিব।অতএব ভবিষ্যতে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের কোন সন্ত্রাসী যদি কোনভাবে এই বাংলাদেশে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করে তাদের পা ভেঙে দেওয়া হবে।

এর আগে রাত ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা আসে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এসব অপরাধের মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, এবং যৌন নিপীড়ন উল্লেখযোগ্য। সরকারের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকায় এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।