বাহাত্তরের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের অংশগ্রহণকে খাটো ও অস্বীকার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ৭২-এর একদলীয় সংবিধানকে বাতিল করে একটি জনগণপন্থি সংবিধান রচনা করতে হবে। এই প্রশ্নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপসহীন। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এমন দাবি করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে জনগণের অংশগ্রহণকে ছোট করা হয়েছে এবং অস্বীকার করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে সুনির্দিষ্ট একটি দলের হাতে তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লিগীকরণ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, গণ-অভ্যুত্থান কিংবা বিপ্লব কোনো সুনির্দিষ্ট দলের সম্পত্তি নয়। এটিকে জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত করতে হলে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে জনগণের সংবিধানে রূপান্তরিত করতে হবে। সেজন্য ৭২-এর একদলীয় সংবিধানকে বাতিল করে একটি জনগণপন্থি সংবিধান রচনা করতে হবে। এই প্রশ্নে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপসহীন থাকব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন ৫ দফার প্রথম দফা নিয়ে এ সমন্বয়ক বলেন, গতকালের পাঁচ দফার প্রথম দফা হলো ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে নতুন করে জনগণপন্থি সংবিধান লিখতে হবে। এ দাবির বিপরীতে অবস্থান নিয়ে ৭২-এর সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার বয়ান হলো গণ-অভ্যুত্থান পরিপন্থি বয়ান।
তিনি বলেন, ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান পরিপন্থি যে কোনও বয়ান আবার ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেবে। সুতরাং ২৪- এর গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটে বিশ্বাসী ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যবদ্ধ শক্তি ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের সুযোগ দিতে পারে না।