ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হিন্দুস্তান টাইমসে হাসিনার আয়নাঘর ভয়াবহ বর্ণনা Logo নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’পরিণত হয়েছে Logo রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বরিশালে ছাত্র জনতার লাঠি মিছিল Logo গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় নিহত ১১৫ Logo অবসর ভাঙতেও রাজি ওয়ার্নার, শুধু অপেক্ষা এক ফোনকলের Logo বগুড়ায় ভূমিদস্যুর কবল থেকে ভিটে-মাটি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন Logo দাগনভূঞায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক চাই দিবস পালন Logo চুপ্পুর জন্মভুমি পাবনাতেই রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo ফেনীতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল  Logo নোবিপ্রবিতে হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

হিন্দুস্তান টাইমসে হাসিনার আয়নাঘর ভয়াবহ বর্ণনা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১০:১৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 42

ভারতীয় জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমটি “হাসিনার আয়নাঘর! নাম শুনলেই হাড়হিম, সমালোচকদের মগজধোলাই হত? আর কী ঘটত সেখানে?”সেখানে হাসিনার আয়না ঘরের ভয়াবহ বর্ণনা পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়,২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার জমানা। সেই সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হত। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তুলে আনা হত ।

“আয়নাঘর”এই শব্দটির মধ্য়েই লুকিয়ে আছে অনেক কথা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই এনিয়ে নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। বলা হয়, শেখ হাসিনা মূলত তাঁর সমালোচকদের এই আয়নাঘরে রেখে দিতেন। সূত্রের খবর, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার জমানা। সেই সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হত। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তুলে আনা হত বলে খবর।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুসারে অনেককেই তুলে এনে গুম করে ফেলা হত। তাদের দেহের সন্ধান মিলত না। অন্যদেরকে একটি গোপন মিলিটারি ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হত। এটার নাম ছিল আয়নাঘর। মানে হাউজ অফ মিররস।

কাদের রাখা হত এই আয়নাঘরে?
মূলত হাসিনার শাসনকালে যারা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হত। আইনজীবী থেকে আদিবাসী নেতা, যারাই হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদেরকেই নিশানা করত তৎকালীন সরকার। এদিকে আচমকাই সেই প্রতিবাদীদের আর সন্ধান মিলত না। কার্যত উবে যেতেন তারা। তবে এবার সেই প্রতিবাদকারীদের আত্মীয়রা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

বেলাল হোসেন, ২০১৩ সাল থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এবার তাঁর ভাইঝি তাসনিম সিপ্রা জানিয়েছেন, আমরা যেটা চাইছি সেটা হল একটা উত্তর। কী হয়েছিল সেটা জানতে চাইছি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে শিপ্রা জানিয়েছেন, এমন যেন মনে হচ্ছে কাকা কোনওদিন পৃথিবীতে ছিলেন না।

মাইকেল চাকমা। তিনি আদিবাসীদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালাতেন। গত অগস্ট মাসে একটি জঙ্গলে তাকে ছাড়া হয়েছিল। তার আগে চোখ বেঁধে তাকে হাঁটানো হয়। তিনি বলেছিলেন পাঁচবছরে এই প্রথম আমি সূর্যের আলো দেখলাম। এমনকী তিনি বার বার পরীক্ষা করে দেখেন তিনি কি সূর্যের আলো দেখছেন নাকি সেটা অন্য় কিছু।

এদিকে তাঁর প্রশ্ন আমার দোষটা কি ছিল? আমি কী করেছি? আমার অপরাধটা কোথায়? আসলে সেই প্রশ্নের উত্তরটা মিলছে না কিছুতেই। আবদুল্লাহ আমান আজমি নামে এক প্রাক্তন আর্মি জেনারেল বলেছেন, আমি আকাশ, সূর্য, ঘাস, চাঁদ, গাছ কিছুই দেখিনি। গত অগস্ট মাসে তাকে মিলিটারি জেল থেকে ছাড়া হয়েছিল। আট বছর ধরে তাকে জেলের মধ্যে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছিল। তাকে অন্তত ৪১ হাজার বার চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল ওই সময়কালে।

হিন্দুস্তান টাইমসে হাসিনার আয়নাঘর ভয়াবহ বর্ণনা

হিন্দুস্তান টাইমসে হাসিনার আয়নাঘর ভয়াবহ বর্ণনা

আপডেট সময় ১০:১৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

ভারতীয় জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমটি “হাসিনার আয়নাঘর! নাম শুনলেই হাড়হিম, সমালোচকদের মগজধোলাই হত? আর কী ঘটত সেখানে?”সেখানে হাসিনার আয়না ঘরের ভয়াবহ বর্ণনা পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়,২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার জমানা। সেই সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হত। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তুলে আনা হত ।

“আয়নাঘর”এই শব্দটির মধ্য়েই লুকিয়ে আছে অনেক কথা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই এনিয়ে নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। বলা হয়, শেখ হাসিনা মূলত তাঁর সমালোচকদের এই আয়নাঘরে রেখে দিতেন। সূত্রের খবর, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার জমানা। সেই সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হত। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তুলে আনা হত বলে খবর।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুসারে অনেককেই তুলে এনে গুম করে ফেলা হত। তাদের দেহের সন্ধান মিলত না। অন্যদেরকে একটি গোপন মিলিটারি ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হত। এটার নাম ছিল আয়নাঘর। মানে হাউজ অফ মিররস।

কাদের রাখা হত এই আয়নাঘরে?
মূলত হাসিনার শাসনকালে যারা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হত। আইনজীবী থেকে আদিবাসী নেতা, যারাই হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদেরকেই নিশানা করত তৎকালীন সরকার। এদিকে আচমকাই সেই প্রতিবাদীদের আর সন্ধান মিলত না। কার্যত উবে যেতেন তারা। তবে এবার সেই প্রতিবাদকারীদের আত্মীয়রা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

বেলাল হোসেন, ২০১৩ সাল থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এবার তাঁর ভাইঝি তাসনিম সিপ্রা জানিয়েছেন, আমরা যেটা চাইছি সেটা হল একটা উত্তর। কী হয়েছিল সেটা জানতে চাইছি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে শিপ্রা জানিয়েছেন, এমন যেন মনে হচ্ছে কাকা কোনওদিন পৃথিবীতে ছিলেন না।

মাইকেল চাকমা। তিনি আদিবাসীদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালাতেন। গত অগস্ট মাসে একটি জঙ্গলে তাকে ছাড়া হয়েছিল। তার আগে চোখ বেঁধে তাকে হাঁটানো হয়। তিনি বলেছিলেন পাঁচবছরে এই প্রথম আমি সূর্যের আলো দেখলাম। এমনকী তিনি বার বার পরীক্ষা করে দেখেন তিনি কি সূর্যের আলো দেখছেন নাকি সেটা অন্য় কিছু।

এদিকে তাঁর প্রশ্ন আমার দোষটা কি ছিল? আমি কী করেছি? আমার অপরাধটা কোথায়? আসলে সেই প্রশ্নের উত্তরটা মিলছে না কিছুতেই। আবদুল্লাহ আমান আজমি নামে এক প্রাক্তন আর্মি জেনারেল বলেছেন, আমি আকাশ, সূর্য, ঘাস, চাঁদ, গাছ কিছুই দেখিনি। গত অগস্ট মাসে তাকে মিলিটারি জেল থেকে ছাড়া হয়েছিল। আট বছর ধরে তাকে জেলের মধ্যে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছিল। তাকে অন্তত ৪১ হাজার বার চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল ওই সময়কালে।