বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ডানায় পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান মেঘের চিত্র দেখা যাচ্ছে গভীর নিম্নচাপটি সংগঠিত হয়ে পুরোপুরি ঘূর্ণিঝড়ের গঠন আকৃতি ধারণ করেছে। আমার বিশ্লেষণ অভিজ্ঞতার আলোকে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ডানা’র কারণে যে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে তা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার জেলাগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ডানা’র বহিঃস্থ মেঘের কারণে আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে আজ সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে।
মোস্তফা কামাল পলাশ আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে আঘাত করলেও এর প্রভাব ভালোভাবে পড়বে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপরে।
জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত একটি ছবি সংযুক্ত করে পলাশ লিখেছেন, নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট ঘন মেঘ ও বৃষ্টি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতের ত্রিপুরা, মনিপুর রাজ্য ও মিয়ানমারের দিকে অগ্রসর হবে।এদিকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত ১টায় তিন নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গভীর নিম্নচাপটি মঙ্গলবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার
দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।