ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অক্টোবরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু: শেখ বশিরউদ্দীন Logo ‘সকল সরকারই গাদ্দারি করেছে, মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকেই তাকিয়ে আছে’ Logo এত দুর্বল সরকার আগে দেখেছেন? প্রশ্ন মাসুদ কামালের Logo রোজার আগেই নির্বাচন, ঘোষণা করা হলো রোডম্যাপ Logo পাবনার পুলিশ প্রশাসনের উপর অনাস্থা জানিয়ে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রজনতার মানববন্ধন Logo লতিফ সিদ্দিকীর ও ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক ডিবি হেফাজতে Logo ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা Logo খাগড়াছড়িতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো ছাত্রশিবির Logo ৩ দফা দাবিতে আগারগাঁওয়ে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের ব্লকেড, যান চলাচল বন্ধ Logo পাথরকাণ্ডে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে এবার রাজপথে নামছে সিলেট জামায়াত

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক সেনাসহ ৭ ইসরায়েলি গ্রেপ্তার

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক সেনাসহ ৭ ইসরায়েলি গ্রেপ্তার

ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৭ জন ইসরাইলি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা তেহরানের জন্য শত শত কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রসিকিউটররা।

গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনরা সবাই হাইফা এবং উত্তরাঞ্চলের ইহুদি বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পলাতক সৈনিক এবং দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বলেও জানানো হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- আজিস নিসানোভ, আলেকজান্ডার সাদিকভ, ভায়াচেস্লাভ গুশচিন, ইয়েভগেনি ইয়ফে এবং ইগাল নিসান।

তাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ঘাঁটি ও স্থাপনাগুলোর ছবি তোলা এবং তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তেলআবিবের কিরিয়া প্রতিরক্ষা সদর দফতর, নেভাতিম ও রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি এবং আয়রন ডোম ব্যাটারির অবস্থানও। ইসরাইলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটি গত ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল এবং রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটিকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে হিজবুল্লাহ।

সন্দেহভাজন এই ৭ জনের বিরুদ্ধে কৌশলগত স্থানগুলোর মানচিত্রের ছবি তোলা অভিযোগও আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গোলানি ঘাঁটির মানচিত্র, যা এই মাসের শুরুর দিকে একটি মারাত্মক ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।

ইসরাইলি প্রসিকিউটররা জানিয়েছে, পুলিশ এবং সিনবেত তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে, সন্দেহভাজনরা ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হয়ে একাধিক কাজ করেছে এবং ইরানি এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।

এমনকি সন্দেহভাজনরা তাদের এসব কার্যকলাপের জন্য কয়েক লক্ষ ডলারও পেয়েছে। যার কিছু অংশ ক্রিপ্টোকরেন্সিতে লেনদেন করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।ইসরাইলি প্রসিকিউটরদের মতে, কিছু সন্দেহভাজন দুই বছর ধরে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে এবং তারা সবাই গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গুপ্তচরবৃত্তিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ইসরাইলি সরকারের অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, এটি ইসরাইলের সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর একটি মামলা, যা তদন্ত করা হচ্ছে। ইসরাইলি প্রসিকিউটররা সন্দেহভাজন এই সাতজনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অপরাধের জন্য অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা করছে এবং আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখার অনুরোধ জানাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অক্টোবরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু: শেখ বশিরউদ্দীন

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক সেনাসহ ৭ ইসরায়েলি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১০:০০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৭ জন ইসরাইলি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা তেহরানের জন্য শত শত কাজ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রসিকিউটররা।

গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনরা সবাই হাইফা এবং উত্তরাঞ্চলের ইহুদি বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পলাতক সৈনিক এবং দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক বলেও জানানো হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- আজিস নিসানোভ, আলেকজান্ডার সাদিকভ, ভায়াচেস্লাভ গুশচিন, ইয়েভগেনি ইয়ফে এবং ইগাল নিসান।

তাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ঘাঁটি ও স্থাপনাগুলোর ছবি তোলা এবং তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তেলআবিবের কিরিয়া প্রতিরক্ষা সদর দফতর, নেভাতিম ও রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি এবং আয়রন ডোম ব্যাটারির অবস্থানও। ইসরাইলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটি গত ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল এবং রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটিকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে হিজবুল্লাহ।

সন্দেহভাজন এই ৭ জনের বিরুদ্ধে কৌশলগত স্থানগুলোর মানচিত্রের ছবি তোলা অভিযোগও আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গোলানি ঘাঁটির মানচিত্র, যা এই মাসের শুরুর দিকে একটি মারাত্মক ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল।

ইসরাইলি প্রসিকিউটররা জানিয়েছে, পুলিশ এবং সিনবেত তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে, সন্দেহভাজনরা ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হয়ে একাধিক কাজ করেছে এবং ইরানি এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।

এমনকি সন্দেহভাজনরা তাদের এসব কার্যকলাপের জন্য কয়েক লক্ষ ডলারও পেয়েছে। যার কিছু অংশ ক্রিপ্টোকরেন্সিতে লেনদেন করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।ইসরাইলি প্রসিকিউটরদের মতে, কিছু সন্দেহভাজন দুই বছর ধরে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে এবং তারা সবাই গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গুপ্তচরবৃত্তিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ইসরাইলি সরকারের অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, এটি ইসরাইলের সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর একটি মামলা, যা তদন্ত করা হচ্ছে। ইসরাইলি প্রসিকিউটররা সন্দেহভাজন এই সাতজনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অপরাধের জন্য অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা করছে এবং আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখার অনুরোধ জানাবে।