ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাউফলে জামায়াত নেতার উপর ছাত্রদলের হামলা

পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজের নেতৃত্বে জামায়াত ইসলামীর তিন নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন- উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সদস্য মাওলানা মো. ওয়াজিবুল্লাহ(৪০), সদস্য মো. নাঈম আবদুল্লাহ (৩৫) ও মো. আলামিন (৩০)।  আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। 

জামায়াতের দলীয় সূত্র ও আহতরা জানায়,  উপজেলা জামায়াত ইসলামীর  সদস্য মাওলানা ওয়াজিবুল্লাহ  নারায়ান পাশা জামে মসজিদের নিয়মিত ইমাম, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের আলোচনায় “সুন্দর সমাজ গঠনের ইসলামের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা করেন। তখন মসজিদে উপস্থিত থাকা কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসনের ছেলে ছাত্রদল নেতা রাসেল বলেন, মসজিদে জামায়াত নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা, এসময় অন্য মুসুল্লিরা তার কথার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে মসজিদের ইমামের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ওই ছাত্রদল নেতা।

 এ ঘটনার জেরে পরদিন (শনিনার) বেলা ১১টার দিকে ইমাম ও তার দুই সঙ্গীকে বাজারে দেখতে পেয়ে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজ, ছাত্রদল নেতা রাসেল সহ ২৫/৩০জন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা  দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে  জামায়াত নেতা ওজিবুল্লাহ, নাইম ও আলামিনের ওপর হামলা চালায়।  এসময় পিটিয়ে তাদের মাথায় ও পায়ে যখম করা হয় এবং তাদের সাথে থাকা মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। এতে  আলামিন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদে বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা জামায়াত ইসলামী। উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এ মিছিল বের করা হয়। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে  এ হামলার  প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়ে বিগত দিনে কোনো স্বৈরাচার টিকতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবেনা ইনশাআল্লাহ, আজ জামায়াতের কর্মীদের উপর যারা হামলা চালিয়েছে, প্রশাসনের নিকট আমরা অতিদ্রুত তাদের বিচার দাবী করছি, পাশাপাশি এমন ন্যাক্কারজনক হামলা যেন ভবিষ্যতে আর না হয় সেই পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক খালিদুর রহমান, উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদ উল্লাহ সহ আরো অনেকে।

হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে  আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিরপুরে ‘সাকিব ভক্তদের’ এবং ‘সাকিব বিরোধী’দের মধ্যে সংঘর্ষ

বাউফলে জামায়াত নেতার উপর ছাত্রদলের হামলা

আপডেট সময় ০১:০৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজের নেতৃত্বে জামায়াত ইসলামীর তিন নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন- উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সদস্য মাওলানা মো. ওয়াজিবুল্লাহ(৪০), সদস্য মো. নাঈম আবদুল্লাহ (৩৫) ও মো. আলামিন (৩০)।  আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। 

জামায়াতের দলীয় সূত্র ও আহতরা জানায়,  উপজেলা জামায়াত ইসলামীর  সদস্য মাওলানা ওয়াজিবুল্লাহ  নারায়ান পাশা জামে মসজিদের নিয়মিত ইমাম, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের আলোচনায় “সুন্দর সমাজ গঠনের ইসলামের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা করেন। তখন মসজিদে উপস্থিত থাকা কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসনের ছেলে ছাত্রদল নেতা রাসেল বলেন, মসজিদে জামায়াত নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা, এসময় অন্য মুসুল্লিরা তার কথার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে মসজিদের ইমামের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ওই ছাত্রদল নেতা।

 এ ঘটনার জেরে পরদিন (শনিনার) বেলা ১১টার দিকে ইমাম ও তার দুই সঙ্গীকে বাজারে দেখতে পেয়ে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজ, ছাত্রদল নেতা রাসেল সহ ২৫/৩০জন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা  দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে  জামায়াত নেতা ওজিবুল্লাহ, নাইম ও আলামিনের ওপর হামলা চালায়।  এসময় পিটিয়ে তাদের মাথায় ও পায়ে যখম করা হয় এবং তাদের সাথে থাকা মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। এতে  আলামিন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদে বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা জামায়াত ইসলামী। উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এ মিছিল বের করা হয়। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে  এ হামলার  প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়ে বিগত দিনে কোনো স্বৈরাচার টিকতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবেনা ইনশাআল্লাহ, আজ জামায়াতের কর্মীদের উপর যারা হামলা চালিয়েছে, প্রশাসনের নিকট আমরা অতিদ্রুত তাদের বিচার দাবী করছি, পাশাপাশি এমন ন্যাক্কারজনক হামলা যেন ভবিষ্যতে আর না হয় সেই পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক খালিদুর রহমান, উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদ উল্লাহ সহ আরো অনেকে।

হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে  আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।