ছাত্র ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর ৮ আগস্ট নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরইমধ্যে দুমাস পার করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। তাদের অনেকেই পালন করছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এ নিয়ে রাজনীতিবিদদের প্রায়ই অভিযোগ, এক ব্যক্তি একইসঙ্গে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করায় সরকারের কাজে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানোরও দাবি তুলেছেন তারা।
সূত্র বলছে, নতুন মুখ যুক্ত করার পাশাপাশি কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব রদবদলের আলোচনা চলছে। নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন- আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) থেকে সদ্য পদত্যাগ করা আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ড. মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘শিক্ষা, কৃষি, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন-এগুলো অনেক বড় বড় মন্ত্রণালয়। এখানে একজন উপদেষ্টার পক্ষে একটি মন্ত্রণালয় চালানো অনেক কঠিন। এরপর সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অর্গানোগাম ফরমেট টা প্রোপারলি নাই। তাই উপদেষ্টা পরিষদের কলেবর বাড়াতে হবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গত দুমাসের কর্মকাণ্ডে যদি একটি নৈবিত্তিক পর্যালোচনা করে উপদেষ্টা পরিষদের কাউকে সম্মান দিয়েই যেন অব্যাহতি দিতে পারলে ভালো হবে। সেইসঙ্গে দক্ষ ব্যক্তিকে এনে অন্তর্বর্তী সরকারকে পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়ে কাজের গতি আনা যেতে পারে। তাহলে এই সরকারের ওপরও আস্থা বাড়বে এবং দেশ সংস্কারের কাজও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদার জানায়, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রসারণ ও কয়েকজন উপদেষ্টার বিষয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে কয়েকটি দল। প্রধান উপদেষ্টা তাদের কথা শুনেছেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে জানানো হবে।’