ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ

হাসিনা নিজ সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেন

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

হাসিনা নিজ সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আবদুল মতিন বলেছেন, আদালতের রায়ের তোয়াক্কা না করে একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমে নিজ সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে বাতিল করে দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল দরকার। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণতান্ত্রিক শাসনে উত্তরণের জন্য সাংবিধানিক সংস্কার’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজ (বিআইপিএস)। এতে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসাইন। বক্তব্য রাখেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, বিআইপিএসের সভাপতি সি এ এফ দৌলা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম কুমার দাস, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

বিচারপতি আবদুল মতিন বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করেনি, ক্ষমতাসীনদের আজ্ঞাবহ ছিল। বিচার বিভাগে স্বাধীনতা নিশ্চিতে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা প্রয়োজন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ হয় রাখতে হবে, না হয় সংশোধন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিগত পার্লামেন্টে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। শুধু তোষামোদি হয়েছে। বিচার বিভাগ ও সংসদ (নিজেদের) ভূমিকা হারিয়েছিল। এ সময় বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও স্বাধীন মিডিয়া দরকার। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে মিডিয়াকে কুক্ষিগত করা হয়েছিল। মিডিয়াকে হত্যা করতে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলোয় গণতান্ত্রিক চর্চা ছিল না। রাজনৈতিক দলগুলোতেও সংস্কার দরকার।

প্রথম আলো:

প্রভাবশালীদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ধীরগতি, ২ মাসে মাত্র ১টি মামলা
গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে প্রভাবশালী ১৮০ জনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। অনুসন্ধান শেষ করে গত দুই মাসে দুদক মামলা করতে পেরেছে মাত্র একটি।

মামলাটি হয়েছে ৯ অক্টোবর। অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে দুদক। এ মামলায় আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রী এবং দুই ছেলেমেয়েকেও আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেনও এ মামলার আসামি।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হলেও অন্য প্রভাবশালীদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সম্পদ কত গুণ বেড়েছে, সেই তথ্য বের করে রেখেছেন অনুসন্ধানে যুক্ত থাকা দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

দুদক আইন অনুযায়ী, কারও বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন বা অর্থ পাচারের অভিযোগ এলে আগে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে হয়। অনুসন্ধানে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা করা হয়। এরপর দুদক নিয়োজিত একজন তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

দুদক সূত্র বলছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে, তাঁদের কার কত সম্পদ, সেটা জানতে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়গুলোতে চিঠি পাঠিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তেমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

দুর্নীতি অনুসন্ধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দুদকের কোনো চুক্তি নেই। সাধারণত দুদক থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য পেতে ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পৌঁছাতে এক সপ্তাহের মতো সময় চলে যায়।

কালবেলা:

চার হাজার কোটির প্রকল্পে বছরে গচ্চা ৫শ কোটি
২০১৫ সালে রাজধানীর ৫০ লাখ মানুষকে পয়ঃসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেয় ঢাকা ওয়াসা। পরবর্তী সময়ে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে সেটি দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়। ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষও হয়। ঘটা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি উদ্বোধন করেন। সেই প্রকল্পের কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। অপরিকল্পিত প্রকল্পে সরকারের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হওয়ার পর ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি চালিয়ে রাখতে প্রতি বছর সরকারকে এখন গচ্চা দিতে হচ্ছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এত টাকা গচ্চা দিয়েও সক্ষমতা অনুযায়ী বর্জ্যের অভাবে প্লান্টের সব যন্ত্রপাতি চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে চললে দশ বছর পরে প্লান্টের হাজার হাজার কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি ভাঙাড়ি হিসেবে বিক্রি করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পায়নি অনেকেই। আবার দুর্গন্ধ এবং গ্যাসে পুরো দাশেরকান্দি এলাকা প্রায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘পুরো প্রকল্পটিতে দাশেরকান্দিতে স্থাপনা বানানো আর লুটপাট করা ছাড়া আর কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। যে কারণে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এত বিশাল প্রকল্প কোনো কাজেই আসছে না। উল্টো লোকসান দিয়ে যন্ত্রপাতি চালিয়ে রাখতে হচ্ছে। এদিকে দাশেরকান্দি প্রকল্পে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যেই দুদকের দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি প্রকল্পের কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে।

কালের কন্ঠ:

আওয়ামী লীগের করা আইনেই তাদের বিচার দেখতে চাই
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ভোটের অধিকার হরণ করা আওয়ামী লীগ সরকার যে আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করেছে, সে আইনেই তাদের বিচার আমরা দেখতে চাই। আশা করি, সেই আদালতেই আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার দেখতে পাব।’ গতকাল শনিবার জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হেফজুল উলুম কামিল মাদরাসা ময়দানে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শফিকুর রহমান বলেন, প্রতিদিন অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গুম, খুন, চাঁদাবাজি, ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর দুই কোটি ৪২ লাখ রেজিস্টার্ড কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে একটিও অভিযোগ আসেনি। আগামী দিনেও আসবে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুজার গিফারীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান প্রমুখ।

মানবজমিন:

সংস্কার, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ফের সংলাপ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল ৩টা থেকে এই সংলাপ শুরু হয়। মূলত নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে জোর এবং রোডম্য্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলগুলো। সংলাপে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারেও সরকারকে পরামর্শ দেয়া হলে তা ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ দলগুলো পৃথক পৃথকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া সরকারকে আরও বেশি কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় দলগুলোর পক্ষ থেকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব পরামর্শ ও প্রস্তাবগুলো ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে। বলেছেন, সংস্কার শেষে যতদ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

প্রথমে গণফোরামের সঙ্গে সংলাপে বসেন ড. ইউনূস। বিকাল ৩টায় শুরু হয়। শেষ হয় সাড়ে ৩টার দিকে। গণফোরামের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সংলাপ শেষে বেরিয়ে যমুনার সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে গণফোরামের সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বলেন, বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারসহ বেশ কিছু ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। সরকার সেটা ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

দৈনিক সংগ্রাম:

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুতের আরও দুই কর্মকর্তা রিমান্ডে
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) দুই কর্মকর্তার দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন-লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (৪৮) ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এস কে শাকিল আহমেদ (৩১)।

গতকাল শনিবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামীদের পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরআগে শুক্রবার রাজধানীর খিলক্ষেত থানার পৃথক দুই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) আরও ৬ জন কর্মকর্তাকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

নয়াদিগন্ত:

৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের মিছিলে পিটুনি
৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ক্রিয়েটিভ রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রথমবারের মতো গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২০/২৫ জন বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে রাস্তায় নামতেই বিপুলসংখ্যক লোক তাদের গণপিটুনি দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে সংগঠনের মুখপাত্র কুতুব হেলালীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন সংগঠনের ২০/২৫ জন নেতাকর্মী। এ সময় পাশ থেকে ১৫-২০ জন লোক আখ, বাঁশ ও কাঠ নিয়ে এসে তাদের ওপর পিটুনি শুরু করেন। রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে আরো লোকজন এসে গণপিটুনির সাথে যুক্ত হলে বিক্ষোভকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। সংগঠনটির সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিলের প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়ালে বিএনপি ও জামায়াতের ক্যাডাররা হামলা চালায়। এতে তাদের অনেকে আহত হন। যার মধ্যে চারজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পক্ষে ঢাকায় কেউ মিছিল করতে নেমেছিল; কিন্তু আশপাশে থাকা লোকজন হাতের কাছে যা পেয়েছিলো বাঁশ, কাঠ, রস বিক্রি করা হকারদের কাছ থেকে আখ নিয়ে তাদের গণপিটুনি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

যুগান্তর:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ

নির্বাচনি রোডম্যাপে গুরুত্ব
নেতাদের প্রস্তাব প্রধান প্রধান সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে * আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বাজার সিন্ডিকেট ও নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে জোর
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ চেয়েছে। তারা বলেন, প্রধান প্রধান সংস্কারগুলো জনগণের নির্বাচিত সরকার করবে। সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে নেতারা বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জনগণ। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বাজার সিন্ডিকেট ও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংলাপে জোর দেন বিভিন্ন দলের নেতারা। গণতন্ত্র ও গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে সংলাপে। এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ গত ১৫ বছরে নেতাকর্মীদের নামে রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহার চেয়েছেন তারা। প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরানোর ওপরও জোর দিয়েছেন সংলাপে অংশ নেওয়া নেতারা।শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এসব কথা বলেন। দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় এ সংলাপ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর আগে ৫ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতসহ পাঁচটি দল ও তিনটি জোটের সঙ্গে সংলাপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। শনিবার বেলা ৩টায় প্রথমে গণফোরামের সঙ্গে শুরু হয় সংলাপ। রাতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শেষ হয়। এছাড়াও এদিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণফ্রন্ট, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশে লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাসদের (একাংশ) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে নিজ নিজ দলের পক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।

সমকাল:

সাজেদার দুই পুত্রের সম্পদের পাহাড়
বর্ষীয়ান নেতা। ২০০৮ থেকে ২০২২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফরিদপুর-২ আসনের টানা সংসদ সদস্য। তিনি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী; ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। যশ-খ্যাতি কিছুরই কমতি ছিল না। কিন্তু মায়ের বিপরীত চরিত্র দুই ছেলে– আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু ও শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু। সাজেদার রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে তারা গড়েছেন অঢেল সম্পদ। দেশে গাড়ি-বাড়ি-ব্যবসা সবই রয়েছে। বিপুল অর্থ লগ্নি করে সম্পদ গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায়। এলাকায় প্রভাব ধরে রাখতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের নিয়ে করেন ‘মামা বাহিনী’। এ বাহিনীর মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক কারবারসহ নিয়ন্ত্রণ করেছেন অপরাধ জগৎ। সাজেদার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় দুই ভাই-ই ছিলেন সর্বেসর্বা, যেন অঘোষিত এমপি।

২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। পরে আরও তিনবার দলটি ক্ষমতায় আসে। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র আট মাস। স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০০৮ সালে সাজেদা চৌধুরী এমপি হওয়ার পর তাঁর বড় ছেলে বাবলু চৌধুরী এলাকায় গডফাদার বনে যান। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আন্দোলন গড়ে তুললে এলাকা ছাড়েন বাবলু। তাঁর জায়গা দখলে নেন ছোট ভাই লাবু চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধেও অনিয়ম-দুর্নীতির এন্তার অভিযোগ। মাকে পুঁজি করে গাড়ি-বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন লাবুও।

দেশরুপান্তর:

শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে
প্রায় আড়াই মাস হতে চলল বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা একটি সামরিক বিমানে চেপে দিল্লিতে গিয়েছেন। তারপর থেকে তাকে আর এক মুহূর্তের জন্যও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার কোনো ছবি ‘লিক’ হয়নি, নানা কথিত ফোনালাপের অডিও ফাঁস হলেও সেগুলো যে তারই কণ্ঠস্বর, তারও কোনো প্রমাণ মেলেনি।

গতকাল শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা (বা তার সঙ্গে আসা ছোট বোন শেখ রেহানা) দিল্লিতে নামার পর থেকে সেখানে কীভাবে আছেন, কোথায় আছেন তা নিয়ে ভারত সরকারের মুখপাত্র, মন্ত্রী বা নীতিনির্ধারকরা এত দিন কিছু বলেননি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ও পরোক্ষে এটুকু শুধু জানিয়েছে, তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন এবং থাকবেন। অর্থাৎ শেখ হাসিনার আমিরাত বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে যাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
দিল্লির সাউথ ব্লকের একজন শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তার ধারণা, বেশ লম্বা সময়ের জন্যই শেখ হাসিনাকে ভারতে থাকতে দিতে হবে এ বাস্তবতার জন্যই সরকার এখন ক্রমেই প্রস্তুত হচ্ছে।

বাউফলে জামায়াত নেতার উপর ছাত্রদলের হামলা

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ

হাসিনা নিজ সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেন

আপডেট সময় ০৭:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

হাসিনা নিজ সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আবদুল মতিন বলেছেন, আদালতের রায়ের তোয়াক্কা না করে একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমে নিজ সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে বাতিল করে দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল দরকার। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণতান্ত্রিক শাসনে উত্তরণের জন্য সাংবিধানিক সংস্কার’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজ (বিআইপিএস)। এতে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসাইন। বক্তব্য রাখেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, বিআইপিএসের সভাপতি সি এ এফ দৌলা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম কুমার দাস, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

বিচারপতি আবদুল মতিন বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করেনি, ক্ষমতাসীনদের আজ্ঞাবহ ছিল। বিচার বিভাগে স্বাধীনতা নিশ্চিতে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা প্রয়োজন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ হয় রাখতে হবে, না হয় সংশোধন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিগত পার্লামেন্টে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। শুধু তোষামোদি হয়েছে। বিচার বিভাগ ও সংসদ (নিজেদের) ভূমিকা হারিয়েছিল। এ সময় বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও স্বাধীন মিডিয়া দরকার। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে মিডিয়াকে কুক্ষিগত করা হয়েছিল। মিডিয়াকে হত্যা করতে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলোয় গণতান্ত্রিক চর্চা ছিল না। রাজনৈতিক দলগুলোতেও সংস্কার দরকার।

প্রথম আলো:

প্রভাবশালীদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ধীরগতি, ২ মাসে মাত্র ১টি মামলা
গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে প্রভাবশালী ১৮০ জনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। অনুসন্ধান শেষ করে গত দুই মাসে দুদক মামলা করতে পেরেছে মাত্র একটি।

মামলাটি হয়েছে ৯ অক্টোবর। অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে দুদক। এ মামলায় আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রী এবং দুই ছেলেমেয়েকেও আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেনও এ মামলার আসামি।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হলেও অন্য প্রভাবশালীদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সম্পদ কত গুণ বেড়েছে, সেই তথ্য বের করে রেখেছেন অনুসন্ধানে যুক্ত থাকা দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

দুদক আইন অনুযায়ী, কারও বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন বা অর্থ পাচারের অভিযোগ এলে আগে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে হয়। অনুসন্ধানে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা করা হয়। এরপর দুদক নিয়োজিত একজন তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

দুদক সূত্র বলছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে, তাঁদের কার কত সম্পদ, সেটা জানতে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়গুলোতে চিঠি পাঠিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তেমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

দুর্নীতি অনুসন্ধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দুদকের কোনো চুক্তি নেই। সাধারণত দুদক থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য পেতে ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পৌঁছাতে এক সপ্তাহের মতো সময় চলে যায়।

কালবেলা:

চার হাজার কোটির প্রকল্পে বছরে গচ্চা ৫শ কোটি
২০১৫ সালে রাজধানীর ৫০ লাখ মানুষকে পয়ঃসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেয় ঢাকা ওয়াসা। পরবর্তী সময়ে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে সেটি দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়। ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষও হয়। ঘটা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি উদ্বোধন করেন। সেই প্রকল্পের কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। অপরিকল্পিত প্রকল্পে সরকারের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হওয়ার পর ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি চালিয়ে রাখতে প্রতি বছর সরকারকে এখন গচ্চা দিতে হচ্ছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এত টাকা গচ্চা দিয়েও সক্ষমতা অনুযায়ী বর্জ্যের অভাবে প্লান্টের সব যন্ত্রপাতি চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে চললে দশ বছর পরে প্লান্টের হাজার হাজার কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি ভাঙাড়ি হিসেবে বিক্রি করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পায়নি অনেকেই। আবার দুর্গন্ধ এবং গ্যাসে পুরো দাশেরকান্দি এলাকা প্রায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘পুরো প্রকল্পটিতে দাশেরকান্দিতে স্থাপনা বানানো আর লুটপাট করা ছাড়া আর কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। যে কারণে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এত বিশাল প্রকল্প কোনো কাজেই আসছে না। উল্টো লোকসান দিয়ে যন্ত্রপাতি চালিয়ে রাখতে হচ্ছে। এদিকে দাশেরকান্দি প্রকল্পে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যেই দুদকের দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি প্রকল্পের কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে।

কালের কন্ঠ:

আওয়ামী লীগের করা আইনেই তাদের বিচার দেখতে চাই
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ভোটের অধিকার হরণ করা আওয়ামী লীগ সরকার যে আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা করেছে, সে আইনেই তাদের বিচার আমরা দেখতে চাই। আশা করি, সেই আদালতেই আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার দেখতে পাব।’ গতকাল শনিবার জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হেফজুল উলুম কামিল মাদরাসা ময়দানে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শফিকুর রহমান বলেন, প্রতিদিন অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গুম, খুন, চাঁদাবাজি, ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর দুই কোটি ৪২ লাখ রেজিস্টার্ড কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে একটিও অভিযোগ আসেনি। আগামী দিনেও আসবে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুজার গিফারীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান প্রমুখ।

মানবজমিন:

সংস্কার, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ফের সংলাপ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল ৩টা থেকে এই সংলাপ শুরু হয়। মূলত নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে জোর এবং রোডম্য্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলগুলো। সংলাপে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারেও সরকারকে পরামর্শ দেয়া হলে তা ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ দলগুলো পৃথক পৃথকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া সরকারকে আরও বেশি কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় দলগুলোর পক্ষ থেকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব পরামর্শ ও প্রস্তাবগুলো ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে। বলেছেন, সংস্কার শেষে যতদ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

প্রথমে গণফোরামের সঙ্গে সংলাপে বসেন ড. ইউনূস। বিকাল ৩টায় শুরু হয়। শেষ হয় সাড়ে ৩টার দিকে। গণফোরামের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সংলাপ শেষে বেরিয়ে যমুনার সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে গণফোরামের সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বলেন, বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারসহ বেশ কিছু ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। সরকার সেটা ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

দৈনিক সংগ্রাম:

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুতের আরও দুই কর্মকর্তা রিমান্ডে
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) দুই কর্মকর্তার দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন-লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (৪৮) ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এস কে শাকিল আহমেদ (৩১)।

গতকাল শনিবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামীদের পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরআগে শুক্রবার রাজধানীর খিলক্ষেত থানার পৃথক দুই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) আরও ৬ জন কর্মকর্তাকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

নয়াদিগন্ত:

৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের মিছিলে পিটুনি
৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ক্রিয়েটিভ রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রথমবারের মতো গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২০/২৫ জন বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে রাস্তায় নামতেই বিপুলসংখ্যক লোক তাদের গণপিটুনি দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে সংগঠনের মুখপাত্র কুতুব হেলালীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন সংগঠনের ২০/২৫ জন নেতাকর্মী। এ সময় পাশ থেকে ১৫-২০ জন লোক আখ, বাঁশ ও কাঠ নিয়ে এসে তাদের ওপর পিটুনি শুরু করেন। রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে আরো লোকজন এসে গণপিটুনির সাথে যুক্ত হলে বিক্ষোভকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। সংগঠনটির সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট বাতিলের প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়ালে বিএনপি ও জামায়াতের ক্যাডাররা হামলা চালায়। এতে তাদের অনেকে আহত হন। যার মধ্যে চারজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পক্ষে ঢাকায় কেউ মিছিল করতে নেমেছিল; কিন্তু আশপাশে থাকা লোকজন হাতের কাছে যা পেয়েছিলো বাঁশ, কাঠ, রস বিক্রি করা হকারদের কাছ থেকে আখ নিয়ে তাদের গণপিটুনি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

যুগান্তর:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ

নির্বাচনি রোডম্যাপে গুরুত্ব
নেতাদের প্রস্তাব প্রধান প্রধান সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে * আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বাজার সিন্ডিকেট ও নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে জোর
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ চেয়েছে। তারা বলেন, প্রধান প্রধান সংস্কারগুলো জনগণের নির্বাচিত সরকার করবে। সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে নেতারা বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জনগণ। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বাজার সিন্ডিকেট ও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংলাপে জোর দেন বিভিন্ন দলের নেতারা। গণতন্ত্র ও গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে সংলাপে। এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ গত ১৫ বছরে নেতাকর্মীদের নামে রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহার চেয়েছেন তারা। প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরানোর ওপরও জোর দিয়েছেন সংলাপে অংশ নেওয়া নেতারা।শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এসব কথা বলেন। দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় এ সংলাপ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর আগে ৫ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতসহ পাঁচটি দল ও তিনটি জোটের সঙ্গে সংলাপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। শনিবার বেলা ৩টায় প্রথমে গণফোরামের সঙ্গে শুরু হয় সংলাপ। রাতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শেষ হয়। এছাড়াও এদিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণফ্রন্ট, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশে লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাসদের (একাংশ) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে নিজ নিজ দলের পক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।

সমকাল:

সাজেদার দুই পুত্রের সম্পদের পাহাড়
বর্ষীয়ান নেতা। ২০০৮ থেকে ২০২২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফরিদপুর-২ আসনের টানা সংসদ সদস্য। তিনি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী; ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। যশ-খ্যাতি কিছুরই কমতি ছিল না। কিন্তু মায়ের বিপরীত চরিত্র দুই ছেলে– আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু ও শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু। সাজেদার রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে তারা গড়েছেন অঢেল সম্পদ। দেশে গাড়ি-বাড়ি-ব্যবসা সবই রয়েছে। বিপুল অর্থ লগ্নি করে সম্পদ গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায়। এলাকায় প্রভাব ধরে রাখতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের নিয়ে করেন ‘মামা বাহিনী’। এ বাহিনীর মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক কারবারসহ নিয়ন্ত্রণ করেছেন অপরাধ জগৎ। সাজেদার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় দুই ভাই-ই ছিলেন সর্বেসর্বা, যেন অঘোষিত এমপি।

২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। পরে আরও তিনবার দলটি ক্ষমতায় আসে। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র আট মাস। স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০০৮ সালে সাজেদা চৌধুরী এমপি হওয়ার পর তাঁর বড় ছেলে বাবলু চৌধুরী এলাকায় গডফাদার বনে যান। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আন্দোলন গড়ে তুললে এলাকা ছাড়েন বাবলু। তাঁর জায়গা দখলে নেন ছোট ভাই লাবু চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধেও অনিয়ম-দুর্নীতির এন্তার অভিযোগ। মাকে পুঁজি করে গাড়ি-বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন লাবুও।

দেশরুপান্তর:

শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে
প্রায় আড়াই মাস হতে চলল বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা একটি সামরিক বিমানে চেপে দিল্লিতে গিয়েছেন। তারপর থেকে তাকে আর এক মুহূর্তের জন্যও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার কোনো ছবি ‘লিক’ হয়নি, নানা কথিত ফোনালাপের অডিও ফাঁস হলেও সেগুলো যে তারই কণ্ঠস্বর, তারও কোনো প্রমাণ মেলেনি।

গতকাল শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা (বা তার সঙ্গে আসা ছোট বোন শেখ রেহানা) দিল্লিতে নামার পর থেকে সেখানে কীভাবে আছেন, কোথায় আছেন তা নিয়ে ভারত সরকারের মুখপাত্র, মন্ত্রী বা নীতিনির্ধারকরা এত দিন কিছু বলেননি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ও পরোক্ষে এটুকু শুধু জানিয়েছে, তিনি এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন এবং থাকবেন। অর্থাৎ শেখ হাসিনার আমিরাত বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে যাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
দিল্লির সাউথ ব্লকের একজন শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তার ধারণা, বেশ লম্বা সময়ের জন্যই শেখ হাসিনাকে ভারতে থাকতে দিতে হবে এ বাস্তবতার জন্যই সরকার এখন ক্রমেই প্রস্তুত হচ্ছে।