ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জনগণ স্বৈরশাসক দেখতে চায় না: জামায়াত আমির

জনগণ স্বৈরশাসক দেখতে চায় না: জামায়াত আমির

বিভিন্ন ধুয়া তুলে একটা জাতিকে যারা টুকরো টুকরো করতে চায় তারা জাতির দুশমন। রাজনীতি ও দল যার যার অবস্থানে থাকবে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে সবাই এক। কোনো বৈরী শক্তি ও শত্রু-শক্তি কখনও বিজয়ী হতে পারে না। আওয়ামী লীগ যে আইনে দেশ পরিচালনা করেছিল সে আইনে তারা ন্যায়বিচার পেলে তাদের জীবনের স্বাদ মিটে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কিছুদিন অপেক্ষা করুক। এ দেশে স্বৈরশাসককে জনগণ দেখতে চায় না। বিদেশিরা কোনো চাপ দিলে তাদের বলা হবে, এই জাতি সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে জানে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হিফজুল উলুম কামিল মাদরাসা মাঠে জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার নিশিরাতের নির্বাচন করেছিল। তারা যে তিনটি নির্বাচন করেছে তার কোনোটিই সুষ্ঠু হয়নি। এসব নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে পারেনি।

এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে তারা নির্বাচন চায় না। এখন আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা জনগণই ঠিক করবে। আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে তার বিচারের ওপরও বিষয়টি নির্ভর করে। একটি মহল চাচ্ছে যেন তারা নির্বাচন করতে পারে।

তারা কারা? তারা আওয়ামী লীগের লুকিয়ে থাকা অংশ। জনগণ যেমন স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে, তেমন আওয়ামী লীগের এই দোসরদেরও হটিয়ে দেবে। জামায়াত আমির বলেন, ‘জামায়াত বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়। যে দেশে শিশুরা সব মৌলিক অধিকার পাবে। কেউ বেকার থাকবে না।

নারীরা নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করবেন। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাবেন। যারা সরকার চালাবেন তারা হবেন জনগণের সেবক, মালিক নন। দুর্নীতিমুক্ত এমন রাষ্ট্র গঠনে জনগণকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। জামায়াত আমির দেশাবসীর সাহায্য চেয়ে বলেন, ‘দেশে মেজরিটি, মাইনরিটি বলে কিছু থাকবে না। মন্দির পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এমন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে হবে।

ডা. শফিকুর বিগত ১৬ বছরে বিগত সরকারের নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, ‘সব থেকে বেশি জুলুম হয়েছে জামায়াতের ওপর। জামায়াতকে নিমূর্লের চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি স্বৈরাচার সরকার শেষ মুহূর্তেও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে। এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন আওয়ামী লীগ আমলে করা যায়নি। গুম, খুন, ধর্ষণ, লুট, বিচারের নামে খুন, মামলা দেওয়াসহ হেন অপকর্ম নাই, যা সে সময় হয়নি। তারা খুনের খেলায় মেতেছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন হাসিনা

জনগণ স্বৈরশাসক দেখতে চায় না: জামায়াত আমির

আপডেট সময় ০৮:১৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বিভিন্ন ধুয়া তুলে একটা জাতিকে যারা টুকরো টুকরো করতে চায় তারা জাতির দুশমন। রাজনীতি ও দল যার যার অবস্থানে থাকবে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে সবাই এক। কোনো বৈরী শক্তি ও শত্রু-শক্তি কখনও বিজয়ী হতে পারে না। আওয়ামী লীগ যে আইনে দেশ পরিচালনা করেছিল সে আইনে তারা ন্যায়বিচার পেলে তাদের জীবনের স্বাদ মিটে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কিছুদিন অপেক্ষা করুক। এ দেশে স্বৈরশাসককে জনগণ দেখতে চায় না। বিদেশিরা কোনো চাপ দিলে তাদের বলা হবে, এই জাতি সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে জানে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হিফজুল উলুম কামিল মাদরাসা মাঠে জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার নিশিরাতের নির্বাচন করেছিল। তারা যে তিনটি নির্বাচন করেছে তার কোনোটিই সুষ্ঠু হয়নি। এসব নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে পারেনি।

এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে তারা নির্বাচন চায় না। এখন আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা জনগণই ঠিক করবে। আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে তার বিচারের ওপরও বিষয়টি নির্ভর করে। একটি মহল চাচ্ছে যেন তারা নির্বাচন করতে পারে।

তারা কারা? তারা আওয়ামী লীগের লুকিয়ে থাকা অংশ। জনগণ যেমন স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে, তেমন আওয়ামী লীগের এই দোসরদেরও হটিয়ে দেবে। জামায়াত আমির বলেন, ‘জামায়াত বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়। যে দেশে শিশুরা সব মৌলিক অধিকার পাবে। কেউ বেকার থাকবে না।

নারীরা নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করবেন। শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাবেন। যারা সরকার চালাবেন তারা হবেন জনগণের সেবক, মালিক নন। দুর্নীতিমুক্ত এমন রাষ্ট্র গঠনে জনগণকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। জামায়াত আমির দেশাবসীর সাহায্য চেয়ে বলেন, ‘দেশে মেজরিটি, মাইনরিটি বলে কিছু থাকবে না। মন্দির পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এমন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করতে হবে।

ডা. শফিকুর বিগত ১৬ বছরে বিগত সরকারের নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, ‘সব থেকে বেশি জুলুম হয়েছে জামায়াতের ওপর। জামায়াতকে নিমূর্লের চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি স্বৈরাচার সরকার শেষ মুহূর্তেও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে। এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন আওয়ামী লীগ আমলে করা যায়নি। গুম, খুন, ধর্ষণ, লুট, বিচারের নামে খুন, মামলা দেওয়াসহ হেন অপকর্ম নাই, যা সে সময় হয়নি। তারা খুনের খেলায় মেতেছিল।