ঢাকা ০২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি তোলা হচ্ছে: দুদু Logo জাবির সহকারী প্রক্টরকে সম্মাননা জানালো Traditional She Logo দুর্গাপূজায় সরকারি কর্মচারীরা পাবে টানা ৪ দিনের ছুটি Logo আজ মাহামুদুর রহমানকে জেরা করবেন শেখ হাসিনার আইনজীবী Logo দেশ-বিদেশে আলো ছড়াচ্ছে তানযীমুল উম্মাহর শিক্ষার্থীরা : আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি Logo এমবাপ্পের জোড়া গোলে ইতিহাস গড়া জয় রিয়ালের Logo জামায়াতের নয়, এনসিপির নেতৃত্বেই আসতে পারে নতুন জোট Logo সুপার ফোরে যেতে যে সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ Logo ঢাকায় বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অফিস Logo অসাধারণ অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য প্রধান উপদেষ্ঠার প্রশংসা করলেন আইএমএফ প্রধান

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক আর নেই

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ ফজলুর রহমান খান ফারুক আর নেই। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাসভবন থানা পাড়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফজলুর রহমান খান ফারুক সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

শনিবার বাদ আসর বেবি স্ট্যান্ড জামে মসজিদে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মরহুমের ছোট ভাই বজলুর রহমান খান সাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফজলুর রহমান ফারুক ১৯৪৪ সালে (১২ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন।

১৯৬০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন ফারুক। ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৭০ সালে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বাকশাল গঠিত হলে টাঙ্গাইল জেলা বাকশালের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ১৭ আক্টাবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে অচলাবস্থার সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি তোলা হচ্ছে: দুদু

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক আর নেই

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ ফজলুর রহমান খান ফারুক আর নেই। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাসভবন থানা পাড়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফজলুর রহমান খান ফারুক সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

শনিবার বাদ আসর বেবি স্ট্যান্ড জামে মসজিদে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মরহুমের ছোট ভাই বজলুর রহমান খান সাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফজলুর রহমান ফারুক ১৯৪৪ সালে (১২ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন।

১৯৬০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন ফারুক। ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৭০ সালে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বাকশাল গঠিত হলে টাঙ্গাইল জেলা বাকশালের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ১৭ আক্টাবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।