ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক Logo হাজার হাজার দেশপ্রেমিকের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর Logo ১৩টি ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আ.লীগ-বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে Logo টিভিতে যে খেলা থাকছে আজ Logo মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সং’ঘর্ষ Logo ১৭ বছর আন্দোলন করেছি বাসস্ট্যান্ড দখলের জন্য নয়: ইশরাক

ইসরাইল যেভাবে হামাসপ্রধান সিনওয়ারকে হত্যা করে

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • 234

এক বছর ধরে গোপন অবস্থানে থাকার পর ইসরাইলি বাহিনীর হাতেই মৃত্যু হলো হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। । কীভাবে তা সম্ভব হলো এবং এর পিছনে ইসরাইলি বাহিনীর কর্মপরিকল্পনাই বা কি ছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার চেষ্টা করলেও বারবার ব্যর্থ হয় দখলদার ইসরাইল। ধারণা করা হচ্ছিল, হামাসের গোপন সুড়ঙ্গের কোনো একটিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ছিলেন তিনি। এমনকি ইসরাইল থেকে আটক হওয়া জিম্মিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ ইসরাইলি বাহিনীর হাতেই মৃত্যু হলো হামাসের প্রভাবশালী এই নেতার।

ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স জানান, অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলের তাল আল সুলতান এলাকায় টহলে বের হয়েছিলেন ইসরাইলি সেনারা। এ সময় তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হত্যা করে সেদিনকার মতো ফেরত যান সেনারা। পরদিন সকালে নিহতদের পরীক্ষা করতে এলে তাদের একজনের সঙ্গে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মিল খুঁজে পান তারা। পরিচয় নিশ্চিত করতে তার দেহের একটি নমুনা পাঠানো হয় ইসরাইলে। পরবর্তীতে পরিচয় নিশ্চিত করে তার মৃতদেহ ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়।আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির দাবি, পরিচয় না জেনেই হত্যা করা হয়েছে সিনওয়ারকে। ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল না। ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দালানে আহত অবস্থায় বসে ছিলেন তিনি। তবে তার অবস্থান নিশ্চিত করতে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজ করছিল তাদের ইন্টেলিজেন্স টিম। অর্থাৎ সিনওয়ার যে রাফার কোনো জায়গায় গোপনে আছেন, সে বিষয়ে ধারণা ছিল ইসরাইলি বাহিনীর।

তবে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুতে যুদ্ধ থামানো হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু। যদি যুদ্ধবিরতি দিতেই হয়, তবে হামাসকে অবশ্যই জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে বলে জানান তিনি।সিনওয়ার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হামাসও।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটির গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল হায়া বলেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, ইসরাইল গাজায় হামলা বন্ধ এবং অবরুদ্ধ গাজা থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে না

জনপ্রিয় সংবাদ

আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

ইসরাইল যেভাবে হামাসপ্রধান সিনওয়ারকে হত্যা করে

আপডেট সময় ০৯:০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

এক বছর ধরে গোপন অবস্থানে থাকার পর ইসরাইলি বাহিনীর হাতেই মৃত্যু হলো হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। । কীভাবে তা সম্ভব হলো এবং এর পিছনে ইসরাইলি বাহিনীর কর্মপরিকল্পনাই বা কি ছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার চেষ্টা করলেও বারবার ব্যর্থ হয় দখলদার ইসরাইল। ধারণা করা হচ্ছিল, হামাসের গোপন সুড়ঙ্গের কোনো একটিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ছিলেন তিনি। এমনকি ইসরাইল থেকে আটক হওয়া জিম্মিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ ইসরাইলি বাহিনীর হাতেই মৃত্যু হলো হামাসের প্রভাবশালী এই নেতার।

ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স জানান, অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলের তাল আল সুলতান এলাকায় টহলে বের হয়েছিলেন ইসরাইলি সেনারা। এ সময় তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হত্যা করে সেদিনকার মতো ফেরত যান সেনারা। পরদিন সকালে নিহতদের পরীক্ষা করতে এলে তাদের একজনের সঙ্গে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মিল খুঁজে পান তারা। পরিচয় নিশ্চিত করতে তার দেহের একটি নমুনা পাঠানো হয় ইসরাইলে। পরবর্তীতে পরিচয় নিশ্চিত করে তার মৃতদেহ ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়।আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির দাবি, পরিচয় না জেনেই হত্যা করা হয়েছে সিনওয়ারকে। ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল না। ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দালানে আহত অবস্থায় বসে ছিলেন তিনি। তবে তার অবস্থান নিশ্চিত করতে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজ করছিল তাদের ইন্টেলিজেন্স টিম। অর্থাৎ সিনওয়ার যে রাফার কোনো জায়গায় গোপনে আছেন, সে বিষয়ে ধারণা ছিল ইসরাইলি বাহিনীর।

তবে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুতে যুদ্ধ থামানো হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু। যদি যুদ্ধবিরতি দিতেই হয়, তবে হামাসকে অবশ্যই জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে বলে জানান তিনি।সিনওয়ার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হামাসও।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটির গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল হায়া বলেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, ইসরাইল গাজায় হামলা বন্ধ এবং অবরুদ্ধ গাজা থেকে নিজেদের বাহিনী প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে না