ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১ অক্টোবর বাংলাদেশে আসছে ‘রয়্যাল এনফিল্ড’

‘রয়্যাল এনফিল্ড’ নাম শুনলেই এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে, বিশেষ করে যারা বাইক চালাতে পছন্দ করেন। বলা যায় তাদের স্বপ্ন এই বাইক চালানো। বাংলাদেশে ৩৫০ সিসির এই বাইকের অনুমোদন ছিল না। অবশেষে দেশের বাজারে এই বাইক আসতে চলেছে। আগামী ২১ অক্টোবর বাইকটি বাংলাদেশে লঞ্চ করতে যাচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমতি দিয়েছে। এই সিসিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা রয়েল এনফিল্ড কখন পাওয়া যাবে, তা নিয়ে দেশের বাইকারদের মধ্যে অধীর আগ্রহ দেখা দেয়। সেই সময় ইফাদ মোটরস দেশে রয়্যাল এনফিল্ড উৎপাদন এবং বিপণনের ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্থাপন করেছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটি সর্বাধুনিক উৎপাদন কেন্দ্র। এটি স্থানীয়ভাবে বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে সক্ষম।

চলতি বছরের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চালু হয় ‘রয়্যাল এনফিল্ড বাংলাদেশ’ নামের পেজ। এই পেইজেই প্রথমে জানান দেওয়া হয়েছিল। এই পেইজেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

রয়্যাল এনফিল্ডের শুরুটা যুক্তরাজ্যে, ১৯০১ সালে। ইংল্যান্ডে দুই ব্রিটিশ উদ্যোক্তা বব ওয়াকার স্মিথ এবং অ্যালবার্ট ইডি তাঁদের প্রথম মোটরসাইকেল তৈরি করেন। স্ট্যানলি সাইকেল প্রদর্শনীতে তাঁরা মোটরসাইকেলটি দেখান। বাইকারদের মন জয় করে নেওয়া শুরু হয় তখন থেকেই। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি ভারতের মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে চেন্নাইয়ে সংযোজন কারখানা স্থাপন করে।

ভারতের বাইকবাজারে আধিপত্য বিস্তার করে। পাশাপাশি বেশি সিসির এই বাইক বিশ্বস্ততা ও আস্থাতেও এগিয়ে যায়। হলিউড, বলিউডের জনপ্রিয় অনেক তারকা এবং খেলোয়াড়দের পছন্দের তালিকায় রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড। এই সময়ে এসে প্রায় অর্ধশত দেশে রয়্যাল এনফিল্ডের জনপ্রিয়তা দেখা যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

২১ অক্টোবর বাংলাদেশে আসছে ‘রয়্যাল এনফিল্ড’

আপডেট সময় ০৬:৩১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

‘রয়্যাল এনফিল্ড’ নাম শুনলেই এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে, বিশেষ করে যারা বাইক চালাতে পছন্দ করেন। বলা যায় তাদের স্বপ্ন এই বাইক চালানো। বাংলাদেশে ৩৫০ সিসির এই বাইকের অনুমোদন ছিল না। অবশেষে দেশের বাজারে এই বাইক আসতে চলেছে। আগামী ২১ অক্টোবর বাইকটি বাংলাদেশে লঞ্চ করতে যাচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমতি দিয়েছে। এই সিসিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা রয়েল এনফিল্ড কখন পাওয়া যাবে, তা নিয়ে দেশের বাইকারদের মধ্যে অধীর আগ্রহ দেখা দেয়। সেই সময় ইফাদ মোটরস দেশে রয়্যাল এনফিল্ড উৎপাদন এবং বিপণনের ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্থাপন করেছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটি সর্বাধুনিক উৎপাদন কেন্দ্র। এটি স্থানীয়ভাবে বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে সক্ষম।

চলতি বছরের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চালু হয় ‘রয়্যাল এনফিল্ড বাংলাদেশ’ নামের পেজ। এই পেইজেই প্রথমে জানান দেওয়া হয়েছিল। এই পেইজেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

রয়্যাল এনফিল্ডের শুরুটা যুক্তরাজ্যে, ১৯০১ সালে। ইংল্যান্ডে দুই ব্রিটিশ উদ্যোক্তা বব ওয়াকার স্মিথ এবং অ্যালবার্ট ইডি তাঁদের প্রথম মোটরসাইকেল তৈরি করেন। স্ট্যানলি সাইকেল প্রদর্শনীতে তাঁরা মোটরসাইকেলটি দেখান। বাইকারদের মন জয় করে নেওয়া শুরু হয় তখন থেকেই। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি ভারতের মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে চেন্নাইয়ে সংযোজন কারখানা স্থাপন করে।

ভারতের বাইকবাজারে আধিপত্য বিস্তার করে। পাশাপাশি বেশি সিসির এই বাইক বিশ্বস্ততা ও আস্থাতেও এগিয়ে যায়। হলিউড, বলিউডের জনপ্রিয় অনেক তারকা এবং খেলোয়াড়দের পছন্দের তালিকায় রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড। এই সময়ে এসে প্রায় অর্ধশত দেশে রয়্যাল এনফিল্ডের জনপ্রিয়তা দেখা যায়।