ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায় হবে ৮ মে Logo ছুটির বদলে এক মাসের ভাতা চায় পুলিশ Logo ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে-সাইফুল আলম খান মিলন Logo ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করায় ইসির ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ Logo গাজী বোরহান উদ্দিন রোডের দ্রুত সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের দাবিতে পথসভা Logo কলকাতায় আবাসিক হোটেলে আগুন, নিহত ১৪ Logo নাটোরে ধানের ট্রাকে চাঁদাবাজির সময় বিএনপি নেতাসহ আটক ৩ Logo গাজায় আরও অর্ধশতাধিক নিহত, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা অনেক Logo ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা করতে পারে ভারত, দাবি পাক তথ্যমন্ত্রীর Logo সাতক্ষীরায় বিএনপির সার্চ কমিটিতে আ.লীগ,প্রতিবাদে বিক্ষোভ

শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) হাসিনার বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের’ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এর প্রথমদিনেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বিশ্ব গণমাধ্যমে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়েছে।

এরমধ্যে বার্তাসংস্থা রয়টার্স তার শিরোনামে লিখেছে, ‘নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি’।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শিরোনাম করেছে, ‘শেখ হাসিনা: সাবেক নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।’ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলোতেও শিরোনাম প্রায় একই রকম করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি জানা গেছে, হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে ভারত। যা দিয়ে তিনি চাইলে অন্য দেশে যেতে পারবেন। কিন্তু তিনি যদি ভারতে থেকে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে ফেরত দিতে হবে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়। সেই ট্রাইব্যুনালেই এখন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন এই আদালতে তারও বিচার হবে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত হয়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গঠিত এ ট্রাইব্যুনালে পরিবর্তন আনা হয়। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা ১৫ অক্টোবর বিচারিককাজে যোগ দেন।

ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েকশ মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েক ডজন নেতা ও সহযোগীর বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এরইমধ্যে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায় হবে ৮ মে

শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে

আপডেট সময় ০৫:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) হাসিনার বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের’ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এর প্রথমদিনেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বিশ্ব গণমাধ্যমে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়েছে।

এরমধ্যে বার্তাসংস্থা রয়টার্স তার শিরোনামে লিখেছে, ‘নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি’।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শিরোনাম করেছে, ‘শেখ হাসিনা: সাবেক নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।’ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলোতেও শিরোনাম প্রায় একই রকম করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি জানা গেছে, হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে ভারত। যা দিয়ে তিনি চাইলে অন্য দেশে যেতে পারবেন। কিন্তু তিনি যদি ভারতে থেকে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে ফেরত দিতে হবে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়। সেই ট্রাইব্যুনালেই এখন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন এই আদালতে তারও বিচার হবে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত হয়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গঠিত এ ট্রাইব্যুনালে পরিবর্তন আনা হয়। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা ১৫ অক্টোবর বিচারিককাজে যোগ দেন।

ছাত্র আন্দোলনের সময় কয়েকশ মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েক ডজন নেতা ও সহযোগীর বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এরইমধ্যে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে।