আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর
কালের কন্ঠ:
হুন্ডিতে বিপুল ডলার নিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী নেতারা
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে, কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়লেও সেই হারে দাম কমেনি। অন্যদিকে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ কমায় ব্যাপক হারে শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে। অথচ এখানেই ডলারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসছে।
এর পরও ১২০ টাকার নিচে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই অতিরিক্ত ডলার হুন্ডির মাধ্যমে আবারও বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যতটা সম্ভব ডলার সঙ্গে নিয়ে বর্ডার পার হয়ে অন্য দেশে চলে গেছেন, অনেকে যাওয়ার চেষ্টায় আছেন। আবার যাঁরা পালিয়ে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন, তাঁরা হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে ডলার নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে প্রতি মাসে আমদানির জন্য ব্যয় হচ্ছে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার। সেখানে রপ্তানি আয় তিন বিলিয়ন ডলার। বাকি দুই বিলিয়ন ডলারের চাহিদা পূরণ করছে রেমিট্যান্স। কোনো কোনো মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারও আসছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ডলারের দাম কেন ১২০ টাকার নিচে নামছে না? সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, ব্যাংকে বর্তমানে এলসির চাহিদা কম, কমেছে বিদেশে ভ্রমণ, চিকিত্সা নিতে যাওয়া মানুষের সংখ্যাও কমেছে। আবার আগামী জানুয়ারি মাসের আগে পড়ালেখাকেন্দ্রিক বিদেশে ডলার পেমেন্টের চাপও তৈরি হবে না। এ আবস্থায় রেমিট্যান্সের মাধ্যমে যে ডলার দেশে আসছে তা আবার হুন্ডি হয়ে বিদেশে পাচার হচ্ছে। দেশের সম্পদ রক্ষা করতে এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
প্রথম আলো:
‘দলবাজ’ ও ‘দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ অথবা তাঁদের অপসারণের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও এবং বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভের মুখে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে আপাতত বেঞ্চ না দেওয়া, অর্থাৎ বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে তারা বিচারপতিদের নাম প্রকাশ করেনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ ও জাতীয় নাগরিক কমিটি-লিগ্যাল উইং গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে। এই কর্মসূচির ঘোষণা আগের দিন মঙ্গলবার দেওয়া হয়েছিল। গতকালের বিক্ষোভকালে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও নাগরিক কমিটির লোকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিরা আওয়ামী লীগের ইচ্ছা ও নির্দেশনাকে আইনে পরিণত করেছিলেন। বিচারাঙ্গনকে দলীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অনেক বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়েছিল। অনেক বিচারপতির দলবাজির কারণেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যার সাহস দেখিয়েছেন। এই বিচারপতিরা ফ্যাসিস্টের দোসর।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিকেল
চারটার দিকে হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে এসে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা বলেন, আপাতত ১২ জন বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। এর অর্থ হলো, অবকাশ শেষে ২০ অক্টোবর আদালত খুললে তাঁরা বিচারকাজে অংশ নিতে পারবেন না।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১০ আগস্ট একইভাবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ হয়েছিল। তখন পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি। ওই দিনই বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে আপিল বিভাগে আরও চারজনকে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়।
যুগান্তর:
বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মনে করে না বর্তমান সরকার
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা মনে করে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত করেছে। তাকে আপনারা জাতির পিতা মনে করেন কি না-এমন প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল হিসাবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই তারা কাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল-নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না।’
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে। আপনারা যদি আওয়ামী লীগের করা সবকিছু মনে করেন জাতীয় জাতীয়-এমন প্রশ্ন রেখে সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ভোটবিহীন সরকারেরই কোনো বৈধতা নেই। সেসময়ে অনেক কিছু করা হয়েছে। সব পুনর্গঠন ও পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মনে করে কি না এই সরকার-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই না।
তাহলে আমাদের কোনো জাতির পিতা থাকবে না, প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু কেবল বায়ান্নতেই শুরু হয়নি। আমাদের ব্রিটিশবিরোধী লড়াই আছে, সাতচল্লিশ ও একাত্তরের লড়াই আছে, নব্বই ও চব্বিশ আছে। আমাদের অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস রয়েছেন। তাদের লড়াইয়ের ফলে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, আমাদের ইতিহাসে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাসেম, যগেন মণ্ডল, মাওলানা ভাসানী-এমন অনেক মানুষের লড়াই আছে। আমরা তো মনে করি, এখানে একজন জাতির পিতা না, বরং অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস (জাতির পিতা) রয়েছেন। যাদের অবদানের ফলে আমরা এই স্বাধীন ভূখণ্ড, স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। সুতরাং জাতির পিতা হিসাবে আমরা একটা দলের বা একজন ব্যক্তিকে সীমাবদ্ধ করতে চাই না। তিনি বলেন, ইতিহাসের বহুমুখিতা আছে। যেটিকে আওয়ামী লীগ এতদিন অস্বীকার করেছে। তারা মওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে, অথচ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।
বাংলাদেশ প্রতিদিন:
করপোরেটে জিম্মি ডিম মুরগির বাজার
কাজী প্যারাগন সিপি লুটে নিচ্ছে হাজার কোটি মুনাফা
দেশের মুরগি, ডিম ও পোলট্রি খাবারের বাজার জিম্মি করে রেখেছে বাণিজ্যিক উৎপাদক বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো। এদের মধ্যে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোলট্রি ও সিপি বাংলাদেশ নিজেদের ইচ্ছামতো সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণ করে লুটে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার মুনাফা। যোগসাজশের মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে সিপি বাংলাদেশকে বিপুল অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হয়েছে। জানা গেছে, ডিম, মুরগি ও পোলট্রি খাবার বাজারের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজী ফার্মসের নাম উঠেছে একটি দূতাবাসের জরিপেও। বাংলাদেশের পোলট্রি খাতে করপোরেটগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গবেষণা করেছে ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রয়লার মুরগির গ্রান্ড প্যারেন্ট স্টক (জিপি) বাজারের ৮৫ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দেশের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির হাতে। মাংসের জন্য পালনকৃত ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার মজুত সবচেয়ে বেশি রয়েছে কাজী ফার্মস গ্রুপের। দুটি খামারে তাদের ৪৯ হাজার ব্রয়লার জিপি স্টক রয়েছে। কাজী ফার্মসের দখলে ব্রয়লারের জিপির বাজারের ৩৪ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির ব্রয়লার ও লেয়ারের পিএস খামার রয়েছে সাতটি। যেগুলো এক দিন বয়সী বাচ্চা উৎপাদন করছে। কোম্পানিটির জবাইখানায় এক দিনে ১০ হাজার মুরগি প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা রয়েছে। তাদের মোট হ্যাচারির সংখ্যা ১৩টি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পোলট্রি ফিড কারখানা রয়েছে দুটি। কাজী ফার্মস ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। এতে কর-পূর্ববর্তী মুনাফা হয়েছে ১৭৫ কোটি টাকা। আর গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সংরক্ষিত মুনাফার পরিমাণ ১ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা। থাইল্যান্ডভিত্তিক সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড মুরগির বাচ্চা, পোলট্রি ফিড ও ডিম উৎপাদনের পাশাপাশি পোলট্রিভিত্তিক ফাস্টফুডের ব্যবসা করছে। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির বিক্রির পরিমাণ ৪ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। ওই সময়ে কোম্পানির কর-পূর্ববর্তী মুনাফা হয়েছে ১৫৩ কোটি টাকা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে সিপি বাংলাদেশের সংরক্ষিত মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭৮ কোটি টাকায়।
নয়াদিগন্ত:
লেবাননে পৌর ভবনে ইসরাইলি হামলায় মেয়রসহ নিহত ৬
দক্ষিণ লেবাননের অন্যতম প্রধান শহর নাবাতিহের পৌর ভবনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে শহরটির মেয়রসহ অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। লেবাননে ইসরাইলি হামলার বিরোধিতার কথা যুক্তরাষ্ট্র জানানোর কয়েকঘণ্টা পরেই এই হামলা হলো। দু’টি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার নাবাতিহে পৌর ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে মেয়র আহমদ কাহিলসহ কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। রয়টার্স, সিএনএন ও আলজাজিরা।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা নাবাতিহ এলাকায় হিজবুল্লাহর কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো ভেঙে দিয়েছে। এই হামলায় ইসরাইলি সেনাদের সাথে নৌবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দেন। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, স্থলভাগে সৈন্যদের সহযোগিতায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে নৌবাহিনী।
মানবজমিন:
ফাইল গায়েব হয়ে যাচ্ছে সংসদ থেকে
আর্থিক ও সংসদ সচিবালয়ের নেয়া পুরনো অনেক সিদ্ধান্তের ফাইল গায়েব করা হচ্ছে। এরইমধ্যে শতাধিক ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এসব ফাইলের বেশির ভাগই আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আরও ফাইল গায়েব করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মানবজমিন-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে। ইতিমধ্যে যেসব ফাইল গায়েব হয়েছে তাতে শতাধিক কোটি টাকার হিসাব রয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এসব ফাইল গায়েবের সঙ্গে সম্পৃক্ত। চতুর্থ শ্রেণির অনেক কর্মচারীকে টাকার বিনিময়ে ফাইল গায়েবের মিশনে নামানো হয়েছে। ৫ই আগস্টের পর অনেক কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস করছেন না। তারা বাইরে থেকে টাকা দিয়ে কর্মচারীদের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ফাইল গায়েব করছেন। তবে এসবই হচ্ছে খুবই গোপনে। সংসদ সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানান, স্পিকারের দপ্তর, সংসদ সচিবের দপ্তর ও কমন শাখার অনেক ফাইলের হদিস নেই। আবার কমিটি শাখার অনেক ফাইল রাতারাতি গায়েব হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব ফাইলে কমিটির নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাবিত হয়ে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর ফাইল সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক সংগ্রাম:
আমরা চাই ফিলিস্তিন একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে বিশ্বের বুকে দাঁড়াক – ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সালেহ ওয়াই. রামাদান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সালেহ ওয়াই. রামাদান যৌথ প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সারা বিশ্বের মুসলিম দেশের মত ফিলিস্তিনের সাথে আমাদের চিরদিনের আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং এ সম্পর্ক সামনে অটুট থাকবে, ইনশাআল্লাহ। বহু দিন ধরে এবং এই মুহূর্তে ফিলিস্তিন একটি নির্যাতিত দেশ। তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলছে। দিনের পর দিন শহীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের সমর্থন রয়েছে। ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের দোয়া, ভালবাসা, সহযোগিতা, সমর্থন রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই ফিলিস্তিন একটি জাতি রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে বিশ্বের বুকে দাঁড়াক। কারণ এই জায়গাটা হচ্ছে অসংখ্য নবী-পয়গাম্বরের স্মৃতি-বিজড়িত স্থান। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস এই মাটিতেই রয়েছে। ফিলিস্তিনের বঞ্চিত, ক্ষতিগ্রস্ত ভাই বোনদের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। ফিলিস্তিনে যারা নিহত হয়েছেন আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং আহতদের মহান রব সুস্থতার নিয়ামত দান করুন। ফিলিস্তিনের দুর্দশাগ্রস্ত সকল জনগণের প্রতি আমাদের দোয়া, ভালবাসা, সহযোগিতা ও সমর্থন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বনিক বার্তা:
জুলাই-আগস্টে ব্যাংকে আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা
জুলাই থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল সারা দেশ। আন্দোলন দমাতে কারফিউ জারি, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্তও চাপিয়ে দিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার।
জুলাই থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল সারা দেশ। আন্দোলন দমাতে কারফিউ জারি, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্তও চাপিয়ে দিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার। ওই সময় ব্যাংকও বন্ধ ছিল অন্তত পাঁচদিন। স্থবিরতা নেমে এসেছিল দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। আশঙ্কাজনক হারে কমে গিয়েছিল ব্যাংকিং লেনদেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর তৈরি হয় ভিন্ন পরিস্থিতি। দেশের ব্যাংক খাতে দেখা দেয় নগদ টাকার তীব্র সংকট। পরিস্থিতি সামাল দিতে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরও গ্রাহকের আমানতের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হতে থাকে অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত ব্যাংকগুলো। এসবের ধারাবাহিকতায় ওই সময় ব্যাংকে টাকা জমা হওয়ার চেয়ে উত্তোলন হয়েছে অনেক বেশি।
সমকাল:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আঁকা গ্রাফিতি দেখে ‘উচ্ছ্বসিত’ প্রধান উপদেষ্টা
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর বিভিন্ন দেয়ালে নানা ধরনের গ্রাফিতি আঁকা হয়। কিশোর-তরুণ-বিপ্লবীদের আঁকা এসব গ্রাফিতি সশরীরে দেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বিভিন্ন দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিগুলো হেঁটে দেখেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘চিফ অ্যাডভাইজর গভ’ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ দিকে গ্রাফিতিগুলো দেখে ড. ইউনূস প্রশংসা এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে থাকা ঢাবির প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ এবং আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
এ ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
কালবেলা:
৭ মার্চসহ ৮ ‘জাতীয়’ দিবস বাতিল
মুজিবকে জাতির পিতা মনে করে না সরকার
৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আটটি দিবস বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। উচ্চ আদালতের নির্দেশে দিবসগুলো পালন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম কালবেলাকে জানিয়েছিলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস বাতিল হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানায়, বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে উপদেষ্টা পরিষদ এসব জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৭ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে গতকাল এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
দেশরুপান্তর:
নতুন ৪০ হাজার রোহিঙ্গার প্রবেশে উদ্বেগ ঢাকার
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে সংঘাত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল বুধবার বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ কিয়াও সোয়ে মো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আলোচনাকালে মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার আশু প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উভয় দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
মিয়ানমার সরকার এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদাররা পরিস্থিতি সমাধানে গঠনমূলক আলোচনায় নিয়োজিত হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।