ইসলামি ছাত্রশিবির বাগেরহাট জেলা শাখা আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা জানানো হয়।
আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) এ সংবর্ধনা অনুষ্টান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ব্যাবসায় শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রের উচিত ছিলো মেধাবীদের সম্মান জানিয়ে সংবর্ধনা আয়োজন করা। মেধাবীরা দেশের ভবিষ্যৎ, আর ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে যে, জ্ঞান ও মেধা আল্লাহর এক বিশেষ দান। এই মেধাকে মানবতার কল্যাণে কাজে লাগানোই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, মেধাবীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা দিলে, তারা দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। তাদের কেবল একাডেমিক সাফল্য নয়, ইসলামের শিক্ষা এবং নৈতিকতা দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত, যাতে তারা সত্যিকারের সমাজ গড়তে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ইসলামি শিক্ষায় মেধার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, ‘যারা জ্ঞানী তারা মর্যাদায় উত্তম’। আজকের এই মেধাবীরা দেশের অগ্রগতির শক্তি। তাদেরকে নৈতিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষার আলোকে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা আল্লাহর দেওয়া মেধা দেশের সেবা এবং কল্যাণে ব্যয় করতে পারে। মেধা একা কিছু নয়, যদি তা সঠিকভাবে পরিচালিত না হয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও নৈতিকতার আদর্শ ধরে রাখতে হবে।
জেলা যুব জামায়াতের সভাপতি শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাদ তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এই মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, মেধা ও জ্ঞানকে সমাজের উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে। একজন মুসলমানের মেধার সঠিক ব্যবহার হলো সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। আমরা চাই, এই শিক্ষার্থীরা শুধু একাডেমিক সাফল্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজের নেতৃত্বেও অবদান রাখবে। ইসলাম কেবল জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দেয় না, নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনের ওপরও জোর দেয়। আমরা আশা করি, আজকের এই তরুণরা ইসলামি আদর্শের পথে থেকে দেশের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করবে।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইসলামি ছাত্রশিবির বাগেরহাট জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফ। তিনি বলেন, আজ যারা মেধার জন্য সংবর্ধিত হচ্ছে, তারা শুধু নিজেদের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য গর্বের কারণ। ইসলামের মূল শিক্ষা হলো জ্ঞানার্জন, কিন্তু সেই জ্ঞানকে কেবল নিজের উন্নতির জন্য নয়, বরং সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করতে হবে। আজকে আমাদের মেধা গুলো হত্যা করে ফেলা হচ্ছে অথচ অন্যান্য হত্যার ন্যায় মেধা হত্যা ও একটি অপরাধ। আজকের এই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে, এবং তারা ইসলামের নীতি ও মূল্যবোধকে ধরে রেখে উন্নত জাতি গড়তে ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ।
মেধাবীরা শুধু ভালো ফলাফল করেই থেমে থাকবে না, তারা তাদের মেধাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিবিরের জেলা সেক্রেটারি হাফেজ মোরশেদ আলম, জেলা অফিস সম্পাদক আহমেদ আব্দুল্লাহ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, যারা সবাই শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানান।