ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই ঘোষণাপত্রে থাকছে কী, সাংবিধানিক ভিত্তি নিয়ে মতবিরোধ কেটেছে? Logo চার বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আশঙ্কা Logo তিন সমাবেশ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে ১৪ হাজার পুলিশ Logo তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে-নিম্নাঞ্চলে ঢুকছে পানি Logo সমাবেশ ঘিরে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট Logo খেলনা ভেবে মর্টার শেল নিয়ে খেলছিল শিশুরা, হঠাৎ বিস্ফোরণ নিহত পাঁচ Logo গাজায় আরও ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়াল Logo প্রথম রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি মামুন, হাতে ছিলো না হাতকড়া Logo জামায়াতের শৃঙ্খলা ও সততা সব রাজনৈতিক দলের জন্য অনুসরণযোগ্য: প্রেস সচিব Logo জামায়াতে আমিরের রোগমুক্তি কামনায় কুমারখালীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

হাসনাত ও সারজিসকে রংপুরে ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা জাপা নেতার

সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনো প্রোগ্রাম রংপুরের মাটিতে হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এ সময় তাদেরকে ‘টোকাই’ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রংপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির যৌথকর্মী সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন তিনি।

জাপা কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘রংপুরে যা করতে চান তা জাতীয় পার্টির অংশ গ্রহণ ছাড়া আমরা ঘটাতে দিব না। জাতীয় পার্টিকে বাদ রেখে কোনো আলোচনা নয়। রংপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই, রংপুরে কোনো রাজনৈতিক সংলাপে জাতীয় পার্টিকে যদি ডাকা না হয়, সম্মান দেয়া না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি নিজেই সেটা অধিকার আদায় করে নিবে। জাতীয় পার্টিকে সেই সংলাপে ডাকা না হলে তা করতে দেয়া হবে না। রংপুরে জাতীয় পার্টি বৃহৎ দল। এখানে আমাদের ছাড়া কোনো আলোচনা ফলপ্রসু হবে না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মোস্তফা বলেন, ‘এজন্য প্রস্তুত থাকবেন। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম রংপুরে আসতে পারবে না। যদি ফেসবুকে ম্যাসেজ দেখেন। সাথে সাথে যার কাছে যা কিছু আছে, তা নিয়ে রংপুরে এই পার্টি অফিসে চলে আসবেন। আমরা দেখায় দিতে চাই। রংপুরে জাতীয় পার্টির শক্তিকতটুকু। সেই আন্দোলন পুলিশ ঠেকাবে, না বিজিবি ঠেকাবে, না র‌্যাব ঠেকাবে, সেটাকে সুপারচিট (অতিক্রম) করে ওই তাদেরকে যদি আমরা নস্যাত করতে না পারি, তাহলে জাতীয় পার্টিতে নাক ক্ষত দিয়ে চলে যাব। কোনোদিন আর জাতীয় পার্টি করব না। আমাদের ঘোষণা সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনো প্রোগ্রাম রংপুরের মাটিতে হতে দেয়া হবে না। যা হয়, তাই হবে ইনশাআল্লাহ।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে মোস্তফা বলেন, ‘ড. ইউনূসকে বলতে চাই, আপনি একজন বিজ্ঞ মানুষ। একজন বরেণ্য মানুষ। বাংলাদেশের অনেক সম্মান বয়ে এনেছেন। কিন্তু কয়েকটা ছাত্রের কথা শুনে আপনি যদি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তাহলে আপনি ভুল করবেন। এখনো কিন্তু আপনি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নাই। সারাদেশের মানুষের মধ্যে হাহাকার। পুলিশ বাহিনী কাজ করতেছে না। আপনি স্বপ্ন দেখতেছেন একটা সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করবেন। সেই বাংলাদেশ গড়তে গেলে আপনাকে গঠনমুলক চিন্তাভাবনা করতে হবে। আজকে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর মতো দুইটা টোকাইকে যদি মনে করেন বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করতেছে তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। যেভাবে উত্থান হয়, সেভাবে মানুষের পতনও হয়। আমরা চাই সংস্কার কার্যক্রম সমাপ্ত করার কাজটি জাতীয় পার্টিকে সাথে নিয়েই করবেন।’

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই ঘোষণাপত্রে থাকছে কী, সাংবিধানিক ভিত্তি নিয়ে মতবিরোধ কেটেছে?

হাসনাত ও সারজিসকে রংপুরে ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা জাপা নেতার

আপডেট সময় ০১:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনো প্রোগ্রাম রংপুরের মাটিতে হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এ সময় তাদেরকে ‘টোকাই’ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রংপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির যৌথকর্মী সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন তিনি।

জাপা কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘রংপুরে যা করতে চান তা জাতীয় পার্টির অংশ গ্রহণ ছাড়া আমরা ঘটাতে দিব না। জাতীয় পার্টিকে বাদ রেখে কোনো আলোচনা নয়। রংপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই, রংপুরে কোনো রাজনৈতিক সংলাপে জাতীয় পার্টিকে যদি ডাকা না হয়, সম্মান দেয়া না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি নিজেই সেটা অধিকার আদায় করে নিবে। জাতীয় পার্টিকে সেই সংলাপে ডাকা না হলে তা করতে দেয়া হবে না। রংপুরে জাতীয় পার্টি বৃহৎ দল। এখানে আমাদের ছাড়া কোনো আলোচনা ফলপ্রসু হবে না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মোস্তফা বলেন, ‘এজন্য প্রস্তুত থাকবেন। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম রংপুরে আসতে পারবে না। যদি ফেসবুকে ম্যাসেজ দেখেন। সাথে সাথে যার কাছে যা কিছু আছে, তা নিয়ে রংপুরে এই পার্টি অফিসে চলে আসবেন। আমরা দেখায় দিতে চাই। রংপুরে জাতীয় পার্টির শক্তিকতটুকু। সেই আন্দোলন পুলিশ ঠেকাবে, না বিজিবি ঠেকাবে, না র‌্যাব ঠেকাবে, সেটাকে সুপারচিট (অতিক্রম) করে ওই তাদেরকে যদি আমরা নস্যাত করতে না পারি, তাহলে জাতীয় পার্টিতে নাক ক্ষত দিয়ে চলে যাব। কোনোদিন আর জাতীয় পার্টি করব না। আমাদের ঘোষণা সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনো প্রোগ্রাম রংপুরের মাটিতে হতে দেয়া হবে না। যা হয়, তাই হবে ইনশাআল্লাহ।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে মোস্তফা বলেন, ‘ড. ইউনূসকে বলতে চাই, আপনি একজন বিজ্ঞ মানুষ। একজন বরেণ্য মানুষ। বাংলাদেশের অনেক সম্মান বয়ে এনেছেন। কিন্তু কয়েকটা ছাত্রের কথা শুনে আপনি যদি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তাহলে আপনি ভুল করবেন। এখনো কিন্তু আপনি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নাই। সারাদেশের মানুষের মধ্যে হাহাকার। পুলিশ বাহিনী কাজ করতেছে না। আপনি স্বপ্ন দেখতেছেন একটা সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করবেন। সেই বাংলাদেশ গড়তে গেলে আপনাকে গঠনমুলক চিন্তাভাবনা করতে হবে। আজকে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর মতো দুইটা টোকাইকে যদি মনে করেন বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করতেছে তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। যেভাবে উত্থান হয়, সেভাবে মানুষের পতনও হয়। আমরা চাই সংস্কার কার্যক্রম সমাপ্ত করার কাজটি জাতীয় পার্টিকে সাথে নিয়েই করবেন।’