ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ৩০ জন পেলেন ৩০ লাখ টাকা

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ৩০ জন পেলেন ৩০ লাখ টাকা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহত রোগীদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়া। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ও পুরাতন বার্ণ ইউনিটে ভর্তি থাকা মোট ৩০ জন রোগীকে ৩০ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রতি রোগীকে চেক মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এই পর্যন্ত ১ কোটি ৭১ লক্ষ ৪২ হাজার প্লাস টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টারা।

রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়া নাহিদ ইসলাম উপস্থিত হন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রতি রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি শহিদ পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও সকল আহত ব্যক্তিদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এটি শেষ নয়, এই সাহায্য চলমান থাকবে বিভিন্নভাবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জনকে ৩০ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট সর্বমোট ৩৩ জন রোগিকে ৩৩ লক্ষ প্লাস ও এবং পঙ্গু হাসপাতালে আহত ৫৯ রোগীদের জন্য ৫৯ লক্ষ ৪১ হাজার প্লাস দেওয়া হয়েছে। এই টাকাটা তাদের বিকাশের মাধ্যমে চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এই পর্যন্ত আমরা আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহত ও শহিদ পরিবারকে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৫০ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত ১৭৬ জন পরিবারকে এই আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে যেটা চলমান থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিকেলে অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছে, অনেকেই চিকিৎসাধীন আছে। তাদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। আমরা তাদের ডকুমেন্ট রাখতে বলছি। সেই খরচের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। ঢাকা মেডিকেলে সরকারিভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা অনেক সময় ধরে হাসপাতালে আছেন তাদের মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। তাদের পরিবার পরিজন কিভাবে চলবে এই বিষয় নিয়ে দুঃশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি, তাদের সান্তনা দিয়েছি। সাধারণ মানুষ সরকার তাদের সাথে সব সময় আছে এবিষয়টি তাদের আশ্বস্ত করেছি। তাদের জন্য একটা ফাউন্ডেশন ও ডাটাবেজ তৈরি করেছি।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেকেই শহীদ ও আহতদের তালিকা দলীয়ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এগুলো কাজ একেবারে অনুচিত। যারা শহীদ হয়েছে তারা দেশের বীরসন্তান। কোন ব্যানারে কোন গষ্ঠির নামে সংকুচিত করা উচিৎ না। যারা এই কাজটা করছে তাদের আমরা নিরুৎসাহিত করছি। এখানে বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নিয়েছে শহীদ হয়েছে। সেই আত্মত্যাগকে যথাযথ স্বীকৃতি দেই। কোন রাজনৈতিক স্বার্থে যেন তাদের ব্যবহার না করি এই অনুরোধ থাকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিল যুক্তরাজ্য

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ৩০ জন পেলেন ৩০ লাখ টাকা

আপডেট সময় ০৭:১১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহত রোগীদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়া। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ও পুরাতন বার্ণ ইউনিটে ভর্তি থাকা মোট ৩০ জন রোগীকে ৩০ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রতি রোগীকে চেক মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এই পর্যন্ত ১ কোটি ৭১ লক্ষ ৪২ হাজার প্লাস টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টারা।

রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দিতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়া নাহিদ ইসলাম উপস্থিত হন। হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রতি রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি শহিদ পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও সকল আহত ব্যক্তিদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এটি শেষ নয়, এই সাহায্য চলমান থাকবে বিভিন্নভাবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জনকে ৩০ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট সর্বমোট ৩৩ জন রোগিকে ৩৩ লক্ষ প্লাস ও এবং পঙ্গু হাসপাতালে আহত ৫৯ রোগীদের জন্য ৫৯ লক্ষ ৪১ হাজার প্লাস দেওয়া হয়েছে। এই টাকাটা তাদের বিকাশের মাধ্যমে চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এই পর্যন্ত আমরা আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহত ও শহিদ পরিবারকে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৫০ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত ১৭৬ জন পরিবারকে এই আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে যেটা চলমান থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিকেলে অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছে, অনেকেই চিকিৎসাধীন আছে। তাদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। আমরা তাদের ডকুমেন্ট রাখতে বলছি। সেই খরচের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। ঢাকা মেডিকেলে সরকারিভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা অনেক সময় ধরে হাসপাতালে আছেন তাদের মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। তাদের পরিবার পরিজন কিভাবে চলবে এই বিষয় নিয়ে দুঃশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি, তাদের সান্তনা দিয়েছি। সাধারণ মানুষ সরকার তাদের সাথে সব সময় আছে এবিষয়টি তাদের আশ্বস্ত করেছি। তাদের জন্য একটা ফাউন্ডেশন ও ডাটাবেজ তৈরি করেছি।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেকেই শহীদ ও আহতদের তালিকা দলীয়ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এগুলো কাজ একেবারে অনুচিত। যারা শহীদ হয়েছে তারা দেশের বীরসন্তান। কোন ব্যানারে কোন গষ্ঠির নামে সংকুচিত করা উচিৎ না। যারা এই কাজটা করছে তাদের আমরা নিরুৎসাহিত করছি। এখানে বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নিয়েছে শহীদ হয়েছে। সেই আত্মত্যাগকে যথাযথ স্বীকৃতি দেই। কোন রাজনৈতিক স্বার্থে যেন তাদের ব্যবহার না করি এই অনুরোধ থাকবে।