ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন, সেদিন অবিস্মরণীয় ইতিহাস তৈরি হবে Logo রাকসু নির্বাচন: সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট নামে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা Logo ‘রাজবাড়ীতে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় আ. লীগের দুই কর্মী সহ ৭ জন গ্রেপ্তার’ Logo জাকসুতে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা Logo ডাকসু: বিপিএর জরিপে আবিদ ৪৬ শতাংশ ভোট, সাদিক ৯ শতাংশ ভোট Logo সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা Logo আদালতের সামনে মাহমুদুর রহমানের মাথা ফাটিয়েছে, তখন গণমাধ্যম মব বলেনি Logo শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা ফ্যাসিবাদী কায়দা: সাদিক কায়েম Logo সরকারের ব্যর্থতা জোরে ঘোষণা হয়, সফলতা প্রচার হয় না Logo লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৪ শতাধিক

আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটাই আমাদের বড় পরিচয়

আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটাই আমাদের বড় পরিচয়

শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘এই উৎসব প্রতিটি ঘর সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও শান্তিতে ভরে তুলুক; সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও সংহতি প্রসারিত করুক। এ দেশে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি–এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। শনিবার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তারেক রহমান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমঅধিকার ও সুরক্ষার সমান সুযোগের অলঙ্ঘনীয় বিধান থাকতে হবে। আমাদের দেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে জনগোষ্ঠীর সব সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা সবাই মিলে এমন একটি যৌথ সম্প্রদায় গঠন করি, যেখানে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসব প্রাঙ্গণের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানবকল্যাণ। এক বর্বর হিংসাযুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।

তারেক রহমান বলেন, ‘দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন–তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসবের পরিসর সংকীর্ণ নয়, বরং এটি উন্মুক্ত ও সর্বজনীন।’

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন, সেদিন অবিস্মরণীয় ইতিহাস তৈরি হবে

আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটাই আমাদের বড় পরিচয়

আপডেট সময় ১০:৩১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘এই উৎসব প্রতিটি ঘর সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও শান্তিতে ভরে তুলুক; সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও সংহতি প্রসারিত করুক। এ দেশে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি–এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। শনিবার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তারেক রহমান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমঅধিকার ও সুরক্ষার সমান সুযোগের অলঙ্ঘনীয় বিধান থাকতে হবে। আমাদের দেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে জনগোষ্ঠীর সব সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা সবাই মিলে এমন একটি যৌথ সম্প্রদায় গঠন করি, যেখানে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসব প্রাঙ্গণের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানবকল্যাণ। এক বর্বর হিংসাযুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।

তারেক রহমান বলেন, ‘দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন–তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসবের পরিসর সংকীর্ণ নয়, বরং এটি উন্মুক্ত ও সর্বজনীন।’