আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর
মানবজমিন:
নিত্যপণ্যে নাভিশ্বাস দাম কমবে কবে?
চাল, তেল, চিনি, ডিম, আলু, মাংস, সবজিসহ নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে চাপে পড়েছেন স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে স্বস্তি দেয়ার উপায় হিসেবে কয়েকটি পণ্যের শুল্ক ছাড় দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় এক মাস পর গত ৫ই সেপ্টেম্বর প্রথমে আলু ও পিয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পণ্য দু’টির শুল্ক ছাড় দেয় সরকার। আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে পিয়াজের ওপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়। অথচ সেপ্টেম্বরে এসব পণ্যের দাম না কমে উল্টো আরও বেড়ে যায়। ৫ই সেপ্টেম্বরের আগে বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১২০ টাকা। শুল্ক কমানোর পর পিয়াজের দাম হয় ১১০ থেকে ১২০ টাকা। অন্যদিকে শুল্ক ছাড়ের পর আলুর দামও কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। ফলে সরকার শুল্ক কমালেও তার সুফল ভোক্তার ভাগ্যে না জুটলেও ব্যবসায়ীরা তার সুফল তুলে নিয়েছে।
প্রথম আলো:
চার হাজার কোটি টাকার গম কেনায় দুর্নীতি
সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নিম্নমানের গম আমদানির সিদ্ধান্ত হয়।
রাশিয়া থেকে বেশি দরে কেনা হয় ১১ লাখ টন নিম্নমানের গম। সাবেক মন্ত্রীর পছন্দের ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা।গত দুই বছরে চার হাজার কোটি টাকার গম রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে, যার সবই নিম্নমানের এবং দামও বাজারমূল্য থেকে বেশি। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে ২০২২ সাল থেকে এই ১১ লাখ টন গম আমদানি করা হয়।
সাধন চন্দ্রের আগে খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন কামরুল ইসলাম। ২০১৫ সালে কামরুল ইসলামের সময় ব্রাজিল থেকে পোকা খাওয়া ও নিম্নমানের গম আমদানি হয়েছিল। এ নিয়ে অনেক সমালোচনার পর সরকার ওই বছর গমের প্রোটিনের সর্বনিম্ন মান বা বিনির্দেশ সাড়ে ১১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ করে। কিন্তু সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালে আবারও ওই বিনির্দেশ কমিয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ করা হয়। অর্থাৎ নিম্নমানের গম আমদানির সুবিধা করে দেওয়া হয়। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ীর স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ আছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, প্রোটিনের পরিমাণ সাড়ে ১১ শতাংশ হলে গমে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। এতে গমের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য ক্ষতিকর জীবাণু বাড়তে থাকে। এ ধরনের গম গুদামে রাখার পর তা এক বছরের মধ্যে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। এই গমের আটা খেলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, ক্যানসারসহ নানা ধরনের রোগ হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সংগ্রহ শাখার ২০২২ সালের ২০ মার্চের স্মারকপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মতামতের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে আমদানি করা গমে প্রোটিনের মাত্রা ১২ দশমিক ৫ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়। তখন এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিলেন দেশের পুষ্টিবিদেরা।
এর আগে ২০১৫ সাল থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয় ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ গম আমদানি করছিল। পরে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ঘনিষ্ঠজনদের সুবিধা দিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিন:
আসছে বিএনপির প্রস্তাব
রাষ্ট্র মেরামতে নতুন করে সংস্কার প্রস্তাব দেবে বিএনপি। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করা হয়েছিল দলটির পক্ষ থেকে। সেগুলো নিয়ে এখন তৃণমূল ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে মতবিনিময় করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রস্তাব সারা দেশে প্রচার করা হবে। লিফলেট, বুকলেটসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরা হবে। এ জন্য চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তারেক রহমান বিশ্বাস করেন এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। সুতরাং জনগণের অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতেই আগামী দিনে বিএনপি সব কার্যক্রম গ্রহণ করবে। দলীয় সূত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় প্রতিদিনই মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। এ কর্মসূচির আওতায় জনগণকে কীভাবে আরও সম্পৃক্ত করা যায়- সেসব বিষয় নিয়ে তিনি দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এই প্রস্তাবের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো- প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, বাকস্বাধীনতা, শিক্ষাব্যবস্থা, শিল্পকে শ্রমঘন করা, রাজনৈতিক সংঘাত চিরতরে বন্ধ করা।
কালের কন্ঠ:
সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, কিন্তু বাজারে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে একেকটি নিত্যপণ্যের দাম। রীতিমতো দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা যেন! ভোক্তার পকেট কাটতে বিক্রেতাদের দাম বাড়ানোর এই নৈরাজ্য অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। বলতে গেলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে দিশাহারা। আলু, বেগুন, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাসহ প্রায় সব ধরনের সবজিই অস্বাভাবিক দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমও চলে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তথ্য-উপাত্ত বলছে, কোনো কোনো পণ্যের দাম মাসের ব্যবধানে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সাধারণ মানুষ না পারছে বলতে, না পারছে সইতে—এমন এক অবস্থা। ত্যক্ত-বিরক্ত ভোক্তা রাগে-ক্ষোভে বিক্রেতাকে দু-এক কথা শুনিয়ে দিলেও দামের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেই বাড়ি ফিরছে।
নয়াদিগন্ত:
শুরুতেই হাসিনাসহ মূল অভিযুক্তদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন
পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে বলে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, আগামী এক মাসের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ শেষ হবে। তবে বিচারক নিয়োগের সাথে সাথে বিদ্যমান ভবনে মামলার কার্যক্রম শুরু হবে। শুরুতেই মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে বলে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন।
এ দিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল (বিচারক নিয়োগ) পুনর্গঠন এবং মাসখানেকের মধ্যে বিচার কাজ শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সাথে বুধবার বিকেলে সাক্ষাৎ শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমরা আশা করি ফুল স্কেলে বিচারকাজ হয়তো মাসখানেকের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্ভবত ট্রাইব্যুনাল (বিচারক নিয়োগ) পুনর্গঠন হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, আমরা (আইন মন্ত্রণালয়) যখন ট্রাইব্যুালের জন্য জাজ চাইতাম তখন সুপ্রিম কোর্ট থেকে বলা হতো যে, জাজের অনেক সঙ্কট রয়েছে। এখন আশা করি সে সঙ্কটটা অনেকটা দূর হয়েছে। অনেকজন নতুন জাজ (হাইকোর্টে ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি) নিয়োগ হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে এখন বিচারক নিয়োগ হয়ে গেলে কাজটার একটা ধাপ শুরু হবে। যদিও ট্রাইব্যুনালের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের যে প্রসিকিউশন টিম আছে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এ ছাড়া আগামী মঙ্গলবার আইন উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করবেন বলে প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে। এর আগে ৮ অক্টোবর আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শরিক নেতাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আন্দোলনের সময় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের জন্য ভিক্টিমের পরিবারের পক্ষে দুই শতাধিক মামলা করা হয়েছে। এসব মামলাও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করার মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হবে। অর্থাৎ এসব মামলার বিচার কার্যক্রমও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হতে পারে। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সংগঠিত অন্তত ১৫টি গুমের অভিযোগ তদন্ত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
যুগান্তর:
চেয়ার টেকাতে মন্ত্রীদের উপঢৌকন দিতেন প্লট
রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০০৯ সালে নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালামকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এ পদে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর ছিলেন তিনি। আর চেয়ার টিকিয়ে রাখতে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ-সদস্য ও দলীয় নেতাদের উপঢৌকন দিয়েছিলেন কোটি কোটি টাকা মূল্যের প্লট। এছাড়াও নিজের আত্মীয়স্বজন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামেও প্লট বাগিয়ে নেন তিনি। তার মেয়াদে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া নানা প্রকল্প থেকে কমিশন আদায়ের বিষয়টিও ছিল ওপেন সিক্রেট। বিশেষ করে হাজার কোটি টাকার ফ্লাইওভার প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানা প্রশ্ন ওঠে। চউক চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিদায়ের পর তার বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও কোনো কিছুই তাকে আটকাতে পারেনি। চেয়ারম্যান থাকাকালে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায়ও পার পেয়ে যান তিনি। টাকার জোরে এবং ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সংসদ-সদস্য ‘নির্বাচিত’ হন। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে লাপাত্তা এই ক্ষমতাধর ছালাম।
বনিক বার্তা:
৫০ হাজার কিলোমিটার জরিপ হলেও কূপ খননের অবহেলায় গ্যাসের মজুদ বাড়েনি
আওয়ামী লীগ সরকারের গত দেড় দশকের শাসনামলে দেশের স্থলভাগ ও সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে জরিপ চালানো হয় প্রায় ৫০ হাজার লাইন কিলোমিটার (জরিপের অধীন এলাকার দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক) এলাকায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত দেড় দশকের শাসনামলে দেশের স্থলভাগ ও সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে জরিপ চালানো হয় প্রায় ৫০ হাজার লাইন কিলোমিটার (জরিপের অধীন এলাকার দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক) এলাকায়। স্থানীয় গ্যাসের মজুদ খুঁজে বের করতে এ অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে টুডি, থ্রিডি ও মাল্টিক্লায়েন্ট জরিপের মাধ্যমে। তবে এ জরিপ কার্যক্রম দেশে গ্যাসের নতুন মজুদ বৃদ্ধিতে খুব সামান্যই ভূমিকা রাখতে পেরেছে। জরিপ চালানো হলেও গ্যাসের উত্তোলন বাড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস কূপ খনন করা হয়নি। দেশের মূল ভূখণ্ডের বাইরে ভোলা ছাড়া আর কোথাও গ্যাসের বড় কোনো মজুদ পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি বিভাগের এক হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশে গ্যাস ক্ষেত্র ছিল ২৩টি। বর্তমানে তা ২৯টিতে উন্নীত হয়েছে। গত দেড় দশকে নতুন যে ছয়টি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে, সেখানে গ্যাসের বড় কোনো মজুদ পাওয়া যায়নি। নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে নোয়াখালীর সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ও নিশ্চিতকৃত মজুদ (টুপি-প্রুভেন অ্যান্ড প্রবাবল রিজার্ভ) ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। এছাড়া কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ডে মজুদ পাওয়া যায় ১৬১ বিসিএফ, রূপগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডে ৩৩ বিসিএফ, সিলেটের জকিগঞ্জে সামান্য কিছু গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায়। এর বাইরে স্থলভাগের মূল ভূখণ্ডে ভোলা জেলায় ভোলা নর্থ ও ইলিশায় অন্তত ৮০০ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। কিন্তু ভোলার এ গ্যাস এখন কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। পাইপলাইন না থাকায় তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাচ্ছে না।
কালবেলা:
সবদিকে এগিয়ে থাকতে চাইছে জামায়াত
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বসে নেই দীর্ঘদিন কোণঠাসায় থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রাজনৈতিক, সামাজিক, কূটনৈতিক ও সাংগঠনিকসহ চতুর্মুখী তৎপরতায় ব্যস্ত সময় পার করছে দলটি। নানারকম কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সবদিকে এগিয়ে থাকতে চায় জামায়াত। দেড় দশকের বেশি সময় ব্যাকফুটে থাকা জামায়াত তাদের বহুমুখী কর্মকাণ্ড বহুগুণে বাড়িয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছেন দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন এবং রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে ১০ দফা প্রস্তাবনা ঘোষণা করেছে জামায়াত। যেখানে দেশের নির্বাচন, আইন, বিচার, সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে কূটনৈতিক যোগাযোগ। দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, তারা দেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে অগ্রসর হতে চান।
এদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর প্রথমবারের মতো দলীয় ব্যানারে রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী ২৮ অক্টোবর, সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ জনসভা করবে দলটি। জামায়াতের একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, মূলত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর চারদলীয় জোট সরকারের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্ধারিত দিন ছিল। সেদিন জামায়াতে ইসলামী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের আয়োজন করে। জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে। লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে। জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মারা যান। দিনটিকে স্মরণে রাখতেই ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে জামায়াত।
এ ছাড়া রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন প্রভাবশালী ও উন্নত রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সাংগঠনিক কাজের অংশ হিসেবে জাপান সফর করছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার। বরাবরই কোণঠাসা রাখার মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে জামায়াতে ইসলামীকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করেছিল বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার। এখন শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুনভাবে সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী জামায়াতে ইসলামী। তারই ধারাবাহিকতায় গত দুই মাসে চায়না, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটি। তার মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না এবং দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
দেশরুপান্তর:
আইনজীবীরা কেন আত্মগোপনে
ল’ইয়ার, উকিল, ব্যারিস্টার, অ্যাডভোকেট নানাভাবে আখ্যায়িত আইনজীবীরা। পৃথিবীতে এ পেশার লোকদের শ্রদ্ধার সঙ্গে লার্নেড বা বিজ্ঞ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সংবিধান, আইন, আদালত ও মানবাধিকারের মতো উচ্চ ধারণা এবং জটিল বিষয় নিয়ে কাজ করেন বলে তাদের দিকে সব শ্রেণির মানুষের দৃষ্টি থাকে। বিচারাকাক্সক্ষীদের পক্ষে তারা আইনি লড়াই চালান। তবে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পাল্টে যায় পরিস্থিতি। কোণঠাসা হয়ে পড়েন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। একসময়ের দাপুটে আইনজীবীর অনেকেই এখন আত্মগোপনে। কেউ কেউ এখন আসামির কাঠগড়ায়। কেউ আছেন কারাগার ও রিমান্ডে। জানা গেছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামীপন্থি শীর্ষ আইনজীবীদের প্রায় কেউই আদালতমুখী হচ্ছেন না।