ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ সিটির টাকা ‘তাপসের ব্যাংকে’

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • 41

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

প্রধম আলো:

দক্ষিণ সিটির টাকা ‘তাপসের ব্যাংকে’
আমানত ও প্রকল্পের অর্থ

মেয়র হয়ে নিজের মালিকানা থাকা ব্যাংককে সুবিধা দেওয়া শুরু করেন তাপস। এখন জমা ৯৬৬ কোটি টাকা।ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস করপোরেশনের স্থায়ী আমানতের বড় অংশ নিজের ব্যাংক মধুমতিতে জমা রেখেছেন। সিটি করপোরেশনের আর্থিক লেনদেনও অন্য ব্যাংক থেকে সরিয়ে মধুমতিতে নিয়েছেন।

ফজলে নূর তাপস ২০২০ সালে মেয়র হন। এরপর তিনি সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয় বাড়ানোর দিকে নজর দেন। আয় বাড়লেও উন্নয়নমূলক কাজে তাঁর জোর ছিল না; বরং সিটি করপোরেশনের টাকা নিজের ব্যাংকে রাখতে মনোযোগী ছিলেন তিনি।

শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র থাকাকালে নগর ভবন ও দক্ষিণ সিটির আঞ্চলিক কার্যালয়ে বসানো হয়েছে মধুমতি ব্যাংকের ছয়টি বুথও; যেখানে মানুষ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সেবার বিপরীতে টাকা জমা দিতে পারে। অন্য ব্যাংককে এই সুযোগ দেওয়া হয়নি।২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া মধুমতি ব্যাংকের উদ্যোক্তা মূলত শেখ ফজলে নূর তাপস। তখন এটি ‘তাপসের ব্যাংক’ নামে পরিচিতি পায়। এখনো তিনি ব্যাংকটির পরিচালক।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদের স্থায়ী আমানত ছিল ১ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৪৩ কোটি টাকা রাখা আছে মধুমতি ব্যাংকে, যা মোট অর্থের ৪৬ শতাংশ। বাকিটা রয়েছে জনতা ও প্রিমিয়ার ব্যাংকে।

সিটি করপোরেশনের টাকা মূলত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে রাখা হতো। ২০১৮ সালে সরকার নিয়ম বদলে সরকারি সংস্থার টাকা বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সুযোগ দেয়। মেয়র হয়ে তাপস করপোরেশনের টাকা মধুমতি ব্যাংকে রাখা শুরু করেন।
স্থায়ী আমানতের বাইরে দক্ষিণ সিটির চলমান সাতটি প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটির টাকাই মধুমতি ব্যাংকে রাখা আছে। পরিমাণ ৪২৩ কোটি টাকা, যা সাত প্রকল্পের মোট টাকার ৭৬ শতাংশ। প্রকল্পের বাকি টাকা রাখা আছে সোনালী ও জনতা ব্যাংকে। স্থায়ী আমানত ও প্রকল্পের টাকা মিলিয়ে মধুমতি ব্যাংকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৬৬ কোটি টাকা রয়েছে।

করপোরেশনের টাকা নিজের ব্যাংকে রাখতে বাধ্য করাকে স্বার্থের সংঘাত বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বলে মনে করেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপস শপথের বরখেলাপ করে তাঁর মালিকানাধীন ব্যাংকে অর্থ লগ্নি করেছেন। এটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব। কাজটি অনৈতিক হয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি অঙ্গীকারের বরখেলাপ করেছেন।

দেশরুপান্তর:

বাংলাদেশের সম্পদে সিঙ্গাপুরে সাম্রাজ্য
দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও টেলিকম খাতে একক আধিপত্য সামিট গ্রুপের। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এসব খাতে ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিযোগিতা ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প আর সরকারি নানা সুবিধা পেয়ে গত দেড় দশকে সামিট গ্রুপের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে।বিদ্যুৎ-জ্বালানির ওপর ভর করে একসময়ের জুতা, চিটাগুড় ব্যবসায়ী দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। তিনি এক যুগের বেশি সময় সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। সেজন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এ কোম্পানির সম্পদের হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে।

তবে সামিট বরাবরই বলে আসছে যে তারা কোনো সরকারি সুবিধা নেয়নি। যোগ্যতা দিয়েই তারা ব্যবসা করছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

মাঠ গোছাচ্ছে জামায়াত
৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকলেও নির্বাচনি মাঠ গোছাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিগত ১৫ বছর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের চরম নির্যাতনের শিকার জামায়াত ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে তারা আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। পাশাপাশি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একটি জোট গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দলের রুকন সম্মেলনে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

কালের কন্ঠ:

লক্ষ কোটি টাকা পাচারে মেঘনা গ্রুপ
সামান্য লবণ বিক্রেতা থেকে দেশের অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা মেঘনা গ্রুপের মালিক মোস্তফা কামাল। পরিশ্রম করেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন। তাঁর সাফল্য আর তরতর করে ওপরে উঠে যাওয়ার গল্প রূপকথাকেও হার মানায়। এটি হচ্ছে মোস্তফা কামালের মুদ্রার এপিঠ।
তবে অন্য পিঠে টাকা পাচার, শুল্ক ফাঁকি, কারসাজি, জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মের সহস্র উদাহরণ। সততার ভাবমূর্তি তৈরি করে ভালো উদ্যোক্তার আড়ালে দুর্নীতি আর অনিয়মকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন এই শিল্পপতি। খোদ সরকারি দপ্তরের তথ্য-উপাত্তই বলছে, ৭০টি শিল্পের মহীরুহের মালিক মোস্তফা কামালের টাকার কুমির হওয়ার নেপথ্যে আসলে অবৈধ আয়। টাকার অঙ্ক শুনলে যে কারো মাথা ঘুরে যাওয়ার কথা! বলা হচ্ছে, গত ২০ বছরে তিনি অন্তত এক লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন, যার মধ্যে অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকাই আন্ডার ইনভয়েসিং।আর হাজার হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর ও ভ্যাট ফাঁকি তো রয়েছেই। টাকা পাচারের বিষয়টি উচ্চতর তদন্তের জন্য একটি অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদকে। একটি গোয়েন্দা সংস্থা, দুদক ও এনবিআরের তৈরি নথিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মেঘনা গ্রুপের অনিয়ম ও জালিয়াতির বিস্তারিত তুলে ধরে তৈরি গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি এনবিআরকে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

নয়াদিগন্ত:-

ইসরাইলে-হামলার-ছক-প্রস্তুত-ইরানের

ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতে রকেট হামলা হিজবুল্লাহর
– হিজবুল্লাহর সামরিক ক্ষমতা অক্ষত
– কুদস ফোর্সের সেই কমান্ডার ভালো আছেন
ইসরাইলে সম্ভাব্য হামলার জন্য ইতোমধ্যে অন্তত ১০টি পরিকল্পনা প্রস্তুত রেখেছে ইরান। দেশটির সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি।
লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযানের প্রতিবাদে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ১৮০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ব্যাপক এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর গত ৫ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইরানে হামলার ঘোষণা দেন। তবে কবে নাগাদ এই হামলা চালানো হতে পারে, সে সম্পর্কিত কোনো সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণা করেননি তিনি।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইআরজিসির এক কর্মকর্তা তাসনিম নিউজকে বলেন, ‘তিনি এ কথা বলতেই পারেন; তবে যদি ইসরাইল ইরানের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা করে, কিংবা ইরানের ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করে, সে ক্ষেত্রে সেই হামলার কঠোর জবাব দেয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে। আর ইসরাইলে হামলা চালানো সংক্রান্ত অন্তত ১০ পরিকল্পনা আইআরজিসি হাতে রয়েছে। এই ১০টি পরিকল্পনার কয়েকটি যদি আইআরজিসি বাস্তবায়ন শুরু করে, তা হলে ইসরাইল অভূতপূর্ব সঙ্কটে পড়বে।’

যুগান্তর:

টাকা ছাপিয়ে ঋণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছর
বেপরোয়া গতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ঋণ নিয়ে অধিকাংশ সময়ে দেশ পরিচালনা করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে যে কোনো সরকারের চেয়ে আওয়ামী লীগ সরকারই অতিমাত্রায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর ঋণের জন্য নির্ভরশীল ছিল। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ১৫ বছরে ক্ষমতাচ্যুত সরকার ১ লাখ ৩২ হাজার ২২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।

উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এসব ছাপানো টাকাও লুটপাট করার অভিযোগ আছে। এতে বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়েছে। এর বিপরীতে উৎপাদন বাড়েনি। ফলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে, যা বিশেষ করে স্বল্প-আয়ের মানুষকে নিষ্পেষিত করেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে ভঙ্গুর করে তুলেছে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকে দলটি টানা ১৫ বছর ৭ মাস ক্ষমতায় ছিল। ওই সময়ে সরকার নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ব্যাংক লুটের মাধ্যমে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছে। সরকারের মন্ত্রী, সংসদ-সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ লোকজন টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করেছে। এর মধ্যে ব্যাংকে থাকা জনগণের আমানত যেমন রয়েছে, তেমনই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় নেওয়া ঋণও রয়েছে।

মানবজমিন:

সরকারি খাতেই ৫ লাখ চাকরির সুযোগ
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলনের শুরুটা ছিল সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের। তারা মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের জেরে সরকারের পতন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সমর্থনেই নতুন সরকার গঠন হয়েছে। কিন্তু তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরির বিষয়ে স্থবিরতা কাটেনি এখনো। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এই মুহূর্তে। এই পদ পূরণ হলে চাকরি প্রত্যাশীদের বড় অংশের কর্মসংস্থান হতে পারে। এই পদ পূরণে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি কমিশন করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি পদ খালি। বিপুল পরিমাণ এই শূন্যপদ থাকলেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না চাকরি পরীক্ষা। আবার আগে অনুষ্ঠিত হওয়া চাকরি পরীক্ষাও সম্পন্ন হচ্ছে না।

বনিক বার্তা:

ময়মনসিংহে বন্যার অবনতি নতুন করে প্লাবিত ৫০ গ্রাম শেরপুরে উন্নতি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এসব অঞ্চলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরো ৫০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ। তবে শেরপুরের বন্যাকবলিত পাঁচ উপজেলা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। যদিও এখনো পানিবন্দি রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। দুর্গত এলাকাগুলোয় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট। রোববার রাতে নকলায় পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শেরপুরে বন্যায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে এখনো অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে সেখানে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ভোগাই নদের আশপাশের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। বর্তমানে নেত্রকোনার সোমেশ্বরী নদী কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জামালপুরের জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। জিঞ্জিরাম ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। তবে ভোগাই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কমছে এবং কংস নদের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী তিনদিন ময়মনসিংহ বিভাগ ও উজানে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে এ সময়ে ভোগাই নদের পানি কমতে পারে এবং শেরপুর ও ময়মনসিংহের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

সমকাল:

সাবের চৌধুরীর জামিন নিয়ে কৌতূহল
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর মুক্তি নিয়ে জনমনে নানা কৌতূহল দেখা দিয়েছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের যে মন্ত্রী-এমপিরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের মধ্যে একমাত্র সাবের চৌধুরীই জামিন পেলেন। তাঁকে দ্রুত জামিন ও মুক্তি দেওয়ার ঘটনাটিও বিরল। হত্যা মামলায় রিমান্ডে পাঠানোর পরদিনই ছয় মামলায় জামিন দিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে হাজতখানা থেকে সাবেরকে মুক্তি দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাবেরের জামিন আদেশের পর আদালত কক্ষেই বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তাদের কাউকে কাউকে বিচারকের উদ্দেশে গালমন্দ করতেও দেখা গেছে।সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না অবশ্য এ ঘটনায় আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি সমকালকে বলেন, এটি খুবই ভালো লক্ষণ। অপরাধ যা-ই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্যগত কারণে যে কেউ জামিন পেতে পারেন, যেটা আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন। আরও যারা কারাগারে রয়েছেন, তারাও জামিন পাবেন–এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কালবেলা:

বিদ্যুতের খোরশেদনামা
বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের মাফিয়া। ২০০৯ সাল থেকে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপে যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে, তার নিয়ন্ত্রণ করেছেন একক হাতে। ৭২ বছর বয়সেও একই সঙ্গে পালন করেছেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ। নিজের ইচ্ছামতো বেতন স্কেল তৈরি করে পকেট ভারী করেছেন। স্বজনদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে দিয়েছেন শত শত কোটি টাকার কাজ। নিজ এলাকা এবং বিভিন্ন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের স্বজনদের দিয়েছেন পরীক্ষা ছাড়াই উচ্চ বেতনে চাকরি। কেবল পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি ক্যান্টিন নির্মাণে খরচ দেখিয়েছেন ৩৫ কোটি টাকা। ভিভিআইপিদের মনোরঞ্জনের জন্য ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন বাংলো। অর্থ পাচারে আবিষ্কার করেছেন অভিনব পদ্ধতি। দেশি জনবলের বিপরীতে উচ্চ বেতন দেখিয়ে ডলারে পরিশোধ করতেন। তবে কর্মচারীরা পেতেন সামান্য টাকা। ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের প্রকৌশলীকে প্লান্টের ম্যানেজার পদে বসিয়ে সুগম করেছেন দুর্নীতির পথ। এমনকি বিতর্কিত সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর প্রতিষ্ঠান লাম এন্টারপ্রাইজের নামে দিয়েছেন শত শত কোটি টাকার কাজ। পায়রার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি করে নিয়ে আসতেন এই এমডি। পায়রার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পরিচিত দুর্নীতির বরপুত্র নামে। তাকে বলা হয় পায়রার সৌভাগ্যের পায়রা। আলোচিত এই কর্মকর্তার নাম এ এম খোরশেদুল আলম।

দক্ষিণ সিটির টাকা ‘তাপসের ব্যাংকে’

আপডেট সময় ০৭:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর

প্রধম আলো:

দক্ষিণ সিটির টাকা ‘তাপসের ব্যাংকে’
আমানত ও প্রকল্পের অর্থ

মেয়র হয়ে নিজের মালিকানা থাকা ব্যাংককে সুবিধা দেওয়া শুরু করেন তাপস। এখন জমা ৯৬৬ কোটি টাকা।ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস করপোরেশনের স্থায়ী আমানতের বড় অংশ নিজের ব্যাংক মধুমতিতে জমা রেখেছেন। সিটি করপোরেশনের আর্থিক লেনদেনও অন্য ব্যাংক থেকে সরিয়ে মধুমতিতে নিয়েছেন।

ফজলে নূর তাপস ২০২০ সালে মেয়র হন। এরপর তিনি সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয় বাড়ানোর দিকে নজর দেন। আয় বাড়লেও উন্নয়নমূলক কাজে তাঁর জোর ছিল না; বরং সিটি করপোরেশনের টাকা নিজের ব্যাংকে রাখতে মনোযোগী ছিলেন তিনি।

শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র থাকাকালে নগর ভবন ও দক্ষিণ সিটির আঞ্চলিক কার্যালয়ে বসানো হয়েছে মধুমতি ব্যাংকের ছয়টি বুথও; যেখানে মানুষ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সেবার বিপরীতে টাকা জমা দিতে পারে। অন্য ব্যাংককে এই সুযোগ দেওয়া হয়নি।২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া মধুমতি ব্যাংকের উদ্যোক্তা মূলত শেখ ফজলে নূর তাপস। তখন এটি ‘তাপসের ব্যাংক’ নামে পরিচিতি পায়। এখনো তিনি ব্যাংকটির পরিচালক।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদের স্থায়ী আমানত ছিল ১ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৪৩ কোটি টাকা রাখা আছে মধুমতি ব্যাংকে, যা মোট অর্থের ৪৬ শতাংশ। বাকিটা রয়েছে জনতা ও প্রিমিয়ার ব্যাংকে।

সিটি করপোরেশনের টাকা মূলত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে রাখা হতো। ২০১৮ সালে সরকার নিয়ম বদলে সরকারি সংস্থার টাকা বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সুযোগ দেয়। মেয়র হয়ে তাপস করপোরেশনের টাকা মধুমতি ব্যাংকে রাখা শুরু করেন।
স্থায়ী আমানতের বাইরে দক্ষিণ সিটির চলমান সাতটি প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটির টাকাই মধুমতি ব্যাংকে রাখা আছে। পরিমাণ ৪২৩ কোটি টাকা, যা সাত প্রকল্পের মোট টাকার ৭৬ শতাংশ। প্রকল্পের বাকি টাকা রাখা আছে সোনালী ও জনতা ব্যাংকে। স্থায়ী আমানত ও প্রকল্পের টাকা মিলিয়ে মধুমতি ব্যাংকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৬৬ কোটি টাকা রয়েছে।

করপোরেশনের টাকা নিজের ব্যাংকে রাখতে বাধ্য করাকে স্বার্থের সংঘাত বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বলে মনে করেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপস শপথের বরখেলাপ করে তাঁর মালিকানাধীন ব্যাংকে অর্থ লগ্নি করেছেন। এটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব। কাজটি অনৈতিক হয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি অঙ্গীকারের বরখেলাপ করেছেন।

দেশরুপান্তর:

বাংলাদেশের সম্পদে সিঙ্গাপুরে সাম্রাজ্য
দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও টেলিকম খাতে একক আধিপত্য সামিট গ্রুপের। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এসব খাতে ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিযোগিতা ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প আর সরকারি নানা সুবিধা পেয়ে গত দেড় দশকে সামিট গ্রুপের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে।বিদ্যুৎ-জ্বালানির ওপর ভর করে একসময়ের জুতা, চিটাগুড় ব্যবসায়ী দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। তিনি এক যুগের বেশি সময় সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। সেজন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এ কোম্পানির সম্পদের হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে।

তবে সামিট বরাবরই বলে আসছে যে তারা কোনো সরকারি সুবিধা নেয়নি। যোগ্যতা দিয়েই তারা ব্যবসা করছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

মাঠ গোছাচ্ছে জামায়াত
৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকলেও নির্বাচনি মাঠ গোছাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিগত ১৫ বছর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের চরম নির্যাতনের শিকার জামায়াত ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে তারা আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। পাশাপাশি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একটি জোট গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দলের রুকন সম্মেলনে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

কালের কন্ঠ:

লক্ষ কোটি টাকা পাচারে মেঘনা গ্রুপ
সামান্য লবণ বিক্রেতা থেকে দেশের অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা মেঘনা গ্রুপের মালিক মোস্তফা কামাল। পরিশ্রম করেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন। তাঁর সাফল্য আর তরতর করে ওপরে উঠে যাওয়ার গল্প রূপকথাকেও হার মানায়। এটি হচ্ছে মোস্তফা কামালের মুদ্রার এপিঠ।
তবে অন্য পিঠে টাকা পাচার, শুল্ক ফাঁকি, কারসাজি, জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মের সহস্র উদাহরণ। সততার ভাবমূর্তি তৈরি করে ভালো উদ্যোক্তার আড়ালে দুর্নীতি আর অনিয়মকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন এই শিল্পপতি। খোদ সরকারি দপ্তরের তথ্য-উপাত্তই বলছে, ৭০টি শিল্পের মহীরুহের মালিক মোস্তফা কামালের টাকার কুমির হওয়ার নেপথ্যে আসলে অবৈধ আয়। টাকার অঙ্ক শুনলে যে কারো মাথা ঘুরে যাওয়ার কথা! বলা হচ্ছে, গত ২০ বছরে তিনি অন্তত এক লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন, যার মধ্যে অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকাই আন্ডার ইনভয়েসিং।আর হাজার হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর ও ভ্যাট ফাঁকি তো রয়েছেই। টাকা পাচারের বিষয়টি উচ্চতর তদন্তের জন্য একটি অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদকে। একটি গোয়েন্দা সংস্থা, দুদক ও এনবিআরের তৈরি নথিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মেঘনা গ্রুপের অনিয়ম ও জালিয়াতির বিস্তারিত তুলে ধরে তৈরি গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি এনবিআরকে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

নয়াদিগন্ত:-

ইসরাইলে-হামলার-ছক-প্রস্তুত-ইরানের

ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতে রকেট হামলা হিজবুল্লাহর
– হিজবুল্লাহর সামরিক ক্ষমতা অক্ষত
– কুদস ফোর্সের সেই কমান্ডার ভালো আছেন
ইসরাইলে সম্ভাব্য হামলার জন্য ইতোমধ্যে অন্তত ১০টি পরিকল্পনা প্রস্তুত রেখেছে ইরান। দেশটির সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি।
লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযানের প্রতিবাদে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ১৮০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ব্যাপক এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর গত ৫ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইরানে হামলার ঘোষণা দেন। তবে কবে নাগাদ এই হামলা চালানো হতে পারে, সে সম্পর্কিত কোনো সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণা করেননি তিনি।
নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইআরজিসির এক কর্মকর্তা তাসনিম নিউজকে বলেন, ‘তিনি এ কথা বলতেই পারেন; তবে যদি ইসরাইল ইরানের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা করে, কিংবা ইরানের ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করে, সে ক্ষেত্রে সেই হামলার কঠোর জবাব দেয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে। আর ইসরাইলে হামলা চালানো সংক্রান্ত অন্তত ১০ পরিকল্পনা আইআরজিসি হাতে রয়েছে। এই ১০টি পরিকল্পনার কয়েকটি যদি আইআরজিসি বাস্তবায়ন শুরু করে, তা হলে ইসরাইল অভূতপূর্ব সঙ্কটে পড়বে।’

যুগান্তর:

টাকা ছাপিয়ে ঋণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছর
বেপরোয়া গতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ঋণ নিয়ে অধিকাংশ সময়ে দেশ পরিচালনা করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে যে কোনো সরকারের চেয়ে আওয়ামী লীগ সরকারই অতিমাত্রায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর ঋণের জন্য নির্ভরশীল ছিল। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ১৫ বছরে ক্ষমতাচ্যুত সরকার ১ লাখ ৩২ হাজার ২২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।

উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এসব ছাপানো টাকাও লুটপাট করার অভিযোগ আছে। এতে বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়েছে। এর বিপরীতে উৎপাদন বাড়েনি। ফলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে, যা বিশেষ করে স্বল্প-আয়ের মানুষকে নিষ্পেষিত করেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে ভঙ্গুর করে তুলেছে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকে দলটি টানা ১৫ বছর ৭ মাস ক্ষমতায় ছিল। ওই সময়ে সরকার নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ব্যাংক লুটের মাধ্যমে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছে। সরকারের মন্ত্রী, সংসদ-সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ লোকজন টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করেছে। এর মধ্যে ব্যাংকে থাকা জনগণের আমানত যেমন রয়েছে, তেমনই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় নেওয়া ঋণও রয়েছে।

মানবজমিন:

সরকারি খাতেই ৫ লাখ চাকরির সুযোগ
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলনের শুরুটা ছিল সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের। তারা মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের জেরে সরকারের পতন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সমর্থনেই নতুন সরকার গঠন হয়েছে। কিন্তু তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরির বিষয়ে স্থবিরতা কাটেনি এখনো। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এই মুহূর্তে। এই পদ পূরণ হলে চাকরি প্রত্যাশীদের বড় অংশের কর্মসংস্থান হতে পারে। এই পদ পূরণে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি কমিশন করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি পদ খালি। বিপুল পরিমাণ এই শূন্যপদ থাকলেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না চাকরি পরীক্ষা। আবার আগে অনুষ্ঠিত হওয়া চাকরি পরীক্ষাও সম্পন্ন হচ্ছে না।

বনিক বার্তা:

ময়মনসিংহে বন্যার অবনতি নতুন করে প্লাবিত ৫০ গ্রাম শেরপুরে উন্নতি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এসব অঞ্চলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরো ৫০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ। তবে শেরপুরের বন্যাকবলিত পাঁচ উপজেলা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। যদিও এখনো পানিবন্দি রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। দুর্গত এলাকাগুলোয় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট। রোববার রাতে নকলায় পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শেরপুরে বন্যায় আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে এখনো অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে সেখানে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ভোগাই নদের আশপাশের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। বর্তমানে নেত্রকোনার সোমেশ্বরী নদী কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জামালপুরের জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। জিঞ্জিরাম ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। তবে ভোগাই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কমছে এবং কংস নদের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী তিনদিন ময়মনসিংহ বিভাগ ও উজানে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে এ সময়ে ভোগাই নদের পানি কমতে পারে এবং শেরপুর ও ময়মনসিংহের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

সমকাল:

সাবের চৌধুরীর জামিন নিয়ে কৌতূহল
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর মুক্তি নিয়ে জনমনে নানা কৌতূহল দেখা দিয়েছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের যে মন্ত্রী-এমপিরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের মধ্যে একমাত্র সাবের চৌধুরীই জামিন পেলেন। তাঁকে দ্রুত জামিন ও মুক্তি দেওয়ার ঘটনাটিও বিরল। হত্যা মামলায় রিমান্ডে পাঠানোর পরদিনই ছয় মামলায় জামিন দিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে হাজতখানা থেকে সাবেরকে মুক্তি দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাবেরের জামিন আদেশের পর আদালত কক্ষেই বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তাদের কাউকে কাউকে বিচারকের উদ্দেশে গালমন্দ করতেও দেখা গেছে।সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না অবশ্য এ ঘটনায় আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি সমকালকে বলেন, এটি খুবই ভালো লক্ষণ। অপরাধ যা-ই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্যগত কারণে যে কেউ জামিন পেতে পারেন, যেটা আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন। আরও যারা কারাগারে রয়েছেন, তারাও জামিন পাবেন–এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কালবেলা:

বিদ্যুতের খোরশেদনামা
বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের মাফিয়া। ২০০৯ সাল থেকে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপে যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে, তার নিয়ন্ত্রণ করেছেন একক হাতে। ৭২ বছর বয়সেও একই সঙ্গে পালন করেছেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ। নিজের ইচ্ছামতো বেতন স্কেল তৈরি করে পকেট ভারী করেছেন। স্বজনদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে দিয়েছেন শত শত কোটি টাকার কাজ। নিজ এলাকা এবং বিভিন্ন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের স্বজনদের দিয়েছেন পরীক্ষা ছাড়াই উচ্চ বেতনে চাকরি। কেবল পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি ক্যান্টিন নির্মাণে খরচ দেখিয়েছেন ৩৫ কোটি টাকা। ভিভিআইপিদের মনোরঞ্জনের জন্য ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন বাংলো। অর্থ পাচারে আবিষ্কার করেছেন অভিনব পদ্ধতি। দেশি জনবলের বিপরীতে উচ্চ বেতন দেখিয়ে ডলারে পরিশোধ করতেন। তবে কর্মচারীরা পেতেন সামান্য টাকা। ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের প্রকৌশলীকে প্লান্টের ম্যানেজার পদে বসিয়ে সুগম করেছেন দুর্নীতির পথ। এমনকি বিতর্কিত সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর প্রতিষ্ঠান লাম এন্টারপ্রাইজের নামে দিয়েছেন শত শত কোটি টাকার কাজ। পায়রার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে অতিথি করে নিয়ে আসতেন এই এমডি। পায়রার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পরিচিত দুর্নীতির বরপুত্র নামে। তাকে বলা হয় পায়রার সৌভাগ্যের পায়রা। আলোচিত এই কর্মকর্তার নাম এ এম খোরশেদুল আলম।