ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল সার্বিয়া, পুলিশ-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ Logo চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ৫৪তম জশনে জুলুস Logo আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) Logo ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে কে এগিয়ে বেরিয়ে এলো Logo দেশে ৫ বিভাগে বৃষ্টির আভাস,কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা Logo আর কাউকে হাসিনার মতো একনায়ক হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না: সারজিস Logo সূর্যসেন হল থেকে নির্বাচিত হয়ে বিজয় একাত্তর হলের জন্য কাজ করতে চায় ছাত্রদল Logo সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১৬ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মৌলভীবাজারে দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভা Logo ইসলামি দলগুলো কখনো ভিন্ন ধর্মীদের নির্যাতন করে না-তাহের Logo ইসরায়েলি র্ববতায় গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি

কাশ্মীরে মোদির নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিল জনগণ

হরিয়ানা রাজ্যে সফল হলেও জম্মু-কাশ্মীরে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। পাঁচ বছর ধরে নানা চেষ্টা সত্ত্বেও সেখানে ক্ষমতায় আসতে পারল না কেন্দ্রের শাসক দল। নরেন্দ্র মোদির ‘কাশ্মীর নীতি’ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যাত হলো। সেখানে ক্ষমতায় আসতে চলেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এসি), কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট।

বেলা তিনটার হিসাব অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের ৯০ আসনের মধ্যে এনসি-কংগ্রেস জোট ৪৯ আসনে এগিয়ে। বিজেপি ২৯টিতে। পিডিপির আসন কমে হয়েছে ৩। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা হেরে গেছেন। পিপলস কনফারেন্সের সাজ্জাদ লোন ছাড়া এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী ইত্তেহাদ পার্টির এক প্রার্থী।

বেলা দুটায় এনসি নেতা ফারুক আবদুল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছে। ওমর আবদুল্লাহই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওমর গান্দরবাল ও বদগাম দুই আসন থেকেই জিতেছেন।

হরিয়ানা বিধানসভার মোট আসনও ৯০। বিজেপি ৪৭ আসনে এগিয়ে। কংগ্রেস ৩৭টিতে। আর ইন্ডিয়ান লোক দল ৩টি আসনে। ৩ জন স্বতন্ত্র। এই রাজ্যে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে জেজেপি। গতবার তারা ১০টি আসন জিতে বিজেপিকে সরকার গড়তে সাহায্য করেছিল।

এই ফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যতটা উৎফুল্ল করবে, ততটাই চিন্তিত। উৎফুল্ল করবে কেননা, তার নেতৃত্বে বিজেপি হরিয়ানায় হ্যাটট্রিক করল। রাজ্যের ইতিহাসে এটা রেকর্ড। ১০ বছর ক্ষমতাসীন থাকা সত্ত্বেও আগেরবারের তুলনায় আসন বাড়িয়ে বিজেপির সরকার গড়ার মতো অবস্থায় চলে আসা অবশ্যই মোদির কৃতিত্ব।

তবে প্রধানমন্ত্রীকে চিন্তায় রাখবে জম্মু-কাশ্মীরের ব্যর্থতা। প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে তার কাশ্মীর নীতিকে। দেশে তো বটেই, আন্তর্জাতিক স্তরেও। কারণ, এই ভোট এক অর্থে ছিল ৩৭০ অনুচ্ছেদ–সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণভোট। মোদি এই রাজ্যকে এনসি, কংগ্রেস ও পিডিপির হাত থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তার সেই ইচ্ছাও ব্যর্থ হলো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল সার্বিয়া, পুলিশ-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

কাশ্মীরে মোদির নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিল জনগণ

আপডেট সময় ০৭:৪৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

হরিয়ানা রাজ্যে সফল হলেও জম্মু-কাশ্মীরে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। পাঁচ বছর ধরে নানা চেষ্টা সত্ত্বেও সেখানে ক্ষমতায় আসতে পারল না কেন্দ্রের শাসক দল। নরেন্দ্র মোদির ‘কাশ্মীর নীতি’ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যাত হলো। সেখানে ক্ষমতায় আসতে চলেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এসি), কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট।

বেলা তিনটার হিসাব অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীরের ৯০ আসনের মধ্যে এনসি-কংগ্রেস জোট ৪৯ আসনে এগিয়ে। বিজেপি ২৯টিতে। পিডিপির আসন কমে হয়েছে ৩। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা হেরে গেছেন। পিপলস কনফারেন্সের সাজ্জাদ লোন ছাড়া এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী ইত্তেহাদ পার্টির এক প্রার্থী।

বেলা দুটায় এনসি নেতা ফারুক আবদুল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছে। ওমর আবদুল্লাহই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওমর গান্দরবাল ও বদগাম দুই আসন থেকেই জিতেছেন।

হরিয়ানা বিধানসভার মোট আসনও ৯০। বিজেপি ৪৭ আসনে এগিয়ে। কংগ্রেস ৩৭টিতে। আর ইন্ডিয়ান লোক দল ৩টি আসনে। ৩ জন স্বতন্ত্র। এই রাজ্যে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে জেজেপি। গতবার তারা ১০টি আসন জিতে বিজেপিকে সরকার গড়তে সাহায্য করেছিল।

এই ফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যতটা উৎফুল্ল করবে, ততটাই চিন্তিত। উৎফুল্ল করবে কেননা, তার নেতৃত্বে বিজেপি হরিয়ানায় হ্যাটট্রিক করল। রাজ্যের ইতিহাসে এটা রেকর্ড। ১০ বছর ক্ষমতাসীন থাকা সত্ত্বেও আগেরবারের তুলনায় আসন বাড়িয়ে বিজেপির সরকার গড়ার মতো অবস্থায় চলে আসা অবশ্যই মোদির কৃতিত্ব।

তবে প্রধানমন্ত্রীকে চিন্তায় রাখবে জম্মু-কাশ্মীরের ব্যর্থতা। প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে তার কাশ্মীর নীতিকে। দেশে তো বটেই, আন্তর্জাতিক স্তরেও। কারণ, এই ভোট এক অর্থে ছিল ৩৭০ অনুচ্ছেদ–সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণভোট। মোদি এই রাজ্যকে এনসি, কংগ্রেস ও পিডিপির হাত থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তার সেই ইচ্ছাও ব্যর্থ হলো।