ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঢাবিতে শহীদ আবরার দিবস পালিত

ফ্যাসিবাদী সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
  • 15

টিএসসিতে বিপ্লবী পরিষদের বিক্ষোভ

বুয়েটের আবরার ফাহাদ ও জুলাইয়ে ছাত্র-গণহত্যায় জড়িত অভিযোগে ফ্যাসিবাদী ছাত্র সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগকে দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী শহীদ আবরার দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

এছাড়াও ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ, চাকরি প্রদান, ভারতের সঙ্গে সকল অন্যায্য চুক্তি বাতিল ও অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। বিপ্লবী ছাত্রপরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমন্বয়ক হাসান আরিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও আব্বাস উদ্দীন।

এছাড়াও বক্তৃতা করেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বা সানোয়ারা খাতুন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক ইয়ামিন সরকার, সহকারী সদস্য সচিব হামিম হোসাইন শুভ, মো. শফিক ও জিহাদী ইহসান প্রমুখ।

সমাবেশে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, শহীদ আবরার ফাহাদ ফেসবুকে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী স্ট্যাটাস লেখায় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাকে রাতভর নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগের কোনো বিচার হয়নি। তাই বারবার বিনা বিচারে পার পাওয়া ছাত্রলীগ জুলাই গণহত্যার সূচনা করতে পরোয় করেনি।

আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাকর্মীরা হামলা করার পর পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাবের কর্মরত সংগঠনটির সাবেক নেতাকর্মীরাই ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। এ অবস্থায় ছাত্রলীগকে ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করার বিকল্প নাই।

এ জন্য সরকারকে আইন করে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে সিনেট-সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ গত ১৬ বছরে অব্যাহতভাবে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে নির্যাতন করেছে, পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে, ঠিকমতো ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দিয়েছে, এমনকি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভ্যারিফিকেশনের নামে অন্যায়ভাবে বাদ দিয়েছে।

এসব অন্যায়ের প্রতিকার করতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী কমিশন গঠন করে মজলুম শিক্ষার্থীদের শারিরীক মানসিক একাডেমিক ও পেশাগত ক্ষতির ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানান আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, আবরার শহীদ হয়েছিলেন ভারতের আগ্রাসনের প্রতিবাদ করায়। তাই ভারতের সঙ্গে করা আগ্রাসনমূলক অন্যায্য চুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে। এসব চুক্তি ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিম করেছে বলে সব চুক্তিই অবৈধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সমাবেশ শেষে রাজু ভাস্কর্য থেকে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলে ” শহীদ আবরার, লও লও সালাম” “দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা”, “অবিলম্বে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করো” বলে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্ব সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

ফ্যাসিবাদী সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

ঢাবিতে শহীদ আবরার দিবস পালিত

ফ্যাসিবাদী সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

আপডেট সময় ০৮:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

বুয়েটের আবরার ফাহাদ ও জুলাইয়ে ছাত্র-গণহত্যায় জড়িত অভিযোগে ফ্যাসিবাদী ছাত্র সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগকে দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী শহীদ আবরার দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

এছাড়াও ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ, চাকরি প্রদান, ভারতের সঙ্গে সকল অন্যায্য চুক্তি বাতিল ও অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীর পানিতে বাংলাদেশের ন্যায্য নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। বিপ্লবী ছাত্রপরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমন্বয়ক হাসান আরিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও আব্বাস উদ্দীন।

এছাড়াও বক্তৃতা করেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বা সানোয়ারা খাতুন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক ইয়ামিন সরকার, সহকারী সদস্য সচিব হামিম হোসাইন শুভ, মো. শফিক ও জিহাদী ইহসান প্রমুখ।

সমাবেশে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, শহীদ আবরার ফাহাদ ফেসবুকে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী স্ট্যাটাস লেখায় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাকে রাতভর নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগের কোনো বিচার হয়নি। তাই বারবার বিনা বিচারে পার পাওয়া ছাত্রলীগ জুলাই গণহত্যার সূচনা করতে পরোয় করেনি।

আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাকর্মীরা হামলা করার পর পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাবের কর্মরত সংগঠনটির সাবেক নেতাকর্মীরাই ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। এ অবস্থায় ছাত্রলীগকে ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করার বিকল্প নাই।

এ জন্য সরকারকে আইন করে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে সিনেট-সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ গত ১৬ বছরে অব্যাহতভাবে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে নির্যাতন করেছে, পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে, ঠিকমতো ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দিয়েছে, এমনকি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভ্যারিফিকেশনের নামে অন্যায়ভাবে বাদ দিয়েছে।

এসব অন্যায়ের প্রতিকার করতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী কমিশন গঠন করে মজলুম শিক্ষার্থীদের শারিরীক মানসিক একাডেমিক ও পেশাগত ক্ষতির ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানান আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, আবরার শহীদ হয়েছিলেন ভারতের আগ্রাসনের প্রতিবাদ করায়। তাই ভারতের সঙ্গে করা আগ্রাসনমূলক অন্যায্য চুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে। এসব চুক্তি ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিম করেছে বলে সব চুক্তিই অবৈধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সমাবেশ শেষে রাজু ভাস্কর্য থেকে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলে ” শহীদ আবরার, লও লও সালাম” “দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা”, “অবিলম্বে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করো” বলে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্ব সড়ক প্রদক্ষিণ করে।