ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্মমতার বলি বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরোধিতা করায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ন্যায়ের প্রশ্নে সদা আপসহীন আবরার এখন সাহস আর বিদ্রোহের মূর্ত প্রতীক। অসীম মহাকালের যাত্রায় তাকে স্মরণ করবে এদেশের মানুষ।
৬ অক্টোবর ২০১৯। শুনশান মধ্যরাত। তখনো কিছুই জানেন না বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থীরা। ততক্ষণে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হয় মেধাবী বিদ্যাপিঠের দেয়াল।
সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, সেদিন রাত আটটায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা আবরারকে দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় নারকীয় তাণ্ডব। ছাত্রশিবির সন্দেহে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে দফায় দফায় পেটানো হয় আবরার ফাহাদকে। বাঁচার আকুতিতেও গলেনি খুনির হৃদয়। রাত পেরিয়ে ভোর, মৃত্যু নিশ্চিত হলে লাশ গুম করার চেষ্টাও করে হত্যাকারীরা।
শহীদ আবরারের শেষ বিদায়ও ছিল না বাধাহীন। কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়িতে দ্রুত জানাজা শেষ করে দাফন সারতেও চাপ আসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর ঢাকায় আবরারের স্মরণে নির্মিত আগ্রাসন বিরোধী স্তম্ভও ভেঙে দেয় সিটি কর্পোরেশন।
কুষ্টিয়ায় জন্ম নেয়া শহীদ আবরার ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ব্যতিক্রম। শিক্ষাজীবনে তীক্ষ মেধার স্বাক্ষর রাখা আবরার এখন আগ্রাসন, আর আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের এক মূর্ত প্রতীক।
জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার রক্তাক্ত বিপ্লব, শহীদ আবরার ফাহাদের প্রতিবাদী চেতনাকে ধরেই এগিয়েছে বলে মনে করে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পর দেশব্যাপী প্রতিবাদের মুখে নিম্নআদালতে খুনিদের শাস্তি হলেও এখনো উচ্চ আদালতে করা আপিলের নিষ্পত্তি হয়নি। বিচার শেষ করে দ্রুত সাজা কার্যকরের দাবি শহীদ আবরারের পরিবারের।