ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিরাগত কয়েকজন যুবক তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঐ ছাত্রলীগ নেতার নাম জহির রায়হান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

ভুক্তভুগী ছাত্রলীগ নেতার বন্ধুদের অভিযোগ, বিকেল সাড়ে চারটায় জহির রায়হান পরীক্ষা দিয়ে মেসে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে অটোতে ওঠেন। অটো ক্যালিকো কটন মিল এলাকায় গেলে সেখান থেকে তাকে কয়েকজন যুবক মটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লাঠি, হক স্টিক দিয়ে হাতে, পায়ে, পিঠে মারধর করা হয়। পরে তার বাসায় ফোন দিয়ে বিকাশে দশ হাজার টাকা এনে এবং তার স্মার্ট ফোন নিয়ে তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পাবনা সদর হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতার সহপাঠীরা আরো জানান, ওকে কারা মারধর করেছে তাদেরকে ও চিনতে পারেনি। তবে মারধরের সাথে ক্যাম্পাসের কারো সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ও মনে করে। কারণ গত বুধবার ক্যাম্পাস গেটে ক্যাম্পাসেরই কয়েকজন ওকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। তারা তাকে আর ক্যাম্পাসে না আসার জন্য হুশিয়ারি দেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জহির রায়হান বলেন, ‘বিকেলে আমার সাথে কি হয়েছে এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছিনা। এ নিয়ে আমি কিছু বললে ওরা আমার আরো বড় ক্ষতি করবে। আমার জীবন এই মুহূর্তে হুমকির মুখে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছি।’

এই ঘটনা ঘটার পরে পাবনা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জহির রায়হানকে দেখতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. রাশেদুল হক এবং বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ।

সেখানে প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেই ঘটনা ঘটেছে সেটা মোটেও কাম্য নয়। তবে এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে সে আমাদের বলতে পারেনি। আমরা তাকে আগামীকাল লিখিত দেওয়ার জন্য বলেছি। লিখিত দিলে আমরা তদন্ত কমিটি করে দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো। আর তার নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রবিতে বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৩০:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিরাগত কয়েকজন যুবক তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঐ ছাত্রলীগ নেতার নাম জহির রায়হান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

ভুক্তভুগী ছাত্রলীগ নেতার বন্ধুদের অভিযোগ, বিকেল সাড়ে চারটায় জহির রায়হান পরীক্ষা দিয়ে মেসে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গেট থেকে অটোতে ওঠেন। অটো ক্যালিকো কটন মিল এলাকায় গেলে সেখান থেকে তাকে কয়েকজন যুবক মটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লাঠি, হক স্টিক দিয়ে হাতে, পায়ে, পিঠে মারধর করা হয়। পরে তার বাসায় ফোন দিয়ে বিকাশে দশ হাজার টাকা এনে এবং তার স্মার্ট ফোন নিয়ে তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পাবনা সদর হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতার সহপাঠীরা আরো জানান, ওকে কারা মারধর করেছে তাদেরকে ও চিনতে পারেনি। তবে মারধরের সাথে ক্যাম্পাসের কারো সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ও মনে করে। কারণ গত বুধবার ক্যাম্পাস গেটে ক্যাম্পাসেরই কয়েকজন ওকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। তারা তাকে আর ক্যাম্পাসে না আসার জন্য হুশিয়ারি দেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জহির রায়হান বলেন, ‘বিকেলে আমার সাথে কি হয়েছে এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছিনা। এ নিয়ে আমি কিছু বললে ওরা আমার আরো বড় ক্ষতি করবে। আমার জীবন এই মুহূর্তে হুমকির মুখে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছি।’

এই ঘটনা ঘটার পরে পাবনা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা জহির রায়হানকে দেখতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. রাশেদুল হক এবং বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ।

সেখানে প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেই ঘটনা ঘটেছে সেটা মোটেও কাম্য নয়। তবে এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছে সে আমাদের বলতে পারেনি। আমরা তাকে আগামীকাল লিখিত দেওয়ার জন্য বলেছি। লিখিত দিলে আমরা তদন্ত কমিটি করে দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো। আর তার নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’