রাজধানী ঢাকায় যানজটের কারণে প্রতিদিন ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলন থেকে যানজট নিয়ন্ত্রণে ১২ দফা সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক বলেন, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, পরিবহনসংশ্লিষ্টরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় ভয়াবহ যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। ঢাকার যানজটে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে কর্মক্ষম মানুষের ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা। বুয়েটের তথ্য বলছে, প্রতিবছর এই যানজটে আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, যাত্রীরা মোটরসাইকেলে রাইডশেয়ারিং, অটোরিকশা, ইজিবাইক পাঠাও-ওবারের মতো ছোট ছোট যানবাহনে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের দিকে ঝুঁকেছেন। ফলে নগরীতে বিশৃঙ্খল বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চার লাখ প্যাডেলচালিত রিকশা, ছয় লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, এক লাখ ৩৪ হাজার রাইডশেয়ারিংয়ের ছোট ছোট যানবাহন এবং ৩০ হাজার অটোরিকশা অবাধে যাতায়াতের কারণে নগরীর যানজট ও জনজট চরমভাবে বেড়ে চলেছে।
অন্যদিকে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনো সেকেলে। আর সরকার পরিবর্তনে পর নগরীর চার হাজার ট্রাফিক পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয়। যানজট কমাতে জরুরি ভিত্তিতে অত্যাধুনিক প্রকৌশলগত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা দরকার। বিআরটিএর তথ্যমতে, রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ছোট ছোট ৮০০ গাড়ি নামছে।
জাইকার সমীক্ষা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন গড়ে চার কোটি ট্রিপ যাত্রী যাতায়াত হয়, এর ৬০ শতাংশ গণপরিবহন ব্যবহার করেন। এসব যাত্রীর ৬৭ শতাংশ কেবল বাস ব্যবহার করেন। অথচ ঢাকা সিটি বাসের মান-গুণ যাত্রীসেবার গত ২০ বছর ধরে কিছুই ঠিক নেই।
তিনি আরো বলেন, ঢাকার যানজট কমাতে হলে সর্বপ্রথম বাস-মিনিবাস ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে বাসের জন্য প্রাধিকার লেইনের ব্যবস্থা করতে হবে।