ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধর্ষকদের শাস্তির হবে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা Logo ডাঃ লেলিনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ Logo ‘জুলাই-আগস্টের চেতনাকে ধারণ করে পুলিশ বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে হবে’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান Logo ভারতকে হারালে ১ কোটি রুপি পুরস্কার পাবেন রিজওয়ানরা, প্রতিশ্রুতি গভর্নরের Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন

গাজার ৭৯ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল

গাজার ৭৯ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল

ইসরায়েলি বাহিনী গত এক বছরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৭৯ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তীব্র বোমাবর্ষণে গাজার এক হাজার ২৪৫টি মসজিদের মধ্যে ৮১৪টি মসজিদ মাটির সাথে মিশে গেছে এবং আরও ১৪৮টি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মসজিদের পাশাপাশি তিনটি গির্জাও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ১৯টি ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, এসব ধর্মীয় সম্পত্তি গুলোর ক্ষতির আনুমানিক আর্থিক ব্যয় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার।

মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কবর অপবিত্র করার, মৃতদেহ উত্তোলন এবং যারা মারা গেছে তাদের বিরুদ্ধে নৃশংস সহিংসতা করার জন্যও অভিযুক্ত করেছে। যেমন কবর ভেঙে মরদেহ নিয়ে যাওয়া ও মরদেহ বিকৃত করা।

মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, উপাসনালয় ধ্বংসের পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১টি প্রশাসনিক ও শিক্ষাগত সুবিধা ধ্বংস করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ২৩৮ জন কর্মচারীকে হত্যা করেছে এবং স্থল আক্রমণের সময় ১৯ জনকে আটক করেছে।

মন্ত্রণালয় গাজার ধর্মীয় স্থানগুলোতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে। ইসলামিক সংস্থাগুলোসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘চলমান ধ্বংসের যুদ্ধ’ থামাতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৯৬ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদারিত্বের প্রতিবাদে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় যায় হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

টানা এক বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকার প্রায় পুরো জনগোষ্ঠীকে বাস্তুচ্যুত করেছে। হামলার পাশাপাশি গাজায় অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। যার ফলে খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটে মুখে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ফিলিস্তিনিরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষকদের শাস্তির হবে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

গাজার ৭৯ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল

আপডেট সময় ১১:৩২:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

ইসরায়েলি বাহিনী গত এক বছরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৭৯ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তীব্র বোমাবর্ষণে গাজার এক হাজার ২৪৫টি মসজিদের মধ্যে ৮১৪টি মসজিদ মাটির সাথে মিশে গেছে এবং আরও ১৪৮টি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মসজিদের পাশাপাশি তিনটি গির্জাও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ১৯টি ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, এসব ধর্মীয় সম্পত্তি গুলোর ক্ষতির আনুমানিক আর্থিক ব্যয় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার।

মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কবর অপবিত্র করার, মৃতদেহ উত্তোলন এবং যারা মারা গেছে তাদের বিরুদ্ধে নৃশংস সহিংসতা করার জন্যও অভিযুক্ত করেছে। যেমন কবর ভেঙে মরদেহ নিয়ে যাওয়া ও মরদেহ বিকৃত করা।

মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, উপাসনালয় ধ্বংসের পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১টি প্রশাসনিক ও শিক্ষাগত সুবিধা ধ্বংস করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ২৩৮ জন কর্মচারীকে হত্যা করেছে এবং স্থল আক্রমণের সময় ১৯ জনকে আটক করেছে।

মন্ত্রণালয় গাজার ধর্মীয় স্থানগুলোতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে। ইসলামিক সংস্থাগুলোসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘চলমান ধ্বংসের যুদ্ধ’ থামাতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৯৬ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদারিত্বের প্রতিবাদে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় যায় হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

টানা এক বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা গাজা উপত্যকার প্রায় পুরো জনগোষ্ঠীকে বাস্তুচ্যুত করেছে। হামলার পাশাপাশি গাজায় অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। যার ফলে খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটে মুখে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ফিলিস্তিনিরা।