ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধর্ষণের পর মুখ পুড়িয়ে রেখে গেল দুষ্কৃতিকারীরা, পাটক্ষেতে উদ্ধার তরুণীর লাশ Logo শিক্ষাজীবনে অর্জিত এই সম্মান অর্জনের পুরোটাই প্রাপ্য আমার মা- গ্রাজুয়েট হেলাল দম্পতি Logo মুন্সিগঞ্জে মিথ্যা সংবাদ প্রচার হয়রানি মূলক কর্মকাণ্ড, অবৈধ গ্রেফতার এবং হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি Logo কুষ্টিয়ায় পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে ৫ Logo সরকার দাবি মেনে নেয়ায় জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা Logo মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর বাজার ভয়াবহ আগুন পুড়ে ছাই শতাধিক দোকান Logo জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাবি মেনে নিয়েছে সরকার Logo জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার: ইউজিসি চেয়ারম্যান Logo সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ, আসতে পারে কর্মসূচি Logo দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ গণঅনশনে জবিয়ানরা

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭ জনের মৃত্যু

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭ জনের মৃত্যু

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে বন্যায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিজিবি।

এদিকে শনিবার রাত থেকে নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৭টি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মৃগী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বন্যায় জেলার অন্তত ৩০ হাজার হেক্টর আমন আবাদ এবং এক হাজার হেক্টর সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ৭০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, বন্যার পানিতে ডুবে সর্বশেষ শনিবার রাতে নকলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাঁচ জন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রানা বলেন, নালিতাবাড়ীতে আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১২৩টি। এর মধ্যে, ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, পানিবন্দি মানুষদের সঠিকভাবে উদ্ধার করতে সফল হয়েছি। অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্ষণের পর মুখ পুড়িয়ে রেখে গেল দুষ্কৃতিকারীরা, পাটক্ষেতে উদ্ধার তরুণীর লাশ

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ১০:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে বন্যায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিজিবি।

এদিকে শনিবার রাত থেকে নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৭টি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মৃগী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বন্যায় জেলার অন্তত ৩০ হাজার হেক্টর আমন আবাদ এবং এক হাজার হেক্টর সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ৭০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, বন্যার পানিতে ডুবে সর্বশেষ শনিবার রাতে নকলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাঁচ জন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রানা বলেন, নালিতাবাড়ীতে আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১২৩টি। এর মধ্যে, ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, পানিবন্দি মানুষদের সঠিকভাবে উদ্ধার করতে সফল হয়েছি। অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।