নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন। শারজাহর ধীরগতির উইকেটে বোলাররা দারুণ নিয়ন্ত্রণ দেখালেও, ব্যাট হাতে তেমনটা করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ২০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৭ রান, ফলে ২১ রানে হেরেছে তারা।
শারজাহর মন্থর উইকেটে বাংলাদেশ স্পিনাররা ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের ভালোভাবে চেপে ধরেছিল। নাহিদা আক্তার, রিতু মণি ও ফাহিমা খাতুনের স্পিন বোলিংয়ে ইংলিশ ব্যাটাররা রান সংগ্রহ করতে বেশ কষ্টে ছিলেন। ড্যানি ওয়াটের ৪১ রান এবং শেষদিকে অ্যামি জোন্সের গুরুত্বপূর্ণ ১২ রানের ইনিংস ছাড়া বড় কোনো অবদান রাখতে পারেনি ইংল্যান্ডের কেউ। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১১৮ রানে আটকে দেয় টাইগ্রেসরা। বাংলাদেশের পক্ষে রিতু মণি, নাহিদা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন সমান দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
ইংল্যান্ডের ১১৯ রানের টার্গেট নিয়ে শুরুতে দিলারা আক্তার এবং সাথী রানী দলকে ভালো শুরু এনে দিতে ব্যর্থ হন। পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ২০ রানে দুই ওপেনার বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর সোবহানা মুশতারি এবং অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। সোবহানা ৪৪ রানের ইনিংস খেললেও, প্রয়োজনীয় রানের গতি বজায় রাখতে পারেননি। সোফি এক্লেস্টোনের ওভারে জ্যোতির রান আউটের পর ম্যাচ বাংলাদেশের হাত থেকে ফসকে যায়।
জ্যোতির আউটের পর স্বর্ণা আক্তারও দ্রুত ফিরে গেলে বাংলাদেশ আরও চাপে পড়ে। ৫৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সোবহানা একা লড়াই চালিয়ে গেলেও বাকিরা তাকে যথেষ্ট সমর্থন দিতে পারেননি। শেষদিকে তাজ নাহার, রিতু মনি ও ফাহিমা আক্তাররা চেষ্টা করলেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।
ইংলিশ মেয়েদের ব্যাটিংয়ের তুলনায় বাংলাদেশের বোলিং ছিল অনেকটাই সুশৃঙ্খল। তবে ব্যাটিংয়ের অস্বস্তিতে ম্যাচটা হারাতে হয় টাইগ্রেসদের। ২১ রানে হারার পর বাংলাদেশের টুর্নামেন্টে টিকে থাকার আশা আরও কঠিন হয়ে পড়লো।