ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন

পাকিস্তানজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এরপর সেখানে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়। এরমধ্যে আজ শনিবার পাঞ্জাবের লাহোরেও উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সেখানেও সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হচ্ছে।

মুদ্রাস্ফীতি কমানো, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদসহ অন্যান্য প্রদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পিটিআই সমর্থকরা। শুক্রবার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ইসলামাবাদের রাস্তায় নেমে পড়েন পিটিআই সমর্থকরা। তাদের লক্ষ্য ছিল ডি-চকে বিক্ষোভ করবেন। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় বিক্ষোভের জন্য জড়ো হওয়ার পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।

ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, গতকালের পর আজ শনিবারও ইসলামাবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ছাড়া পাশের রাওয়ালপিন্ডিও উত্তপ্ত হয়ে আছে। এসবের মধ্যে সেখানে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বড় বড় সড়কগুলো কনটেইনার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

এর মধ্যে আজ শনিবার পাঞ্জাবের লাহোরেও উত্তেজনা দেখা গেছে। পিটিআই কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাতে বাধা দেয়। ফলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র বিভাগ প্রদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য পাকিস্তানে সেনা মোতায়েনের আদেশ জারি করে।

কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কর্মী-সমর্থকদের লাহোরের সমাবেশ সফল করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি পুলিশি বাধায় লাহোরে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে যেন সবাই যার যার শহরেই অবস্থান নেন।

সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, মিনার-ই-পাকিস্তানের দিকে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও সেনাবাহিনীর সাথে উগ্রপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, উগ্রবাদীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। আর অপর পাঁচজন হলো উগ্রবাদী বাহিনীর সদস্য।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন

পাকিস্তানজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন

আপডেট সময় ১১:১৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এরপর সেখানে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়। এরমধ্যে আজ শনিবার পাঞ্জাবের লাহোরেও উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সেখানেও সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হচ্ছে।

মুদ্রাস্ফীতি কমানো, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদসহ অন্যান্য প্রদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পিটিআই সমর্থকরা। শুক্রবার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ইসলামাবাদের রাস্তায় নেমে পড়েন পিটিআই সমর্থকরা। তাদের লক্ষ্য ছিল ডি-চকে বিক্ষোভ করবেন। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় বিক্ষোভের জন্য জড়ো হওয়ার পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।

ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, গতকালের পর আজ শনিবারও ইসলামাবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ছাড়া পাশের রাওয়ালপিন্ডিও উত্তপ্ত হয়ে আছে। এসবের মধ্যে সেখানে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বড় বড় সড়কগুলো কনটেইনার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

এর মধ্যে আজ শনিবার পাঞ্জাবের লাহোরেও উত্তেজনা দেখা গেছে। পিটিআই কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাতে বাধা দেয়। ফলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র বিভাগ প্রদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য পাকিস্তানে সেনা মোতায়েনের আদেশ জারি করে।

কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কর্মী-সমর্থকদের লাহোরের সমাবেশ সফল করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি পুলিশি বাধায় লাহোরে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে যেন সবাই যার যার শহরেই অবস্থান নেন।

সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, মিনার-ই-পাকিস্তানের দিকে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও সেনাবাহিনীর সাথে উগ্রপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, উগ্রবাদীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। আর অপর পাঁচজন হলো উগ্রবাদী বাহিনীর সদস্য।