শুরুতে নড়বড়ে বোলিংয়ের পর দারুণভাবে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। ইংল্যান্ডকে বেশি দূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে লক্ষ্য নাগালের মধ্যে রাখলেও একাধিক ক্যাচ মিসে আফসোস বেড়েছে।
শারজাহতে বিশ্বকাপের ষষ্ঠ ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ৭ উইকেটে ১১৮ রান করেছে। ইংল্যান্ডকে কখনোই টি-টোয়েন্টিতে হারাতে না পারা বাংলাদেশের জন্য আজ দারুণ সুযোগ ইতিহাস গড়ার। বোলাররা নিজেদের কাজটা করে রাখল। এবার ব্যাটারদের দায়িত্ব নাগালে থাকা লক্ষ্য ছুঁয়ে টানা দ্বিতীয় জয় এনে দেওয়ার।
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে ১০ বছর পর সেটিই ছিল প্রথম জয়। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্যে শারজাহতে আজ ইংলিশদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে টাইগ্রেসরা।
পাওয়ার প্লে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ৬ ওভারে ইংল্যান্ড বিনা উইকেটে ৪৭ রান তুলে নেয়। মনে হচ্ছিল, তারা আজও বাংলাদেশকে চেপে ধরবে। সপ্তম ওভারে অভিজ্ঞ বোলার রাবেয়া খান ব্রেক থ্রু এনে দেন। ১৮ বলে ২৩ রান করা মাই বুচারকে আউট করেন তিনি। পরের ওভারে ফাহিমা খাতুন তুলে নেন নাট সিভার ব্রান্টের উইকেট।
৫৩ থেকে ৭৩ রানে যেতে কোনো উইকেট হারায়নি ইংল্যান্ড। কিন্তু, এরপর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। টপাটপ উইকেট তুলে এবং রান আটকে রেখে ইংল্যান্ডকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দেন বোলাররা।
বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও রিতু মনি। ১ উইকেট পেয়েছেন রাবেয়া খান। সবার সম্মিলিত আক্রমণেই ইংল্যান্ডকে বেশি দূর যেতে দেয়নি বোলাররা। ইংল্যান্ডের হয়ে চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন ড্যানি হজ। ৪০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। শেষদিকে এমি জোন্সের ১২ রানে ইংল্যান্ড মাঝারি মানের পুঁজি পায়।