ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরিচ্যুত সামরিক কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল দাবি

রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরিচ্যুত সামরিক কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল দাবি

বিগত সরকারের আমলে সামরিক কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত ও তাদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে বঞ্চিত সামরিক কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন হলের ঈগল হলে বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশ ২.০ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রূপরেখা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর সাবেক বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত ও বৈষম্যের মাধ্যমে নিপীড়িত এসব কর্মকর্তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- বঞ্চিত অফিসারদের পুনর্বাসন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান। এছাড়া সামরিক বাহিনীতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে কমিশন গঠন করে সামরিক আইনের সংস্কারের দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে নৌবাহিনীর সাবেক কমান্ডার নেসার আহমেদ জুলিয়াস বলেন, আমরা সব সময় সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের আদর্শ মনে করি। আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দেশ গঠনে এবং বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

তবে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে সশস্ত্র বাহিনীর নিরপেক্ষতা এবং পেশাদারত্ব বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। এর ফলে আমরা দেখেছি কীভাবে সামরিক আইন ও নিয়মের অপব্যবহার হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, গুম ও খুন করা হয়েছে এবং বাহিনীর মেধাবি কর্মকর্তাদের অযৌক্তিকভাবে সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে বিনা পেনশনে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, আমাদের এই গৌরবময় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বৈষম্যের ক্ষতিকর ঘুনপোকা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে এবং ধ্বংস করেছে বাহিনীর প্রশাসনিক অবকাঠামো। এই ঘুনপোকা শুধু কর্মকর্তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট করেনি, নষ্ট করেছে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামরিক পেশাদারত্ব।

তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চর্চা বন্ধ করা এবং তাদের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা অবিচারের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রতি সম্মান ও ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে প্রথমে আমাদের অবশ্যই বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের প্রতি সংঘটিত অন্যায়কে স্বীকার করতে হবে। এ অন্যায়ের স্বীকৃতি দেওয়াই হবে পুনরুদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ।

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খান সেনাপ্রধানের প্রশংসা করে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সেনাপ্রধান অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ এবং দয়ালু। উনি জুনিয়র অফিসারদের মনের ভাষা বোঝেন। সেনাপ্রধান এ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং আমাদের কথা শুনে উনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।

পাকিস্তানজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন

রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরিচ্যুত সামরিক কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল দাবি

আপডেট সময় ০৯:০৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

বিগত সরকারের আমলে সামরিক কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত ও তাদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে বঞ্চিত সামরিক কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন হলের ঈগল হলে বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশ ২.০ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রূপরেখা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর সাবেক বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত ও বৈষম্যের মাধ্যমে নিপীড়িত এসব কর্মকর্তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- বঞ্চিত অফিসারদের পুনর্বাসন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান। এছাড়া সামরিক বাহিনীতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে কমিশন গঠন করে সামরিক আইনের সংস্কারের দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে নৌবাহিনীর সাবেক কমান্ডার নেসার আহমেদ জুলিয়াস বলেন, আমরা সব সময় সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের আদর্শ মনে করি। আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দেশ গঠনে এবং বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

তবে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে সশস্ত্র বাহিনীর নিরপেক্ষতা এবং পেশাদারত্ব বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। এর ফলে আমরা দেখেছি কীভাবে সামরিক আইন ও নিয়মের অপব্যবহার হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, গুম ও খুন করা হয়েছে এবং বাহিনীর মেধাবি কর্মকর্তাদের অযৌক্তিকভাবে সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে বিনা পেনশনে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, আমাদের এই গৌরবময় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বৈষম্যের ক্ষতিকর ঘুনপোকা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে এবং ধ্বংস করেছে বাহিনীর প্রশাসনিক অবকাঠামো। এই ঘুনপোকা শুধু কর্মকর্তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট করেনি, নষ্ট করেছে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামরিক পেশাদারত্ব।

তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চর্চা বন্ধ করা এবং তাদের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা অবিচারের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রতি সম্মান ও ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে প্রথমে আমাদের অবশ্যই বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের প্রতি সংঘটিত অন্যায়কে স্বীকার করতে হবে। এ অন্যায়ের স্বীকৃতি দেওয়াই হবে পুনরুদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ।

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খান সেনাপ্রধানের প্রশংসা করে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সেনাপ্রধান অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ এবং দয়ালু। উনি জুনিয়র অফিসারদের মনের ভাষা বোঝেন। সেনাপ্রধান এ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং আমাদের কথা শুনে উনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।