ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ Logo শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছেন নাহিদ ইসলাম Logo ছাত্রলীগের নামে রুম দখলে নেওয়া সেই পিয়াল এখন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক Logo পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে জবি শিক্ষার্থীকে খুন Logo ভিক্টোরিয়া কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, আগ্নেযাস্ত্র প্রদর্শন Logo “পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণেই হামলা, রক্তাক্ত জামায়াত নেতার পুত্র এখন ঢাকা মেডিকেলে”

কুমিল্লায় সমন্বয়কের মামলায় আসামি মৃত ৩ আ.লীগ নেতা

কুমিল্লায় সমন্বয়কের মামলায় আসামি মৃত ৩ আ.লীগ নেতা

কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের মৃত তিন নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন – হাজি আবদুল মমিন, মো. কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং ওয়াহিদুর রহমান ফরিদ।

সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন আবদুল মমিন। কামাল উদ্দিন ছিলেন কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এবং ওয়াহিদুর রহমান ফরিদ ছিলেন সদর উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। গত ২ অক্টোবর (বুধবার) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলাটি করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. এমরান।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার এবং সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই বাবলুসহ ২৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

মৃত ব্যক্তির স্বজনরা জানান, হাজি আবদুল মমিন গত ২৪ জুন ভোরে হাঁটতে বেরিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। অথচ মামলায় তার (৩৩ নম্বর আসামি) বিরুদ্ধে ৪ আগস্ট আন্দোলনে হামলার ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। মৃতের ছেলে আবু সাঈদ বলেন, বাবা কবর থেকে হামলা করেছেন, জেনে অবাক হয়েছি। তিনি তো জুনে মারা গেছেন। তাহলে কীভাবে ৪ আগস্ট হামলায় অংশ নিলেন? এগুলো নিয়ে কথা বলতেও ভালো লাগে না। মিথ্যাচারের একটা সীমা থাকা উচিত।

কামাল উদ্দিন মজুমদারের (২৭ নম্বর আসামি) প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কারও আপত্তির কিছু থাকবে না।

ওয়াহিদুর রহমান ফরিদের (৫৫ নম্বর আসামি) বড় ছেলে মো. ফরহাদ বলেন, কিডনিজনিত সমস্যায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাবা মারা যান। এক বছর পরের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মৃত মানুষ কী করে হামলা করবেন, আসামি হবেন? এটি চরম অন্যায়।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, শুধু তিন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা নয়, কানাডা ও যুক্তরাজ্য অবস্থানরতসহ বয়সের ভারে নুয়ে পড়া দেশের অনেক অসুস্থ ব্যক্তিদেরও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। বাদী এমরান বলেন, অভিযোগ ঠিক আছে। তবে শুরুতে আসামিদের নাম শনাক্তে ভুল আছে কি-না, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখব।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, এফআইআর মামলার প্রাথমিক পদক্ষেপ। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মৃত ব্যক্তির নাম থাকলে বাদ দিয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ

কুমিল্লায় সমন্বয়কের মামলায় আসামি মৃত ৩ আ.লীগ নেতা

আপডেট সময় ০৮:২৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের মৃত তিন নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন – হাজি আবদুল মমিন, মো. কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং ওয়াহিদুর রহমান ফরিদ।

সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন আবদুল মমিন। কামাল উদ্দিন ছিলেন কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এবং ওয়াহিদুর রহমান ফরিদ ছিলেন সদর উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। গত ২ অক্টোবর (বুধবার) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলাটি করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. এমরান।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার এবং সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই বাবলুসহ ২৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

মৃত ব্যক্তির স্বজনরা জানান, হাজি আবদুল মমিন গত ২৪ জুন ভোরে হাঁটতে বেরিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। অথচ মামলায় তার (৩৩ নম্বর আসামি) বিরুদ্ধে ৪ আগস্ট আন্দোলনে হামলার ও ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। মৃতের ছেলে আবু সাঈদ বলেন, বাবা কবর থেকে হামলা করেছেন, জেনে অবাক হয়েছি। তিনি তো জুনে মারা গেছেন। তাহলে কীভাবে ৪ আগস্ট হামলায় অংশ নিলেন? এগুলো নিয়ে কথা বলতেও ভালো লাগে না। মিথ্যাচারের একটা সীমা থাকা উচিত।

কামাল উদ্দিন মজুমদারের (২৭ নম্বর আসামি) প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কারও আপত্তির কিছু থাকবে না।

ওয়াহিদুর রহমান ফরিদের (৫৫ নম্বর আসামি) বড় ছেলে মো. ফরহাদ বলেন, কিডনিজনিত সমস্যায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাবা মারা যান। এক বছর পরের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মৃত মানুষ কী করে হামলা করবেন, আসামি হবেন? এটি চরম অন্যায়।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, শুধু তিন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা নয়, কানাডা ও যুক্তরাজ্য অবস্থানরতসহ বয়সের ভারে নুয়ে পড়া দেশের অনেক অসুস্থ ব্যক্তিদেরও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। বাদী এমরান বলেন, অভিযোগ ঠিক আছে। তবে শুরুতে আসামিদের নাম শনাক্তে ভুল আছে কি-না, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখব।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, এফআইআর মামলার প্রাথমিক পদক্ষেপ। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মৃত ব্যক্তির নাম থাকলে বাদ দিয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।