ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সাবেক সমন্বয়ক যোগ দিলেন ছাত্রদলে Logo ডাকসু জয়ের সাথে একাডেমিক সাফল্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন অপু Logo আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে চান ফখরুল Logo নিউইয়র্কে রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন আনসারী Logo হাসিনার সামনে দাঁড়িয়ে ভয় পাইনি, ভাঙা ডিমে যায় আসে না: আখতার হোসেন Logo অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূ নির্বাচনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা Logo চৌদ্দগ্রামে চিহ্নিত গরু চো/র মানিক এখন যুবদল নেতা! Logo আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা: প্রেস সচিব Logo সুন্দরগঞ্জে হঠাৎ অচেনা রোগে গরু-ছাগলের মৃত্যু,আক্রান্ত হচ্ছে মানুষও Logo নিউইয়র্কের বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা

এই সরকার ভুলে গেছে, তারা বিপ্লবী সরকার: হাসনাত

এই সরকার ভুলে গেছে, তারা বিপ্লবী সরকার: হাসনাত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি জানানোর একদিন না যেতেই এবার দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান সংবিধান বাতিলের দাবি তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কনভেনশন হলের ঈগল হলে ‘বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশ ২.০ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রূপরেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যে সংবিধান আমাদের একটা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা উপহার দিয়েছে, সেই সংবিধান বিদ্যমান রেখে আমরা বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে ওই সরকারের আমলে যত অপশাসন হয়েছে, সেগুলোর বিচার নিশ্চিতের আশা করতে পারি না। সুতরাং দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে দিয়ে অবশ্যই আবার সংবিধান পুনর্গঠন করতে হবে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সংবিধান মেনে আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার হয়তো ভুলে গেছে, তারা বিপ্লবী সরকার। এ সরকারে যারা রয়েছেন তারা কোনো সংবিধান বা নিয়ম মেনে আসেনি। সুতরাং, এই ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা বিলোপ করার জন্য সংবিধানের দোহাই দেওয়া হলে তারা পুরো জাতিকে হতাশ করবে।

হাসনাত বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, প্রতিটি পদক্ষেপে মানুষ অনুভব করবে এ সরকার বিপ্লবী সরকার। আজ ৫ সেপ্টেম্বর। আজ নতুন সরকারের দুই মাস হলো। কিন্তু আজ অবধি আমরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত কোনো পদক্ষেপ দেখিনি।

তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানে সরকারের বিভিন্ন অন্যায়ের করা সমালোচনা করা হয়। আমরা তখন আত্মগোপনে ছিলাম। অনলাইনে সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করছিলাম। সেসময়ে জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ দেখে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। একইভাবে ৫ আগস্টের পরে জাতীয়ভাবে এ সরকারের প্রতি আস্থা তৈরি করতে সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তার মধ্যে বিচার নিশ্চিত করা অন্যতম।

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সাবেক সমন্বয়ক যোগ দিলেন ছাত্রদলে

এই সরকার ভুলে গেছে, তারা বিপ্লবী সরকার: হাসনাত

আপডেট সময় ০৭:৩১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি জানানোর একদিন না যেতেই এবার দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান সংবিধান বাতিলের দাবি তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কনভেনশন হলের ঈগল হলে ‘বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশ ২.০ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রূপরেখা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যে সংবিধান আমাদের একটা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা উপহার দিয়েছে, সেই সংবিধান বিদ্যমান রেখে আমরা বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে ওই সরকারের আমলে যত অপশাসন হয়েছে, সেগুলোর বিচার নিশ্চিতের আশা করতে পারি না। সুতরাং দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে দিয়ে অবশ্যই আবার সংবিধান পুনর্গঠন করতে হবে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সংবিধান মেনে আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার হয়তো ভুলে গেছে, তারা বিপ্লবী সরকার। এ সরকারে যারা রয়েছেন তারা কোনো সংবিধান বা নিয়ম মেনে আসেনি। সুতরাং, এই ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা বিলোপ করার জন্য সংবিধানের দোহাই দেওয়া হলে তারা পুরো জাতিকে হতাশ করবে।

হাসনাত বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, প্রতিটি পদক্ষেপে মানুষ অনুভব করবে এ সরকার বিপ্লবী সরকার। আজ ৫ সেপ্টেম্বর। আজ নতুন সরকারের দুই মাস হলো। কিন্তু আজ অবধি আমরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত কোনো পদক্ষেপ দেখিনি।

তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানে সরকারের বিভিন্ন অন্যায়ের করা সমালোচনা করা হয়। আমরা তখন আত্মগোপনে ছিলাম। অনলাইনে সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করছিলাম। সেসময়ে জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ দেখে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। একইভাবে ৫ আগস্টের পরে জাতীয়ভাবে এ সরকারের প্রতি আস্থা তৈরি করতে সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তার মধ্যে বিচার নিশ্চিত করা অন্যতম।