ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিতে হবে: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রতিটা শহীদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরি তাদের হাতে তুলে দেয়। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে পঙ্গু হয়েছে তাদেরকেও যেন সম্মানজনক চাকরি দেওয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারো করুণার পাত্র হয়ে না থাকে। তার যোগ্যতার বলেই যেন আল্লাহর সাহায্য নিয়ে সামলাতে পারে। আমরা ন্যায় বিচার চাই। যারাই যেখান থেকে এ জাতির ওপর জুলুম করেছে তাদের সকলের বিচার এ জাতি দেখতে চায়।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি ময়দানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জামায়েত আমীর বলেন, জাতির সাথে গাদ্দারি করলে, সেবক হয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে মালিক বনে গেলে কি পরিণতি হয়। দেশ থেকে যারা পালিয়েছেন এটা থেকে আমি ও আমরা এবং দেশবাসী যেন শিক্ষা নেয়। আমরা আজ হোক, কাল হোক, নিকটে হোক ভবিষ্যতে হোক, কখনোই আর কোনো সন্ত্রাসী সরকার দেখতে চাই না। আমরা জানিয়ে দেবো এখন থেকে বাংলাদেশের মানুষ কালোকে কালো বলবে আর সাদকে সাদা বলবে।

মালিক-শ্রমিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী আমাদের দেশের মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধাতে চায়। যারা এই সমাজের দুশমন তারাই শিল্প ধ্বংস করতে চায়। তারা শ্রমিকদের আবেগকে উসকে দিয়ে রাস্তায় নামায়। মরে শ্রমিকেরা ঘরে বসে বেনিফিট নেই তারা। আবার কিছু মালিক আছে যারা শ্রমিকের শুধু ঘাম নয়, পারলে রক্তটাও চুষে নিতে চায়। শিল্প যারা বাঁচাবে তাদেরকে বাঁচতে দিন। আপনি তাদের সম্মান করবেন, তারা তাদের সর্বোচ্চটা আপনাকে উজাড় করে দিবে। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা তাদের জায়গায় ব্যবসা করবে। কোনো দুর্বৃত্তের সাহস হবে না তাদের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়ার।

জবাবদিহিতা ও বিচারবিভাগ নিয়ে বলেন, এমন একটা সমাজ প্রয়োজন যে সমাজে শিক্ষিতরা কলমের খোঁচায় হাজার হাজার কোটি টাকা জাতির কাছ থেকে লুন্ঠন করবে না। কলম হাতে নিয়ে তার কলিজাটা থর থর করে কাঁপবে এই ভেবে যে আখেরাতে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। আমরা শপথবদ্ধ কোনো রাজনীতি ব্যক্তিকে আদালতে বিচারক হিসেবে দেখতে চাই না। একজন সরকারি কর্মকর্তা তিনি রাষ্ট্রের সেবক। কোনো দল বা ব্যক্তির সেবা করতে পারে না।

দলীয় নির্যাতনের বিষয়ে জামায়েত আমীর বলেন, আমরা বলেছিলাম কারো প্রতি অবিচার করবো না, কোনো প্রতিশোধ নেবো না। সেটা আমরা করিনি। আমাদের উপর গত ১৫ বছর যে অত্যাচার হয়েছে তা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম নির্যাতন। তারপরেও আমাদের নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের পর কোথাও কারও ব্যবসা বা বাড়িতে হামলা করেনি।

গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা অঞ্চল উত্তর অঞ্চল টীম সদস্য আবুল হাসেম খান ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, জেলা আমীর ড. জাহাঙ্গীর আলম, নায়েবে আমীর মুহাম্মদ খায়রুল হাসান প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিতে হবে: জামায়াত আমির

আপডেট সময় ০৮:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রতিটা শহীদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরি তাদের হাতে তুলে দেয়। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে পঙ্গু হয়েছে তাদেরকেও যেন সম্মানজনক চাকরি দেওয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারো করুণার পাত্র হয়ে না থাকে। তার যোগ্যতার বলেই যেন আল্লাহর সাহায্য নিয়ে সামলাতে পারে। আমরা ন্যায় বিচার চাই। যারাই যেখান থেকে এ জাতির ওপর জুলুম করেছে তাদের সকলের বিচার এ জাতি দেখতে চায়।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি ময়দানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জামায়েত আমীর বলেন, জাতির সাথে গাদ্দারি করলে, সেবক হয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে মালিক বনে গেলে কি পরিণতি হয়। দেশ থেকে যারা পালিয়েছেন এটা থেকে আমি ও আমরা এবং দেশবাসী যেন শিক্ষা নেয়। আমরা আজ হোক, কাল হোক, নিকটে হোক ভবিষ্যতে হোক, কখনোই আর কোনো সন্ত্রাসী সরকার দেখতে চাই না। আমরা জানিয়ে দেবো এখন থেকে বাংলাদেশের মানুষ কালোকে কালো বলবে আর সাদকে সাদা বলবে।

মালিক-শ্রমিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী আমাদের দেশের মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধাতে চায়। যারা এই সমাজের দুশমন তারাই শিল্প ধ্বংস করতে চায়। তারা শ্রমিকদের আবেগকে উসকে দিয়ে রাস্তায় নামায়। মরে শ্রমিকেরা ঘরে বসে বেনিফিট নেই তারা। আবার কিছু মালিক আছে যারা শ্রমিকের শুধু ঘাম নয়, পারলে রক্তটাও চুষে নিতে চায়। শিল্প যারা বাঁচাবে তাদেরকে বাঁচতে দিন। আপনি তাদের সম্মান করবেন, তারা তাদের সর্বোচ্চটা আপনাকে উজাড় করে দিবে। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা তাদের জায়গায় ব্যবসা করবে। কোনো দুর্বৃত্তের সাহস হবে না তাদের কাছ থেকে চাঁদা চাওয়ার।

জবাবদিহিতা ও বিচারবিভাগ নিয়ে বলেন, এমন একটা সমাজ প্রয়োজন যে সমাজে শিক্ষিতরা কলমের খোঁচায় হাজার হাজার কোটি টাকা জাতির কাছ থেকে লুন্ঠন করবে না। কলম হাতে নিয়ে তার কলিজাটা থর থর করে কাঁপবে এই ভেবে যে আখেরাতে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। আমরা শপথবদ্ধ কোনো রাজনীতি ব্যক্তিকে আদালতে বিচারক হিসেবে দেখতে চাই না। একজন সরকারি কর্মকর্তা তিনি রাষ্ট্রের সেবক। কোনো দল বা ব্যক্তির সেবা করতে পারে না।

দলীয় নির্যাতনের বিষয়ে জামায়েত আমীর বলেন, আমরা বলেছিলাম কারো প্রতি অবিচার করবো না, কোনো প্রতিশোধ নেবো না। সেটা আমরা করিনি। আমাদের উপর গত ১৫ বছর যে অত্যাচার হয়েছে তা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম নির্যাতন। তারপরেও আমাদের নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের পর কোথাও কারও ব্যবসা বা বাড়িতে হামলা করেনি।

গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা অঞ্চল উত্তর অঞ্চল টীম সদস্য আবুল হাসেম খান ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, জেলা আমীর ড. জাহাঙ্গীর আলম, নায়েবে আমীর মুহাম্মদ খায়রুল হাসান প্রমুখ।