ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ জিতল টাইগ্রেসরা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 129

১০ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিতল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের হিসেবে ৪টি হলেও ম্যাচের হিসেবে ১৬টি। অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশের মেয়েরা।

বৃহস্পতিবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহটা অবশ্য খুব একটা বড় ছিল না। তবে ৭ উইকেটে পাওয়া সেই ১১৯ রানের পুঁজিতেই জয় এনে দেন বোলাররা। রান তাড়ায় নামা স্কটল্যান্ডকে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে আটকে দেন রিতু মনিরা।

বাংলাদেশের ব্যাটিংটা অবশ্য মন মতো হয়নি। স্কটিশ ফিল্ডারদের একাধিক ক্যাচ মিস ও মিসফিল্ডের পরও সুযোগ নিতে পারেননি টাইগ্রেসরা। উদ্বোধনী জুটিতে সাথি রানী ও মুরশিদা খাতুন ২৬ রান তোলার পর দ্বিতীয় উইকেটে সাথি ও সোবহানা মোশতারি যোগ করেন ৪২ রান। বাংলাদেশের ইনিংসে এ দুটিই ছিল বড় জুটি।

ব্যাটারদের মধ্যে মোশতারি ৩৮ বল খেলে ২ চারে করেন ৩৬ রান এবং সাথি করেন ৩২ বলে ৩১। এছাড়া শততম টি–টোয়েন্টি খেলতে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা করেন ১৮ বলে ১৮ রান।

বাংলাদেশ দলের পুঁজিটা যে খুব বেশি বড় হয়নি, সেটি ম্যাচের বিরতিতে সম্প্রচার চ্যানেলে স্বীকার করে নেন মোশতারিই। তবে বোলাররা ওই স্বল্প পুঁজিকেই জয়ের জন্য যথেষ্ঠ বানিয়ে নেন। যার সুবাদে এসেছে দীর্ঘ খরার পর জয়।

ওভার প্রতি ৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামা স্কটিশদের বড় পরীক্ষায় ফেলেন রিতু মনিই। ডানহাতি এ মিডিয়াম পেসার ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

বাংলাদেশের বোলিংয়ে সাফল্যের শুরুটা অবশ্য ফাহিমা খাতুনের হাত ধরে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাসকিয়া হরলিকে ফেরান তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্যাথরিন ব্রাইসকে ফেরান মারুফা আক্তার।যার ফলে প্রথম ৬ ওভারে ৩১ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে স্কটল্যান্ডের ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে বাংলাদেশ। যা পরের দিকে আরও বেড়েছে।

শেষ পাঁচ ওভারে ৪৮, আর শেষ দুই ওভারে ৩১ রানের সমীকরণ না মেলাতে পেরে ১৬ রানের ব্যবধানেই হারে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা স্কটিশরা।

রিতুর ২ উইকেট ছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা, মারুফা, ফাহিমা ও রাবেয়া।

এর মধ্যে ক্যাথারিন ফ্রেসারকে আউট করে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন নাহিদা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এটিই প্রথম কীর্তি। সব মিলিয়ে মেয়েদের ক্রিকেটে ১৪তম।

স্কটিশদের হারানোর আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ জিতেছিল ২০১৪ সালে। সেবার সিলেটে নবম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর টানা চার আসরে ১৬ ম্যাচে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়েই।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন

১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ জিতল টাইগ্রেসরা

আপডেট সময় ০৮:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

১০ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিতল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের হিসেবে ৪টি হলেও ম্যাচের হিসেবে ১৬টি। অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশের মেয়েরা।

বৃহস্পতিবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহটা অবশ্য খুব একটা বড় ছিল না। তবে ৭ উইকেটে পাওয়া সেই ১১৯ রানের পুঁজিতেই জয় এনে দেন বোলাররা। রান তাড়ায় নামা স্কটল্যান্ডকে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে আটকে দেন রিতু মনিরা।

বাংলাদেশের ব্যাটিংটা অবশ্য মন মতো হয়নি। স্কটিশ ফিল্ডারদের একাধিক ক্যাচ মিস ও মিসফিল্ডের পরও সুযোগ নিতে পারেননি টাইগ্রেসরা। উদ্বোধনী জুটিতে সাথি রানী ও মুরশিদা খাতুন ২৬ রান তোলার পর দ্বিতীয় উইকেটে সাথি ও সোবহানা মোশতারি যোগ করেন ৪২ রান। বাংলাদেশের ইনিংসে এ দুটিই ছিল বড় জুটি।

ব্যাটারদের মধ্যে মোশতারি ৩৮ বল খেলে ২ চারে করেন ৩৬ রান এবং সাথি করেন ৩২ বলে ৩১। এছাড়া শততম টি–টোয়েন্টি খেলতে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা করেন ১৮ বলে ১৮ রান।

বাংলাদেশ দলের পুঁজিটা যে খুব বেশি বড় হয়নি, সেটি ম্যাচের বিরতিতে সম্প্রচার চ্যানেলে স্বীকার করে নেন মোশতারিই। তবে বোলাররা ওই স্বল্প পুঁজিকেই জয়ের জন্য যথেষ্ঠ বানিয়ে নেন। যার সুবাদে এসেছে দীর্ঘ খরার পর জয়।

ওভার প্রতি ৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামা স্কটিশদের বড় পরীক্ষায় ফেলেন রিতু মনিই। ডানহাতি এ মিডিয়াম পেসার ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

বাংলাদেশের বোলিংয়ে সাফল্যের শুরুটা অবশ্য ফাহিমা খাতুনের হাত ধরে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাসকিয়া হরলিকে ফেরান তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্যাথরিন ব্রাইসকে ফেরান মারুফা আক্তার।যার ফলে প্রথম ৬ ওভারে ৩১ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে স্কটল্যান্ডের ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে বাংলাদেশ। যা পরের দিকে আরও বেড়েছে।

শেষ পাঁচ ওভারে ৪৮, আর শেষ দুই ওভারে ৩১ রানের সমীকরণ না মেলাতে পেরে ১৬ রানের ব্যবধানেই হারে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা স্কটিশরা।

রিতুর ২ উইকেট ছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা, মারুফা, ফাহিমা ও রাবেয়া।

এর মধ্যে ক্যাথারিন ফ্রেসারকে আউট করে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন নাহিদা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এটিই প্রথম কীর্তি। সব মিলিয়ে মেয়েদের ক্রিকেটে ১৪তম।

স্কটিশদের হারানোর আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ জিতেছিল ২০১৪ সালে। সেবার সিলেটে নবম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর টানা চার আসরে ১৬ ম্যাচে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়েই।