ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যৌথ হামলার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
মঙ্গলবার গভীর রাতের এই হামলার জন্য ইরানকে ‘চরম মূল্য’ চুকাতে হবে বলে অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের দাবি, তাদের আয়রন ডোম আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
এই হামলার জবাবে ইসরায়েল শিগগির ‘মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী হামলা’ চালানোর অঙ্গীকার করেছে।
প্রতিক্রিয়ায় তেহরান হুশিয়ারি দিয়েছে, তাদের ভূখণ্ডে কোনো হামলা আসলে তারা ইসরায়েলের সব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর পাল্টা হামলা চালাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে জানতে চান, প্রতিক্রিয়ার ধরন কেমন হতে পারে। জবাবে বাইডেন বলেন, ‘সেটা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, প্রথম বারের মতো হাইপারসনিক অস্ত্রসহ মোট ২০০ ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহারে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী দল (আইআরজিসি) বলেছে, তারা তেল আবিবের তিনটি সামরিক ঘাঁটি ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর ওপর এই হামলা চালিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক মাধ্যম এক্সে জানান, ‘তেহরানের এই উদ্যোগ সমাপ্ত হয়েছে, যদি না ইসরায়েলি শাসকরা আরও পাল্টা জবাবে দেওয়ার কারণ সৃষ্টি না করেন।’
আইআরজিসি এর আগে জানিয়েছিল, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে ও আইআরজিসির কমান্ডার আব্বাসকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে লেবানন ও গাজার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবেও এ ঘটনাকে অভিহিত করেছে ইরানের এই অভিজাত বাহিনী।