ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মিল্লাতের গ্রুপে এড দেখে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ’

স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য ছিল সীমাহীন। তাদের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মুখ খুলতে সাহস পাননি।

তবে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মুখ খুলছেন। ভয়াবহ নির্যাতনের স্মৃতি তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এবার বিভীষিকাময় নির্যাতনের কথা ফেসবুকে তুলে ধরলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান ফাহিম।

নিজের উপর চলা অকথ্য নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে করা পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

❝ ১১ মার্চ ২০১৯ নোবিপ্রবির ইতিহাসে এক কলংকিত দিন। ৫ আগস্টের পর থেকে ওই দিনের কাহিনী লিখার জন্য অনেকেই আমাকে বলেছে, ঐ বিভৎস দিনের কথা মনে পড়লে এখনো শিওরে উঠি। তাই লিখতে পারি নাই। আমার থেকেও অনেক বেশি অত্যাচার করা হইছিলো বিবিএ ১১তম ব্যাচের সাকিব ভাইকে, আমার ডিপার্টমেন্টের বন্ধু সোলাইমান, মিনহাজ কে আর ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের বন্ধু সুমন কে।

১১ মার্চ আমাদের পরীক্ষা ছিলো, আমার বন্ধু সোলাইমানকে সেদিন পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় নাই, গোলচত্বরে বাস থেকে নামিয়ে পারবেজ (১৩ ব্যাচ), মোজাম্মেলরা (১৩ ব্যাচ) মারতে মারতে নিয়ে যায় সালাম হলে। সোলাইমানের উপর নির্যাতন চলতে থাকে এর মধ্যে আমাদের পরীক্ষা চলে, সোলাইমান কে যে হলে মারতেছে এটা আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেকেই জানতোনা কারন বাস থেকে নেমে সবাই পরীক্ষার হলে (লাইব্রেরিতে) চলে যায়, সোলাইমানও বাসে ছিলো সে গোল চত্বরে নেমেছিলো একা ।

আমাদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই দেখি পরীক্ষার হলের পাশে প্রচুর পোলাপানের ভীড়, পরীক্ষার গেট থেকে বের হওয়ার আগেই আমাকে আর মিনহাজকে ধরে তপু (এপ্লাইড ম্যাথ ১৩ ব্যাচ), অপুর্ব (১৩ ব্যাচ), রকি(১৩ ব্যাচ) এবং সালাম হলে নেয় এই বলে যে বড় ভাই ডাকছে। সালামে গিয়ে দেখি সোলাইমান কে বেধে রেখে মারছে তানিম আব্দুল্লাহ (এপ্লাইড ম্যাথ ১২ ব্যাচ), বাসির (এপ্লাইড ম্যাথ ১১ ব্যাচ), শাকিল মোস্তফা (১৪ ব্যাচ), আব্দুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি ১২ ব্যাচ) সহ আরো কিছু কালপ্রিট। রুমে নেওয়ার পর আমাদের উপরও চলে একই ধাচে টর্চার।

টর্চারের এক পর্যায়ে চোখ বেধে মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয় আমার থেকে, এবার তারা মোবাইল চেক করবে! আমার মিল্লাতের গ্রুপে এড দেখে আমাকে মারা হয় অথচ এটা ছিলো আমার মাদ্রাসার ব্যাচের গ্রুপ। এর মাঝেই অনেক জিজ্ঞাসাবাদ চলে, তৎকালীন ফারহান শিবির কিনা? আমার ডিপার্টমেন্টের হাসিব শিবির এগুলার উত্তর দেওয়া না দেওয়া একই ছিলো। আমার মোবাইলে তেমন কিছু না পেয়ে আমার বাসায় কল দেওয়ার প্ল্যান করে তারা এবং আমার আম্মুকে কল দেয়। আম্মুকে বলা হয় আপনার ছেলেকে অনেক মারছে, এখন জেলে দেওয়া হবে! সহ আরো অনেক থ্রেট। এগুলা শুনে আম্মুও ঠিক থাকতে পারে নাই, আম্মু অসুস্থ হয়ে যায়, যতবার আমাকে কল দেয় কান্না করে। নোয়াখালী ছেড়ে বাসায় চলে আসতে বলে। নোয়াখালী ছেড়ে দেওয়ার প্ল্যানও হইছিলো।

আমাকে যা করছে করছে এগুলা হয়তো আমি মেনে নিতাম কিন্তু আমার পুরো পরিবার এই ঘটনায় ট্রমাটাইজড ছিলো, বিশেষ করে আম্মু।

আরো অনেক কথা আছে হলের সময়টাতে কে কে রুমে আসছে কারা টর্চার করছে কে কি বলছে সকল কিছু আমার মনে আছে। তখন আমরা মাত্র ২য় সেমিস্টার শেষ করা ছাত্র। এরপর থেকে আর বিশ্ববিদ্যালয়কে আগের মত মনে হয়নি, সবকিছুতে ভয় লাগতো কখন কে মেরে দেয়! কেও কিছু বলার নেই আমার এই ক্যম্পাসে, একজন শিক্ষক ও আমাদের পক্ষে কথা বলে নাই।

এই ঘটনার পরেও তৎকালীন মন্ত্রীর দূর্নীতি নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টের জন্য আবু নাসের (THM 13 ব্যাচ) আমাকে কল দিয়ে বলছিল তোকে তো সাবধান করছিলাম ১১ তারিখ তাও ভালো হছ নাই, সে আমার পোস্টে কমেন্ট করে ছাত্রলীগের চেলারা আইসা রিয়েক্ট দেয়! নাসের বলে দেখছোস কারা রিয়েক্ট দিছে? অপুর্ব (THM 13 ব্যাচ) সহ কয়েকজন রিয়েক্ট দেয়। তুই সাবধানে থাকিছ তোর অবস্থা যেনো আবরার ফাহাদের মত না হয়। এগুলার বিচারও কাউকে দেওয়া হয় নাই।

কিছুদিন আগে ক্যাম্পাসে ফারদিন শাওনের (সফটওয়ার ১৩ ব্যাচ) এর সাথে হওয়া ঘটনায় অনেকেই তার পক্ষে কথা বলছে, ৫০০+ কমেন্ট দেখে আমি চিন্তা করছিলাম এদের ১% ও যদি সেদিন আমাদের পক্ষে কথা বলতো!! আর শাওন নিজেও আমাদের মারার সময় রুমে আসে ও আমাদের অসহায়ত্ব দেখে হাসাহাসি করে।

এর মানে এটা নাহ যে আমি চাই ওরা এক্সাম না দিক, আমি শুধু চাই যারা ক্যম্পাসে নিজের সিনিয়রদের, জুনিয়রদের, এবং কি বন্ধুদের গায়ে হাত তুলেছে তাদের শাস্তি হোক। সাকিব ভাইকে এখনো নিয়মিত ঔষধ নিতে হয় আর যারা সাকিব ভাইয়ের এই অবস্থা করলো তারা ঘুরছে, ফিরছে এগুলা মেনে নেওয়া যায় না।

পুরো কাহিনির নাটের গুরু ছিলো সবার প্রিয় অভিভাবক বর্তমান নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ সেক্রেটারি জাহিদ হাসান শুভ! তার নেতৃত্বেই সব হয়। ❞

এদিকে ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাভয়েসকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি হওয়া একজন ছাত্রকে যেনো ভবিষ্যতে এমন কোন পরিস্থিতির শিকার না হতে হয় তাই প্রশাসনকে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার অনুরোধ করবো।

‘মিল্লাতের গ্রুপে এড দেখে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ’

আপডেট সময় ০২:০৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য ছিল সীমাহীন। তাদের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মুখ খুলতে সাহস পাননি।

তবে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মুখ খুলছেন। ভয়াবহ নির্যাতনের স্মৃতি তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এবার বিভীষিকাময় নির্যাতনের কথা ফেসবুকে তুলে ধরলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান ফাহিম।

নিজের উপর চলা অকথ্য নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে করা পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

❝ ১১ মার্চ ২০১৯ নোবিপ্রবির ইতিহাসে এক কলংকিত দিন। ৫ আগস্টের পর থেকে ওই দিনের কাহিনী লিখার জন্য অনেকেই আমাকে বলেছে, ঐ বিভৎস দিনের কথা মনে পড়লে এখনো শিওরে উঠি। তাই লিখতে পারি নাই। আমার থেকেও অনেক বেশি অত্যাচার করা হইছিলো বিবিএ ১১তম ব্যাচের সাকিব ভাইকে, আমার ডিপার্টমেন্টের বন্ধু সোলাইমান, মিনহাজ কে আর ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের বন্ধু সুমন কে।

১১ মার্চ আমাদের পরীক্ষা ছিলো, আমার বন্ধু সোলাইমানকে সেদিন পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় নাই, গোলচত্বরে বাস থেকে নামিয়ে পারবেজ (১৩ ব্যাচ), মোজাম্মেলরা (১৩ ব্যাচ) মারতে মারতে নিয়ে যায় সালাম হলে। সোলাইমানের উপর নির্যাতন চলতে থাকে এর মধ্যে আমাদের পরীক্ষা চলে, সোলাইমান কে যে হলে মারতেছে এটা আমাদের ডিপার্টমেন্টের অনেকেই জানতোনা কারন বাস থেকে নেমে সবাই পরীক্ষার হলে (লাইব্রেরিতে) চলে যায়, সোলাইমানও বাসে ছিলো সে গোল চত্বরে নেমেছিলো একা ।

আমাদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই দেখি পরীক্ষার হলের পাশে প্রচুর পোলাপানের ভীড়, পরীক্ষার গেট থেকে বের হওয়ার আগেই আমাকে আর মিনহাজকে ধরে তপু (এপ্লাইড ম্যাথ ১৩ ব্যাচ), অপুর্ব (১৩ ব্যাচ), রকি(১৩ ব্যাচ) এবং সালাম হলে নেয় এই বলে যে বড় ভাই ডাকছে। সালামে গিয়ে দেখি সোলাইমান কে বেধে রেখে মারছে তানিম আব্দুল্লাহ (এপ্লাইড ম্যাথ ১২ ব্যাচ), বাসির (এপ্লাইড ম্যাথ ১১ ব্যাচ), শাকিল মোস্তফা (১৪ ব্যাচ), আব্দুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি ১২ ব্যাচ) সহ আরো কিছু কালপ্রিট। রুমে নেওয়ার পর আমাদের উপরও চলে একই ধাচে টর্চার।

টর্চারের এক পর্যায়ে চোখ বেধে মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয় আমার থেকে, এবার তারা মোবাইল চেক করবে! আমার মিল্লাতের গ্রুপে এড দেখে আমাকে মারা হয় অথচ এটা ছিলো আমার মাদ্রাসার ব্যাচের গ্রুপ। এর মাঝেই অনেক জিজ্ঞাসাবাদ চলে, তৎকালীন ফারহান শিবির কিনা? আমার ডিপার্টমেন্টের হাসিব শিবির এগুলার উত্তর দেওয়া না দেওয়া একই ছিলো। আমার মোবাইলে তেমন কিছু না পেয়ে আমার বাসায় কল দেওয়ার প্ল্যান করে তারা এবং আমার আম্মুকে কল দেয়। আম্মুকে বলা হয় আপনার ছেলেকে অনেক মারছে, এখন জেলে দেওয়া হবে! সহ আরো অনেক থ্রেট। এগুলা শুনে আম্মুও ঠিক থাকতে পারে নাই, আম্মু অসুস্থ হয়ে যায়, যতবার আমাকে কল দেয় কান্না করে। নোয়াখালী ছেড়ে বাসায় চলে আসতে বলে। নোয়াখালী ছেড়ে দেওয়ার প্ল্যানও হইছিলো।

আমাকে যা করছে করছে এগুলা হয়তো আমি মেনে নিতাম কিন্তু আমার পুরো পরিবার এই ঘটনায় ট্রমাটাইজড ছিলো, বিশেষ করে আম্মু।

আরো অনেক কথা আছে হলের সময়টাতে কে কে রুমে আসছে কারা টর্চার করছে কে কি বলছে সকল কিছু আমার মনে আছে। তখন আমরা মাত্র ২য় সেমিস্টার শেষ করা ছাত্র। এরপর থেকে আর বিশ্ববিদ্যালয়কে আগের মত মনে হয়নি, সবকিছুতে ভয় লাগতো কখন কে মেরে দেয়! কেও কিছু বলার নেই আমার এই ক্যম্পাসে, একজন শিক্ষক ও আমাদের পক্ষে কথা বলে নাই।

এই ঘটনার পরেও তৎকালীন মন্ত্রীর দূর্নীতি নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টের জন্য আবু নাসের (THM 13 ব্যাচ) আমাকে কল দিয়ে বলছিল তোকে তো সাবধান করছিলাম ১১ তারিখ তাও ভালো হছ নাই, সে আমার পোস্টে কমেন্ট করে ছাত্রলীগের চেলারা আইসা রিয়েক্ট দেয়! নাসের বলে দেখছোস কারা রিয়েক্ট দিছে? অপুর্ব (THM 13 ব্যাচ) সহ কয়েকজন রিয়েক্ট দেয়। তুই সাবধানে থাকিছ তোর অবস্থা যেনো আবরার ফাহাদের মত না হয়। এগুলার বিচারও কাউকে দেওয়া হয় নাই।

কিছুদিন আগে ক্যাম্পাসে ফারদিন শাওনের (সফটওয়ার ১৩ ব্যাচ) এর সাথে হওয়া ঘটনায় অনেকেই তার পক্ষে কথা বলছে, ৫০০+ কমেন্ট দেখে আমি চিন্তা করছিলাম এদের ১% ও যদি সেদিন আমাদের পক্ষে কথা বলতো!! আর শাওন নিজেও আমাদের মারার সময় রুমে আসে ও আমাদের অসহায়ত্ব দেখে হাসাহাসি করে।

এর মানে এটা নাহ যে আমি চাই ওরা এক্সাম না দিক, আমি শুধু চাই যারা ক্যম্পাসে নিজের সিনিয়রদের, জুনিয়রদের, এবং কি বন্ধুদের গায়ে হাত তুলেছে তাদের শাস্তি হোক। সাকিব ভাইকে এখনো নিয়মিত ঔষধ নিতে হয় আর যারা সাকিব ভাইয়ের এই অবস্থা করলো তারা ঘুরছে, ফিরছে এগুলা মেনে নেওয়া যায় না।

পুরো কাহিনির নাটের গুরু ছিলো সবার প্রিয় অভিভাবক বর্তমান নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ সেক্রেটারি জাহিদ হাসান শুভ! তার নেতৃত্বেই সব হয়। ❞

এদিকে ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাভয়েসকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি হওয়া একজন ছাত্রকে যেনো ভবিষ্যতে এমন কোন পরিস্থিতির শিকার না হতে হয় তাই প্রশাসনকে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার অনুরোধ করবো।